সেং-গে-র্নাম-র্গ্যাল (ওয়াইলি: seng ge rnam rgyal) (১৫৭০ - ১৬৪২) লাদাখের নামগ্যাল রাজবংশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাজা ছিলেন। লাদাখে তিনি সিংহ রাজা নামেও সমাদৃত।
১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে সেং-গে-র্নাম-র্গ্যালের পিতা 'জাম-দ্ব্যাংস-র্নাম-র্গ্যালের শাসনকালে তিনি বাসগো বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন। সেই বৌদ্ধবিহারে তিনি একটি ২৪ ফুট উচ্চ মৈত্রেয় মূর্তি ও লাদাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি ৩২ ফুট উচ্চ বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণ করেন। [১]
১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে সেং-গে-র্নাম-র্গ্যাল লাদাখের সিংহাসনে বসে পশ্চিম তিব্বতের মালভূমির বেশ কিছু অংশ দখলে আনেন। লাদাখের সঙ্গে পূর্বে তিব্বত ও পশ্চিমে কাশ্মীরের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়।
সেং-গে-র্নাম-র্গ্যাল মুসলমানদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও কারুকীর্তিগুলির পুনর্নির্মাণ করে লাদাখের পুরাতন গৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হন। তিনি লেহ প্রাসাদ নির্মাণ করে রাজধানী শে থেকে লেহতে সরিয়ে আনেন। ১৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হেমিস বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন। [২] তিব্বতী বৌদ্ধভিক্ষু স্তাগ-ত্শাং-রাস-পা-ঙ্গাগ-দ্বাং-র্গ্যা-ম্ত্শোর সহায়তায় হানলে বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন ও তার প্রভাবে দ্রুগপা গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হলে সেং-গের আমল থেকেই লাদাখের নামগ্যাল রাজবংশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় লাদাখে হলুদ টুপি গেলুগ বৌদ্ধ ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রভাব বাড়ে। [৩] এছাড়াও সেংগে স্পিটির টাবো বৌদ্ধবিহারের স্বর্ণ মন্দিরের সংস্কার করেন।
১৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের ঊ-সাং প্রদেশ মঙ্গোলদের অধিকার থেকে মুক্ত করার এক অভিযান থেকে ফিরে এসে হানলেতে তার মৃত্যু হয়। [৪][৫]