সেদিকা বলখী صدیقه بلخی | |
---|---|
![]() | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫০ (বয়স ৭৪–৭৫) মাজার-ই-শরিফ, বলখ প্রদেশ, আফগানিস্তান |
জাতীয়তা | Afghanistan |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
হাজারা |
সেদিকা বলখী একজন আফগান নারী রাজনীতিবিদ এবং হামিদ কারজাই সরকারের সাবেক মন্ত্রী।[১]
বলখী ১৯৫০ সালে আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, ইসমায়েল বলখী, আফগানিস্তানের কারাগারে একাধিকবার বন্দি ছিলেন এবং শেষে বিষ পানে তার মৃত্যু ঘটে।[২] ইসলামিক শিক্ষার উপর তিনি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ইরানে থাকা অবস্থায় তিনি তার উচ্চতর শিক্ষা শেষ করেন। তিনি কিছু সময়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৩] অল্প বয়সেই তিনি বিয়ের পিড়িতে বসেন এবং বর্তমানে তার ছয়টি সন্তান রয়েছে। তার ভাই, সৈয়দ আলী বলখি, একজন অর্থনীতিবিদ ছিলেন, যিনি আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির শাসনামলে নিহত হন।
তালিবান শাসনের সময় সেদিকা বলখী দি ইসলামিক সেন্টার ফর পলিটিক্যাল এন্ড কালচারাল এক্টিভিটিস অব আফগান উইমেন, ইরানের খোরাসান প্রদেশভিত্তিক সংগঠন, এর নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৯১ সালে আফগানিস্তানে চলে যান যেখানে তিনি গোপনে তার কাজ চালিয়ে যান।[৪] ২০০১ সালের ডিসেম্বরে, তিনি বন চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী তিনজন নারীর একজন ছিলেন। মেশরানো জিরগায় (আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট) দুইবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।.[৫] আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে তিনি নারী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি হামিদ কারজাই সরকারের শহীদ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।২০০৫ সালে বলখি ও আফগান সেনা প্রধান বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদি একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে যান।[৬][৭][৮]