সোমারয় Sommarøy | |
---|---|
গ্রাম | |
![]() গ্রামের দৃশ্য | |
![]() | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Troms" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Troms" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়। | |
স্থানাঙ্ক: ৬৯°৩৮′০১″ উত্তর ১৮°০০′২৬″ পূর্ব / ৬৯.৬৩৩৬° উত্তর ১৮.০০৭৩° পূর্ব | |
Country | নরওয়ে |
Region | Northern Norway |
County | Troms |
District | Hålogaland |
Municipality | ট্রমসো পৌরসভা |
আয়তন[১] | |
• মোট | ০.৪১ বর্গকিমি (০.১৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[২] | ৮ মিটার (২৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২৩)[১] | |
• মোট | ৩০৪ |
• জনঘনত্ব | ৭৪১/বর্গকিমি (১,৯২০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | CET (ইউটিসি+01:00) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | CEST (ইউটিসি+02:00) |
Post Code | 9110 সোমারয় |
সোমারয় দ্বীপ (Sommarøy বা Sommerøya) হল উত্তর ইউরোপের দেশ নরওয়ের ট্রমস কাউন্টির ট্রমসো পৌরসভার পশ্চিম অংশে অবস্থিত একটি দ্বীপ, যা মাছ ধরার গ্রাম নামে পরিচিত। [৩][৪] এটি ট্রমসো শহরের প্রায় ৩৬ কিলোমিটার ( বা ২২ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত। সাদা বালির সৈকত এবং অপরূপ উপকূলীয় শোভার কারণে এটি প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। ০.৪১ বর্গ-কিলোমিটার ( বা ১০০ একর) আয়তনের গ্রামটির জনসংখ্যা ৩০৪ (২০২৩ খ্রিস্টাব্দে) এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৪১ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার ( বা ১,৯২০/বর্গ মাইল)। [১]
সোমারয় দ্বীপের মাছ ধরার গ্রামটি 'স্টোর সোমারোয়া' দ্বীপের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী 'হিলেসোয়া দ্বীপ'-এর অংশ এবং আশেপাশের ছোট ছোট দ্বীপগুলিকে জুড়ে রয়েছে। গ্রামের অধিবাসীদের জীবন জীবিকা মাছ ধরাকে ঘিরেই। আর আছে সাঁতার কাটা, পাহাড়ে চড়ার মতো কাজ। নির্দিষ্ট কোনও সময়ের ছকে তারা জীবনযাপন করেন না। যখন খুশি ঘুমোতে যান, যখন খুশি জাগেন, যখন খুশি খাবার খান।
মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও আনুষঙ্গিক শিল্পের জন্য পরিচিতি রয়েছে এই দ্বীপের। চমৎকার উপকূলীয় দৃশ্যের জন্য দ্বীপে পর্যটনও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর পর্যটকদের সংখ্যা কম নয়। এখানে ছোট ছোট অনেক হোটেল এবং কেবিন পর্যটকদের ভাড়ায় দেওয়া হয়। [৩][৫]
মূল বসতি ছিল পার্শ্ববর্তী দ্বীপ হিলেসোয়ায়, যেখানে পুরানো হিলেসোয় চার্চ অবস্থিত ছিল। এই সাইটটি ছিল যেখানে মধ্যযুগ থেকে ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে গির্জাটি কোয়ালোয়া দ্বীপের ব্রেনশোলমেনে স্থানান্তরিত হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক চার্চগুলি দাঁড়িয়েছিল। গ্রামের প্রধান কেন্দ্র ১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্টোর সোমারোয়া দ্বীপে স্থানান্তরিত হয়।
সোমারয় দ্বীপে, মে মাসের ১৮ তারিখ হতে ২৬ জুলাই পর্যন্ত— টানা ৬৯ দিন সূর্য অস্ত যায় না। আবার নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ সময় রাতের আঁধারে থাকে। আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে দ্বীপটির অবস্থানের কারণে এই সময়ে সূর্য একেবারেই উদিত হয় না।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে, নরওয়ের সরকারি দপ্তর 'ইনোভেশন নরওয়ে' নামে একটি বিপণন প্রচারাভিযান পরিচালনা করে [৬][৭][৮][৯] ওই প্রচার অভিযানে বলা হয়, সোমারয়ের বসবাসকারীরা চান যেন দ্বীপটিকে বিশ্বের প্রথম ‘টাইম-ফ্রি জোন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সোমারয়ের মানুষেরা নাকি সরকারের কাছেও দ্বীপের মধ্যে নাগরিক সময় বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এর পরেই বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেই খবর করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে হাজার দুয়েক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যা ১.২ বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছেছিল। এই প্রচারে সংবাদমাধ্যমগুলির খরচ হয়েছিল আনুমানিক ১১৪ লক্ষ মার্কিন ডলার, যেখানে 'ইনোভেশন নরওয়ে'-এর প্রচারাভিযানে ষাট হাজার মার্কিন ডলারের কম খরচ করেছে। [ 8 ][৪] তবে মজার বিষয় হল, বিষয়টি নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, তখন খবর রটে যে ‘ইনোভেশন নরওয়ে’ যে প্রচার করেছে তা ভুয়ো। তখন মাথায় হাত পড়ে অনেকের।