সেতো সূর্য | |
---|---|
পরিচালক | দীপক রাউনিয়ার |
প্রযোজক | দীপক রাউনিয়ার জোসলিন বার্নস টিসেরিং রিটার শেরপা মাইকের মার্ক্ট |
রচয়িতা | দীপক রাউনিয়ার ডেভিড বার্কার |
শ্রেষ্ঠাংশে | দয়াহাং রাই রবীন্দ্র সিং বানিয়া |
সুরকার | বিবেক মাড্ডালা |
চিত্রগ্রাহক | মার্ক ও ফেয়ারঘাইল |
সম্পাদক | ডেভিড বার্কার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৮৯ মিনিট |
দেশ | নেপাল নেদারল্যান্ডস কাতার যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নেপালি |
সেতো সূর্য (নেপালি: सेतो सूर्य, প্রতিবর্ণীকৃত: সেতো সূর্য; অর্থ শুভ্র সূর্য) হলো দীপক রাউনিয়ার পরিচালিত ২০১৬ সালের একটি নাট্য যুদ্ধ জীবনীমূলক চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি রচনা করেছেন দীপক রাউনিয়ার, ডেভিড বার্কার এবং প্রযোজনা করেছেন জসলিন বার্নস, ড্যানি গ্লোভার, টিসেরিং রিতার শেরপা এবং দীপক রাউনিয়ার। লুভার্টর ফিল্মস, দ্য বার্থা ফাউন্ডেশন, দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউট, দ্য ফিল্ম কিচেন, হুবার্ট বালস তহবিল, মিলা প্রোডাকশনস, নেদারল্যান্ডস ফান্ড এবং ফিল্ম ও ওয়ারলে ওয়ার্কস সহ আডি প্রোডাকশনের ব্যানারের অধীনে নির্মিত হয়। ছবিটিতে আশা মাগরাতি, সুমি মল্ল, অমৃত পারিয়ার, দীপক ছেত্রী এবং দেশভক্ত খানালের পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দয়াহাং রাই এবং রবীন্দ্র সিং বানিয়া। হোয়াইট চলচ্চিত্রটি রাজকীয় এবং মাওবাদীদের মধ্যে নেপালি গৃহযুদ্ধের দ্বন্দ্ব অবলম্বনে নির্মিত।
এটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ৭৩তম সংস্করণে দিগন্ত বিভাগে প্রিমিয়ার হয়। এছাড়াও এই চলচ্চিত্রটি অনেক পুরস্কারের জন্য মনোনীত ও বিজীত হয়েছে।[১] এটি পরে ২০১৬ সালের টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[২] এটি ৯০তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য নেপালি এন্ট্রি হিসেবে নির্বাচিত হয়, কিন্তু এটি মনোনীত হয়নি।[৩]
পিতা মারা যাবার পর শাসক-বিরোধী দলীয় চন্দ্র প্রায় দূরবর্তি একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ভ্রমণ করে। ছোট্ট পূজা যাকে বাবা মনে করে, তার জন্য অধীর আগ্রহে উদ্বীগ্ন হয়ে অপেক্ষা করে। কিন্তু চন্দ্র যখন বদ্রীকে নিয়ে আসে, তখন পূজা বিভ্রান্ত হয়। চন্দ্র বদ্রীকে রাস্তা থেকে নিয়ে আসে এবং বলে, বদ্রী তার ছেলে। নেপালের গৃহযুদ্ধের সময় চন্দ্রকে তার ভাই সুরাজের মুখোমুখি হতে হবে, যে নেপালের গৃহযুদ্ধের সময় বিরোধী পক্ষের ছিল। দুই ভাই যখন তাদের পিতার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাবার জন্য নদীতে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময়ও তারা রাজনৈতিক বিরোধিতাকে ভূলে থাকতে পারেনি। ঘটনাক্রমে সুরাজ প্রচন্ড রাগান্বিত হয়ে যায়। চন্দ্র কোন শক্তিশালী দেহরক্ষী ছাড়াই সেখান থেকে চলে যায়। গ্রামের প্রবীনদের চাপে যুদ্ধের সময় তিনি যে কঠোর জাতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যমূলক ঐতিহ্য নির্মূল করার জন্য লড়াই করেছিলেন, তা মেনে চলার জন্য গ্রামের বাইরে থেকে সাহায্য চাইতে হবে। চন্দ্র পার্শ্ববর্তী গ্রামে পুলিশের মধ্যে, স্থানীয় বিয়েতে অতিথি এবং বিদ্রোহী গেরিলাদের মধ্যে একটি সমাধান খুঁজছেন...
এই চলচ্চিত্রটির প্রযোজক দীপক রাউনিয়ার তুলনামূলক অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
পুরস্কার | শ্রেণী | প্রাপক | ফলাফল |
---|---|---|---|
ফ্রিবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | দর্শক পুরস্কার | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী |
ডন কুইক্সোট অ্যাওয়ার্ড | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী | |
একিউমেনিক্যাল জুরি অ্যাওয়ার্ড | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী | |
বিশেষ উল্লেখ | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী | |
গ্র্যান্ড প্রিক্স | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | মনোনীত | |
গোল্ডেন হর্স চলচ্চিত্র উৎসব | বেস্ট এশিয়ান ফিল্ম | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | মনোনীত |
পাম স্প্রিংস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | নিউ ভয়েস/নিউ ভিশন গ্রান্ড জুরি পুরস্কার | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী |
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব রটার্ডাম | কেএনএফ পুরস্কার | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | মনোনীত |
সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | সেরা চলচ্চিত্র | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | বিজয়ী |
ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব | ইন্টারফিল্ম পুরস্কার | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) আদি প্রোডাকশন্স (প্রোডাকশন কোম্পানি) লুভার্টর ফিল্মস (প্রোডাকশন কোম্পানি) ওয়াটার ল্যান্ড ফিল্ম (সহকারী প্রোডাকশন) ম্যাচ ফেক্টরী (পরিবেশক) |
বিজয়ী |
সেরা চলচ্চিত্র | দীপক রাউনিয়ার (পরিচালক) | মনোনীত |