সোনালী মহাশোল Tor putitora | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিম্যালিয়া |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | অ্যাক্টিনোপ্টেরিজি (Actinopterygii) |
বর্গ: | সিপ্রিনিফর্মেস (Cypriniformes) |
পরিবার: | সিপ্রিনিডি (Cyprinidae) |
গণ: | টর (Tor) |
প্রজাতি: | টি. পুটিটোরা (T. putitora) |
দ্বিপদী নাম | |
টর পুটিটোরা (Tor putitora) (এফ. হ্যামিল্টন, ১৮২২) |
সোনালী মহাশোল বা হিমালয়ী মহাশোল (বৈজ্ঞানিক নাম: Tor putitora) হচ্ছে মহাশোল মাছের একটি প্রজাতি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]
এই প্রজাতির অপরিণত মাছের পৃষ্ঠদেশ ধনুকের মত বাঁকা থাকে। তবে পরিণত মাছে পৃষ্ঠ এবং অঙ্কিয় দেশ প্রায় সোজা। মুখ ছোট, চিরটি সম্মুখ কিনারার নিচ পর্যন্ত প্রসারিত নয়, ঊর্ধ্বচোয়াল সামান্য দীর্ঘ। ঠোঁট পুরু ও মাংসল, নিচের ঠোঁটে একটি পশ্চাৎ খাঁজ বিদ্যমান যা নিরবচ্ছিন্ন এবং মধ্যবর্তী লোব তৈরি করে। ২ জোড়া উন্নত স্পর্শী বিদ্যমান।
এদের দেহের পৃষ্ঠভাগ সবুজাভ রূপালি, বর্ণের কিন্তু পার্শ্বদিক থেকে রূপালি বর্ণের সাথে সোনালি প্রতিফলন দেয়। সোনালি বর্ণের আঁইশগুলোর গোড়ার দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কালো বিন্দু যুক্ত হয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করে। পাখনাগুলো হ্লুদাভ বর্ণের। ভারতে সর্বোচ্চ ২.৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এই মাছ পাওয়া গেছে।[৩]
এদেরকে হিমালয় অঞ্চলের পাওয়া যায়। এটি দ্রুত স্রোতের নদী, নদীর জলভূমি এবং হিমালয় অঞ্চলের হ্রদে দেখা যায়। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান অঞ্চলে পাওয়া যায়।[৩]
সর্বোচ্চ পানির ১৫ মিটার গভীরতা এবং ১৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা জীবনধারণ এর পক্ষে সহায়ক।
নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। যা সোনালী মহাশোলের প্রধান খাদ্য।
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকায় প্রজাতিটি বিপন্ন তালিকার অন্তর্ভুক্ত [৪]