সেবেওস (আর্মেনিয়ান: Սեբեոս) সপ্তম শতাব্দীর একজন আর্মেনিয়ান বিশপ এবং ইতিহাসবিদ ছিলেন। লেখক সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, যদিও ৬৪৫ সালে ডভিনের একলেসিয়াস্টিকাল কাউন্সিলের রেজোলিউশনে একটি স্বাক্ষর পাঠ করা হয়েছে 'বিশপ সেবেওস অফ বাগ্রাতুনিস'। তাঁর লেখাগুলো ষষ্ঠ শতাব্দীর আর্মেনিয়া এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোর কালানুক্রমিক বিবরণের জন্য মূল্যবান উৎস হিসেবে পরিগণিত হয়।[১] সেবেওসের ইতিহাসে আর্মেনিয়ায় সাসানীয় আধিপত্যের সময়কাল থেকে ৬৬১ সালে ইসলামী বিজয় পর্যন্ত বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। তাঁর ইতিহাস প্রথমবারের মতো ১৮৫১ সালে ইস্তাম্বুলে প্রকাশিত হয়েছিল।[২]
হেরাক্লিয়াসকে উল্লেখ করে একটি ইতিহাস গ্রন্থ রয়েছে যেখানে ৫ম শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে শুরু করে ৬৬১ সালের ঘটনাবলীর বিবরণ রয়েছে।[৩] প্রথম অধ্যায়ের শুরুতে আর্মেনিয়ার কাল্পনিক ভিত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে হাইক ও বেল এর গল্প থেকে শুরু করে ৫৭০ সালে দ্বিতীয় ভারদান মামিকোনিয়ানের উত্থানসহ সমসাময়িক ইতিহাসের দিকে গল্পটি এগিয়ে যায়। এরপর গল্পকার পারস্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মাঝে বিভিন্ন সংঘর্ষ ও মৈত্রীর বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয় ৬২২ খ্রিস্টাব্দে একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির উত্থান – ইশমায়েলিদের (অর্থাৎ আরবদের) উত্থান।[৪]
এই অধ্যায়ে বর্ণিত আছে কিভাবে মুহাম্মদ (সা.) প্রথমে আব্রাহামের বংশধর হিসেবে ইশমায়েলি ও ইহুদিদের (ইশমায়েলের মাধ্যমে আরব এবং ইসহাকের মাধ্যমে ইহুদি) নিয়ে একটি সম্প্রদায় তৈরি করেছিলেন।[৫] তারপর থেকে, ইশমায়েলিদের নাটকীয় আঞ্চলিক অগ্রগতি হয় যার মধ্যে ছিল সাসানীয় রাজবংশের বিরুদ্ধে তাদের বিজয়। এরপর ইশমায়েলি সেনাবাহিনীর বিভাজন ও প্রথম ফিতনার শুরুর কাহিনী বিবৃত হয়। আরমেনিয়ার সাথে এই ঘটনাবলীর সংযোগ তিনি বর্ণনা করেন। তিনি থামেন প্রথম ফিতনার সমাপ্তিতে, প্রথম মুয়াবিয়া সবার সাথে শান্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]