সেলমা ইরমাক | |
---|---|
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ২০১৫ | |
নির্বাচনী এলাকা | সিরনাক |
কাজের মেয়াদ নভেম্বর ২০১৫ – এপ্রিল ২০১৮ (বরখাস্ত) | |
নির্বাচনী এলাকা | হাক্কারি |
ডেমোক্রেটিক সোসাইটি কংগ্রেস এর সহ-সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ২০১৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কিজিলটেপ | ৮ মার্চ ১৯৭১
সেলমা ইরমাক (জন্ম ৮ মার্চ ১৯৭১, কিজিলটেপ, তুরস্ক) হলেন তুরস্কের একজন কুর্দি রাজনীতিবিদ এবং পিস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি পার্টি (বিডিপি) এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) এর সাবেক এমপি।
ইরমাকের তুর্কি পার্লামেন্টের জীবনী নথিটি সংক্ষিপ্ত, সেখানে তাকে একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতক এবং অবিবাহীত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[১] তিনি যখন প্রথমবার গ্রেফতার হন সেসময় তিনি কোনিয়ার সেলযুক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য অধ্যয়নরত ছিলেন।[২]
১৯৯০ এর দশকে তিনি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সদস্য থাকার অভিযোগে প্রায় দশ বছর কারাগারে ছিলেন।
তিনি কয়েক বছর যাবৎ ডেমোক্রেটিক সোসাইটি পার্টির (ডিটিপি) সহ-সভাপতি ছিলেন।[৩] ২০০৮ সালের অক্টোবরে অপরাধ ও অপরাধীদের প্রশংসা করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের এই সাজা পরবর্তীতে ৫০০০ তুর্কি লিরা জরিমানায় রূপান্তরিত হয়।[৪]
তিনি ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে ডেরিকের মেয়র পদে নির্বাচন করেন। ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল ডিটিপির সহ-সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তাকে আবার মারদিনে একটি পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য থাকার অভিযোগে দায়ারবাকির ই টাইপ কারাগারে আটক করা হয়।[৫] ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ডিটিপি সদস্যদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়।[৬]
২০১০ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া তথাকথিত গণ 'কেসিকে ট্রায়ালে' ১৭৫ জন অন্যান্য কুর্দি রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে তারও বিচার করা হচ্ছে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্তও তা অব্যাহত ছিল।[৭] ২০১১ সালে তিনি সিরনাক প্রদেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন,[৮] কিন্তু গ্রেপ্তারের কারণে তিনি শপথ গ্রহণ করতে পারেননি।[৯] আদালত রায় দেয় যে সংসদীয় অনাক্রম্যতা, যা সাধারণত সব তুর্কি সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় কিন্তু তার তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। লেবার, ডেমোক্রেসি এবং ফ্রিডম ব্লক এবং অন্যান্য সংগঠনের রাজনীতিবিদরা এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।[১০]
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অন্যান্য অনেক সহবন্দীর সাথে অনশন করেন এবং আব্দুল্লাহ ওজালানের সমর্থনে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।
২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি দিয়ারবাকির হাই ক্রিমিনাল কোর্টের সিদ্ধান্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।[১১] মোস্তফা বালবে এর মামলায় তুর্কি সাংবিধানিক আদালতের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পর তিনি মুক্তি লাভ করেন।[১২] মুক্তি লাভের পর তিনি ২০১৪ সারের ৭ জানুয়ারি তারিখে তুর্কি পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ করেন[৯] এবং ডেমোক্রেটিক সোসাইটি কংগ্রেসের (ডিটিকে) সহ-সভাপতি হন এবং ২০১৬ পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে ছিলেন।[১৩] জুন মাসে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন[১৪]ে এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনে তিনি এইচডিপি পার্টি থেকে হাকারি এলাকার প্রতিনিধি হিসাবে এমপি নির্বাচিত হন।[১৫]
২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর তাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য এবং সন্ত্রাসী প্রচারণা চালানোর জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[১৬] ২০১৮ সালের মার্চ মাসে গাজিয়ানটেপের একটি আদালত এই সাজা বহাল রাখে[১৭] এবং একই বছর এপ্রিল মাসে তাকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।[১৮] ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি আব্দুল্লাহ ওজালানের জন্য আরও ভালো বন্দী অবস্থার দাবিতে লায়লা গুভেনের সাথে তার অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।[১৩] তুরস্কের ক্যাসেশন কোর্টের রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর বেকির শাহিন ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে সাংবিধানিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাতে ইরমাক এবং অন্যান্য ৬৮৬ জন এইচডিপি রাজনীতিবিদকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।[১৯] একইসাথে শাহিন পিকেকে এবং এইচডিপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বলে যুক্তি দেখিয়ে এইচডিপি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে মামলাটি দায়ের করেন।[১৯][২০]