সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর | |
---|---|
আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | সৈয়দ ফজলুল করিম |
সভাপতি, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | সৈয়দ ফজলুল করিম |
চেয়ারম্যান, চরমোনাই ইউনিয়ন | |
অফিসে ২০০৩ – ২০১১ | |
পূর্বসূরী | আব্দুস সালাম রাড়ী |
উত্তরসূরী | সৈয়দ ইছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদীস, ফিকহ, ইসলামি আন্দোলন, রাজনীতি, তাসাউফ |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যেখানের শিক্ষার্থী | |
আত্মীয় |
|
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১) (যিনি পীর সাহেব চরমোনাই নামে অধিক পরিচিত)[১] একজন ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় আলোচক। বর্তমানে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২য় আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি। তিনি দুই মেয়াদে চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
রেজাউল করিম ১৯৭১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার চর মোনাই ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ ফজলুল করিম ও দাদা সৈয়দ মুহাম্মদ ইছহাক, উভয়ই বাংলাদেশের সুপরিচিত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার মোট ৬ ভাই ও ১ বোন। সৈয়দ ফয়জুল করিম তার অনুজ, বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। ২০০৬ সালে তার পিতা মারা যান। [২][৩]
তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া থেকে শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন। ১৯৯১ সালে এর আলিয়া শাখা থেকে কামিল পাশ করেন। পাশাপাশি এর কওমি শাখায়ও ক্লাসে অংশগ্রহণ করতেন। এরপর বরিশালের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ফিকহ ও হাদিসে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন। [৪]
শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়ার আলিয়া শাখার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে দীর্ঘদিন আলিয়া ও কওমি উভয় শাখার সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে তিনি উভয় শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। [৪] এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি [৪] এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ সভাপতি।
তিনি ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ২ মেয়াদে চর মোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [৫] তারপর তার ভাই সৈয়দ ইছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। [৬]
২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তার পিতার মৃত্যুর পর তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আমীর নির্বাচিত হন। [২]
ছাত্রজীবন থেকে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এর কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামি আন্দোলনে সক্রিয়তার কারণে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। [৪]
১৯৯৪ সালে তার পিতা সৈয়দ ফজলুল করিম থেকে তিনি খেলাফত প্রাপ্ত হন। ২০১৩ সালে মাহমুদুল হাসান তাকে খেলাফত প্রদান করেন। [২] ২০১৬ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদীর কাছ থেকেও খেলাফত পেয়েছেন।
২০১৯ সালের জুন মাসে এক সম্মেলনে পর্দা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “হাত মোজা, পা মোজা, নাক-চোখ ঢেকে, একেবারে, এটা কী? জীবন্ত ট্যান্ট (তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো; এর তো কোনো মানে হয় না”। তার এই বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন কটাক্ষপূর্ণ বলে উল্লেখ করে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানান রেজাউল করিম। [৭]