সৈয়দ হাশিম রাজা | |
---|---|
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ১ জুলাই ১৯৬১ – ৫ আগস্ট ১৯৬১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১০ [১] উন্নাউ, উত্তরপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান বাংলাদেশ)[১] |
মৃত্যু | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৩ [১] করাচী,পাকিস্তান |
রাজনৈতিক দল | নিখিল ভারত মুসলিম লীগ |
পুরস্কার | নিশান-ই-পাকিস্তান, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ |
সৈয়দ হাশিম রাজা একজন পাকিস্তানি বেসামরিক কর্মচারী এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্নর ছিলেন। [২]
সৈয়দ হাশিম রাজা ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। [৩]
১৯৩৩ সালে তিনি লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে তিনি আরও পড়াশুনার জন্য ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। [১]
সৈয়দ হাশিম রাজা ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৩৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী কালেক্টর ও ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি ১৯৪৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত লারকানা ও থারপাড়ার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্র ও জেনারেল বিভাগের উপসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রাদেশিক প্রেস উপদেষ্টা, সিন্ধুর গভর্নরের সচিব সহ অসংখ্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। [১]
১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের ফেডারেল রাজধানী করাচির প্রথম প্রশাসক ছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর করাচিতে মারা গেলে প্রকৃত পক্ষে তিনি প্রশাসকের পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ছিলেন জিন্নাহর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী। [১] ১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি সিন্ধু প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১ জুলাই ১৯৬১ সাল থেকে ৫ আগস্ট ১৯৬১ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ছিলেন ।
সৈয়দ হাশিম রাজা দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর কিডনি বিকল হওয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে পাকিস্তানের করাচিতে ৯২ বছর বয়সে মারা যান। [৪] সালমা রাজার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। তার দুই কন্যা এবং দুই পুত্র, ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলী রাজা এবং পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সৈয়দ সেলিম রাজা । [১]