সোগা নো উমাকো | |
---|---|
蘇我 馬子 | |
জন্ম | ৫৫১ খ্রিস্টাব্দ |
মৃত্যু | জুন ১৯, ৬২৬ |
সমাধি | শিমানোশো, আসুকা, নারা অঞ্চল, জাপান |
স্মৃতিস্তম্ভ | ইশিবুতাই কোফুন |
অন্যান্য নাম | শিমা নো উওমি, 嶋大臣 |
কর্মজীবন | ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ – সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত |
পরিচিতির কারণ | আসুকা যুগ এ রাজনীতির পুনঃবিন্যাস, রাজকুমার শতকু'র সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতা, বুদ্ধবাদ এর প্রচারক |
দাম্পত্য সঙ্গী | মনোনোবে নো ওগুশি'র কন্যা |
সন্তান | কাহিকো নো ঈরাতসুমে, সোগা নো এমিশি, সোগা নো কুরামারো, তোজিকো নো ঈরাতসুমে, হোদে নো ঈরাতসুমে |
পিতা-মাতা | সোগা নো ইনাম |
সোগা নো ইনাম (Soga no Iname) এর পুত্র ছিলেন সোগা নো উমাকো (Soga no Umako) এবং একই সাথে জাপানের ক্ষমতাশালী সোগা গোত্রের (soga clan) সদস্য। সম্রাট বিদাতসু (Emperor Bidatsu) এবং সম্রাজ্ঞী সুইকো'র (Empress Suiko) শাসনামলে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাজনীতির পুনঃর্বিন্যাস করেন। এই কাজে রাজকুমার শতকু'র সঙ্গ পান। সম্রাটের পরিবারের সদস্যের সাথে সোগা নো উমাকো তার মেয়ের বিয়ে দেন। সরকার পক্ষের সাথে এ আত্মীয়তার মাধ্যমে সোগা গোত্র আরোও দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয়। ষষ্ঠ (৬'ষ্ঠ) শতাব্দীর গোড়ার দিকে সোগা নো উমাকো (Soga no Umako) বুদ্ধবাদ প্রচারের লক্ষ্যে পুরো জাপানে বেশ লম্বা ভ্রমণে বের হন। এ সময়ে উমাকো চীন এবং কোরিয়া'র হয়ে অভিবাসী হিসেবে চাকরি করেন। এই সময়কালে তিনি প্রযুক্তি এবং জ্ঞানলাভ করেন। সোগা নো উমাকো- যিনি কি না বুদ্ধবাদের প্রচারক ছিলেন, সেই তিনিই 'শিগিশেন যুদ্ধ' (Battle of Shigisen) এ মোনোহোবে নো মোরিয়া'কে (Mononobe no Moriya) পরাস্ত করেন। এই যুদ্ধের ফলে সোগা গোত্রের কর্তৃত্ব আরোও সুরক্ষিত এবং মজবুত হয়। ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫'ই জানুয়ারি বুদ্ধ সাক্ষ্যমুনির ধ্বংসাবশেষ আসুকা-ডেরা'র (Asuka-dera; বর্তমানে হোকো-জি, Hōkō-ji) একটি প্যাগোডা'র ভিত্তির(Foundation) খুঁটির (Pillar) ভেতর সুরক্ষিত করে রাখা হয়। উমাকো'র নির্দেশমতন নিহোঙ্গি'র (Nihongi) সুইকো (Suiko) অংশে নির্মাণ করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, ইশিবুতাই কোফুন'ই হলো সোগা নো উমাকোর সমাধিক্ষেত্র।
মনোনোবে নো ওগুশি'র ( Mononobe no Ogushi) কন্যা এবং- একই সাথে মনোনোবে নো মোরিয়া'র (Mononobe no Moriya) বোন ছিলেন সোগা নো উমাকো'র সহধর্মিনী। তাদের পাঁচটি সন্তান ছিল।