মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন | |
---|---|
![]() | |
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৮ নভেম্বর ১৯৭৫ – ৩১ জানুয়ারি ১৯৭৮ | |
পূর্বসূরী | বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম |
উত্তরসূরী | বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯১৭ লস্করপুর ইউনিয়ন, হবিগঞ্জ, পূর্ব বাংলা (বর্তমান: বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২ আগস্ট ১৯৮১ ঢাকা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
বাসস্থান | ঢাকা |
পেশা | আইন |
জীবিকা | আইনবিদ |
ধর্ম | ইসলাম |
বিচারপতি সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন (১৯১৭ - ২ আগস্ট ১৯৮১)[১] বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং ২য় প্রধান বিচারপতি।[২]
সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের হবিগঞ্জ জেলার লস্করপুর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল মোতাকাব্বির আবুল হোসেন।[২]
তিনি শায়েস্তাগঞ্জ হাইস্কুল, সিলেট এম সি কলেজ, কলকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।[৩]
ঢাকা দারুল উলুম আহসানিয়া মাদ্রাসার প্রধান হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৩০ সালে হবিগঞ্জ বারে যোগদানের মাধ্যমে জড়িত হয়ে পড়েন আইন পেশায়। ১৯৪৩-৪৮খ্রি. পর্যন্ত এপিপি’র দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৪৪-৪৭ সালে আসাম প্রভিন্সিয়াল মুসলিম লীগের কাউন্সিলার, ১৯৪৫-৪৭ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের কাউন্সিলর, ১৯৪৭-৫৫ সালে নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিলর ছাড়াও পাকিস্তান ও সিলেট রেফারেন্ডাম আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। কর্ম জীবনে তিনি ১৯৫১ সালে ফেডারেল কোর্ট অব পাকিস্তানের এটর্নি, ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট পরে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত এডভোকেট জেনারেল, ১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি নিযুক্ত হন।[৩]
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ২য় প্রধান বিচারপতি হিসাবে সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তিনি ১৯৭৫ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ও ১৯৭৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তারিখে উক্ত পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন।[১]
বিচারপতি মাহমুদ ১৯৮১ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫]