প্রাক্তন নাম | ওয়েস্টপ্যাকট্রাস্ট পার্ক |
---|---|
অবস্থান | হ্যামিল্টন সেন্ট্রাল, হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৩৭°৪৭′১২″ দক্ষিণ ১৭৫°১৬′২৭″ পূর্ব / ৩৭.৭৮৬৬৭° দক্ষিণ ১৭৫.২৭৪১৭° পূর্ব |
মালিক | হ্যামিল্টন সিটি কাউন্সিল |
ধারণক্ষমতা | ১০,০০০ |
আয়তন | পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট ওভাল |
নির্মাণ | |
চালু | ১৯৫০ |
পুনঃসংস্কার | ১৯৯৯ - ফ্লাডলাইট স্থাপন |
ভাড়াটে | |
নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস নাইটস |
সেডন পার্ক নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হ্যামিল্টনেে অবস্থিত একটি ক্রিকেট মাঠ। এটি দর্শকদের কাছে বনভোজন উপযোগী সবুজ গ্রামীণ পরিবেশ বিদ্যমান। নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম ক্রিকেট মাঠ ও তৃতীয় বৃহত্তম প্রকৃত ওভাল আকৃতির। নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন ক্ষমতাসীন[১] সাবেক প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড জন (কিং ডিক) সেডনের নাম অনুসরণে এ স্টেডিয়ামের নামকরণ হয়েছে। এছাড়াও, স্টেডিয়ামটি ১৯৯০-১৯৯৭ সালে ট্রাস্ট ব্যাংক পার্ক, ১৯৯৭-২০০৩ পর্যন্ত ওয়েস্টপ্যাকট্রাস্ট পার্ক এবং ২০০৩-২০০৬ পর্যন্ত ওয়েস্টপ্যাক পার্ক নামে পরিচিত ছিল। ২০০৬ সালে ওয়েস্টপ্যাক ট্রাস্ট ব্যাংক এনজেডের সিদ্ধান্তে সম্প্রচারস্বত্ত্বের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ফলশ্রুতিতে ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে স্টেডিয়ামটি তার পূর্বনাম সেডন পার্কে ফিরে যায়।
সিডন পার্ক গোলাকৃতির। ক্রিকেট খেলার জন্য এ স্টেডিয়ামটি উপযোগী। এর অভ্যন্তরে ঘাসাচ্ছদন রয়েছে। উত্তর/দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর ব্যাটিং উপযোগী নয়টি পীচ তৈরী করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের পরিবেশ এমনভাবে রয়েছে যাতে যে-কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। হকি, রাগবি ও রাগবি লীগের খেলার আয়োজনও করা হয় এখানে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অন্যতম পুরনো মাঠ হলেও একে স্টেডিয়াম আখ্যা দেয়া যায় না , কারণ এর চারিপাশে আংশিক গ্যালারি ছাড়া তেমন স্থায়ী সুযোগ সুবিধা নেই।
নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। এ মাঠে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক, একদিনের আন্তর্জাতিকসহ টেস্ট ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬টি টি২০আই, ২২টি ওডিআই এবং ২০টি টেস্ট ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় নিউজিল্যান্ড দল ৫৭ রানে জয়ী হয়। ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ তারিখে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টের আয়োজন করা হয়। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
২০০৩ সালে স্টিফেন ফ্লেমিং এ মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ৭৮৯ রান করে সর্বাধিক রানের অধিকারী। এছাড়াও ২০০১ সালে এ মাঠে রাগবি খেলা অনুষ্ঠিত হবার ফলে অস্থায়ীভাবে স্ট্যান্ড বাড়াতে হয়। অবশ্য পরের বছরই নতুন নির্মিত ওয়েইকাতো স্টেডিয়ামে রাগবি খেলা ফিরে যায়।
এখনো অব্দি ৩ এশীয় দেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই মাঠে জয় পেয়েছে ।
দেশ | প্রথম জয়(সেরা খেলোয়াড়) | সর্বশেষ জয়(সেরা খেলোয়াড়) |
---|---|---|
শ্রীলঙ্কা | ২০০১ (সনাথ জয়াসুরিয়া) | ২০১৫ (তিলকরত্নে দিলশান) |
ভারত | ২০০৯ (বীরেন্দ্র শেওয়াগ) | এখনো অব্দি একমাত্র জয় |
পাকিস্তান | ২০১১ (আহমেদ শেহজাদ) | এখনো অব্দি একমাত্র জয় |
এখনো অব্দি ২টি এশীয় দেশ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই মাঠে খেলেছে (বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ) । তাদের কেউই জয় পায়নি।
১৯৯৪ সালে এই মাঠে কপিল ক্রিকেট জীবনে অবসর নেন।