![]() প্রথম যুক্তরাজ্য মুদ্রণ | |
লেখক | হেইনরিখ হ্যারার |
---|---|
মূল শিরোনাম | Sieben Jahre in Tibet. Mein Leben am Hofe des Dalai Lama |
ধরন | ভ্রমণ সাহিত্য |
প্রকাশক | রুপার্ট হার্ট-ডেভিস (ইউকে) ই.পি. ডাটন (ইউএস) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৫২ |
ইংরেজিতে প্রকাশিত | ১৯৫৩ (ইউকে) ১৯৫৪ (ইউএস) |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডব্যাক এবং পেপারব্যাক) |
সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট: মাই লাইফ বিফোর, ডিউরিং অ্যান্ড আফটার বা তিব্বতে সাত বছর: আমার পূর্বের, বর্তমান এবং পরবর্তী জীবন (১৯৫২; জার্মান: Sieben Jahre in Tibet. Mein Leben am Hofe des Dalai Lama; ১৯৫৪ সালে ইংরেজিতে) হল অস্ট্রিয়ার পর্বতারোহী হেইনরিখ হ্যারার রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং সমাজতান্ত্রিক চীনা পিপল'স লিবারেশন আর্মির আক্রমণ চলাকালীন ১৯৪৪ এবং ১৯৫১ এর মধ্যে তার ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই গ্রন্থটি রচিত হয়।
বইটিতে হ্যারার এবং তার সঙ্গী পিটার আউফস্নেইটার ভারতের ব্রিটিশদের নির্যাতন শিবির থেকে পালানোর কাহিনি বিধৃত হয়েছে। হ্যারার এবং আউফস্নেইটার তখন তিব্বতের লাসায় যায়। এখানে তারা বেশকিছু বছর কাটায়; হ্যারার তৎকালীন তিব্বতি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয় এবং তা বইটিতে তুলে ধরে। হ্যারার ধীরে ধীরে ১৪তম দালাই লামার শিক্ষক ও বন্ধু হয়ে ওঠে। পরবর্তী চীনা সেনাদের এগিয়ে আসার পূর্বেই তিনি ১৯৫০ সালের নভেম্বর মাসে লাসা ত্যাগ করেন। ছুম্বি উপত্যকার কাছে কিছুদিন থাকার পর তিনি ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে তিব্বত ত্যাগ করে ভারতে চলে যান।
সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট বইটি ৫৩টি ভাষায় অনূদিত হয়, এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক বিক্রিত বইও ছিল এটি। সে বছরে বইটির মোট ৩ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।[১]
ফ্ল্যামিঙ্গো মুদ্রণে প্রকাশিত এই বইটিতে ১৪তম দালাই লামা লেখকের কাজের প্রশংসা করে বলেন: "হ্যারার সবসময়েই তিব্বতের বন্ধু ছিল। আমাদের জন্য তার সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট, যা আমার দেশের সাথে হাজার হাজার মানুষের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।[২]
বইটির উপর ভিত্তি করে দুইটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। একটি হল হ্যান্স নিয়েটার পরিচালিত ৭৬-মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি প্রামাণ্যচিত্র সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট (১৯৫৬), যেখানে ধারণকৃত চিত্র ছাড়াও স্বয়ং হ্যারার কর্তৃক ধারণকৃত ও পরিবর্ধিত চিত্রসমূহও স্থান পায়। অপরটি হল জিন-জ্যাকুইস আনুয়াড পরিচালিত এবং ব্র্যাড পিট ও ডেভিড থিউলিস অভিনীত চলচ্চিত্র সেভেন ইয়ার্স ইন টিবেট (১৯৯৭)।
ওয়ার্কার্স ওয়ার্ল্ড-এর সাংবাদিক গ্যারি উইলসন হ্যারারের আত্মজীবনীকে "তার অভিযানের কল্পমিশ্রিত উপস্থাপনা" হিসেবে উল্লেখ করেন। লুইস এম. সাইমন বলেন, বইটি কেবল মূল চরিত্রের অন্ধকার অতীতকেই তুলে ধরেছে। লি জিয়ানহুয়া বলেন, বইটির মাধ্যমে হ্যারার "মানবাধিকারের বিচারক" আখ্যা লাভ করেছেন।
প্যাট্রিক ফ্রেঞ্চ ধারণা করেন বইটি লিখিত হয় ছদ্মনামে, তাই বইটির ইংরেজি সংস্করণে বেশ পরিবর্তন এসেছে। ঐ সময়ে একটি বইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক অতীত তুলে ধরা সত্যিই অচিন্তনীয় ছিল।
ডেভিড বাউয়ি একই নামে একটি সংগীতও রচনা করেন, যা তার আর্থলিং (১৯৯৭) অ্যালবামে রয়েছে।
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)।