ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
জন্ম | মদিনা, সোনিপাত, হরিয়ানা | ১৫ এপ্রিল ২০০২
ক্রীড়া | |
ক্রীড়া | কুস্তি |
সোনম মালিক (জন্ম ১৫ই এপ্রিল ২০০২) হরিয়ানার সোনপাতের একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির। তিনি জাতীয় গেমসে একটি স্বর্ণপদক এবং বিশ্ব ক্যাডেট রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। কাজাখস্তানের আয়োজিত এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারের চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠে সোনম ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ৬২ কেজি মহিলাদের একক কুস্তি বিভাগে অংশগ্রহণের জন্যে একটি কোটাস্থান অর্জন করেছেন।[১][২][৩]
সোনম জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২০০২ সালের ১৫ই এপ্রিল হরিয়ানার সোনিপটের মদিনা গ্রামে। তার বাবা এবং খুড়তুতো ভাইরা কুস্তিগির। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সোনমের এই ক্রীড়াটি অনুসরণের সিদ্ধান্ত। তিনি তার গ্রামের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কোচ আজমির মালিকের অধীনে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। তবে প্রশিক্ষনকেন্দ্রটি শুরু করার জন্য অপর্যাপ্ত ছিল এবং কোচিং একাডেমিতে অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত মাদুর ছিল না। এমনকি খেলোয়াড়দের মাঠে প্রশিক্ষণ নিতে হত, বৃষ্টিপাতের দিনে মাঠটি কর্দমাক্ত হয়ে উঠলে, খেলোয়াড়দের রাস্তায় অনুশীলন করতে হত।[৪]
২০১৭ সালে একটি টুর্নামেন্টে, সোনমের কাঁধে আঘাত লাগে। প্রায় দেড় বছর ধরে এই চিকিৎসা চলতে থাকে। তার ক্রীড়াজীবন ছাড়াও পড়াশুনায় মালিক কলাবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছেন।[৫]
সোনম ২০১৬ সালে জাতীয় স্কুল গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। ২০১৭ সালে, তিনি ক্যাডেট জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে একটি রৌপ্য, বিশ্ব স্কুল গেমসে একটি স্বর্ণ, ক্যাডেট এশিয়ান রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে একটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ক্যাডেট ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করেন। ২০১৮ সালে, তিনি ক্যাডেট এশিয়ান রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ক্যাডেট ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে, মালিক আবার ক্যাডেট ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[৫]
২০২০ সালে, তিনি ২০১৬ রিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী সাক্ষী মালিককে দুবার পরাজিত করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথমটি জানুয়ারিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ট্রায়ালে এবং পরে ফেব্রুয়ারিতে এশীয় অলিম্পিক বাছাইপর্বে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৬][৭] ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কাজাখস্তানের আলমাটিতে আয়োজিত এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারের ফাইনালে উঠে সোনাম ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সরাসরি অংশগ্রহ্ণের জন্যে একটি কোটা স্থান অর্জন করেন।[৮]
তিনি একটি অলাভজনক সংস্থা অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট কর্তৃক বৃত্তিপ্রাপ্ত। এই সংস্থাটি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিক পদক জেতার জন্যে প্রশিক্ষণে সহায়তা করে।[৯]