ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সেলিম জাফর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | ১৯ নভেম্বর ১৯৬২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১০৬) | ২০ নভেম্বর ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৮) | ১৭ অক্টোবর ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১১ নভেম্বর ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ আগস্ট ২০২০ |
সেলিম জাফর (উর্দু: سلیم جعفر; জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৯৬২) সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেট প্রশাসক ও সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত সেলিম জাফরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার সেলিম জাফর অফের দিক থেকে সবিশেষ দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম ছিলেন।
১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। অভিষেক খেলাতেই ৫/১১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান তিনি। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম শেষে ১৯ গড়ে ৮০ উইকেট দখল করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে আমন্ত্রণের বিষয়টি কোন বিস্ময়ের কারণ ছিল না।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্ট ও ঊনচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে (ওডিআই) অংশগ্রহণ করেছেন সেলিম জাফর। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। ২০ নভেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে করাচিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ফয়সলাবাদে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, আঘাতের কারণে স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে পারেননি। ঐ সালের শেষদিকে বিশ্বকাপের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে, অস্ট্রেলীয়দের কাছে বেশ নাকানি-চুবানির শিকার হতে হয় তাকে।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল পাকিস্তান সফরে আসে। সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে করাচিতে পাঁচ-উইকেট পান। এরফলে, একই মৌসুমে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমনের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। এর পরপরই নিজস্ব সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমের ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুন্দর খেলেন। খেলায় ১৩৪ রান খরচায় আট উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, নিজস্ব একমাত্র পাঁচ-উইকেট লাভ করা ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর কানাডার ভ্যাঙ্কুবারের ব্রিটিশ কলম্বিয়া মেইনল্যান্ড ক্রিকেট লীগে খেলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০০৭ সালে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে মনোনীত হন।
# | পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৪০ | ৮ | নিউজিল্যান্ড | ব্যাসিন রিজার্ভ | ওয়েলিংটন | নিউজিল্যান্ড | ১৯৮৯ |
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | ভারত | নেহরু স্টেডিয়াম, পুনে | ২২ মার্চ, ১৯৮৭ | ৯-০-২৫-৩; ডিএনবি | পাকিস্তান ৬ উইকেটে বিজয়ী।[১] |