সোরায়া এসফানদিয়ারি-বখতিয়ারি | |||||
---|---|---|---|---|---|
ইরানের রানী সঙ্গী | |||||
![]() ১৯৫৩ সালে সোরায়া | |||||
ইরানের শাহবানু | |||||
পূর্বসূরি | মিশরের ফাওযিয়া | ||||
উত্তরসূরি | ফারাহ পাহলভি | ||||
জন্ম | সোরায়া এসফানদিয়ারি-বখতিয়ারি ২২ জুন ১৯৩২ ফারুখ শাহর, ইরান | ||||
মৃত্যু | ২৬ অক্টোবর ২০০১ প্যারিস, ফ্রান্স | (বয়স ৬৯)||||
সমাধি | |||||
দাম্পত্য সঙ্গী | মোহাম্মদ রেজা পাহলভি (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৫৮) | ||||
| |||||
রাজবংশ | পাহলভি (বিবাহসূত্রে) | ||||
পিতা | খলিল এসফানদিয়ারি বখতিয়ারি (১৯০১–১৯৮৩) | ||||
মাতা | ইভা কার্ল | ||||
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক (প্রাথমিক ও পরবর্তী জীবনে) শিয়া ইসলাম (বিবাহের সময়) | ||||
পেশা | অভিনেত্রী (১৯৬৫–১৯৯৮) |
সোরায়া এসফানদিয়ারি-বখতিয়ারি ((ফার্সি), Sorayâ Esfandiyâri-Baxtiyâri; ২২ জুন ১৯৩২ – ২৬ অক্টোবর ২০০১) ছিলেন একজন ইরানি অভিনেত্রী এবং ইরানের পাহলভি রাজবংশের নির্বাসিত শাহবানু (সম্রাজ্ঞী) এবং শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির দ্বিতীয় স্ত্রী।
সোরায়া এসফানদিয়ারি-বখতিয়ারি ২২ জুন ১৯৩২ সালে ইরানের এসফাহনের (ফারসান) ইংরেজ মিশনারি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] সোরায়া ছিলেন বখতিয়ারি অভিজাত পুরুষ এবং ১৯৫০-এর দশকে পশ্চিম জার্মানিতে ইরানি রাষ্ট্রদূত খলিল এসফানদিয়ারি বখতিয়ারি (১৯০১–১৯৮৩)[১] ও তার জার্মান স্ত্রী ইভ কার্লের (১৯০৬-১৯৯৪) জ্যেষ্ঠ এবং একমাত্র কন্যাসন্তান।[৩]
তার একমাত্র ছোট ভাই ছিল বিজান। তার পরিবারের দীর্ঘসময় ইরানি সরকার এবং কূটনৈতিক দলে জড়িত ছিল। সোরায়ার এক চাচা, সরদার আসাদ, ২০ শতকের প্রথম দিকে ফার্সি সংবিধান বিপ্লবের নেতা ছিলেন।[৪]
সোরায়া ইসফাহানে ও জার্মানির বার্লিনে শৈশব কাটান এবং বেড়ে ওঠেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও সুইজারল্যান্ডে শিক্ষা গ্রহণ করেন।[২]
১৯৪৮ সালে সোরায়ার, ফোরাফ জাফরের অনুরোধে লন্ডনে গুডারজ কর্তৃক একটি ছবির মাধ্যমে, তার নিকটতম আত্মীয় ফরো জাফর বখতিয়ারি কর্তৃক সম্প্রতি তালাকপ্রাপ্ত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সঙ্গে পরিচিত হন। সে সময় সোরায়া সুইস ফিনিশিং স্কুলে উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা সম্পন্নের পর লন্ডনে ইংরেজি ভাষা অধ্যয়নরত ছিলেন।[৪] তাদের শীঘ্রই বাগদান হয়: শাহ তাকে একটি ২২.৩৭ ক্যারেট (৪.৪৭৪ গ্রাম) হীরার বাগদানের আংটি দিয়েছিলেন।[৫]
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ সালে তেহরানের মার্বেল প্রাসাদে সোরায়া রেজা পাহলভিকে বিয়ে করেন।[৬] মূলত ১৯৫০ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখে এই দম্পতি বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু সোরায়ার অসুস্থ হওয়ার কারণে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল।[৭]
১৯৫৮ সালে মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সোরায়া ফ্রান্সে চলে যান। প্যারিসেতিনি একটি চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন শুরু করেন এবং এই চলচ্চিত্রের জন্য শুধুমাত্র তার নামের প্রথম অংশ ব্যবহার করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, ডিনো দে লরেনটিসিস কর্তৃক রুশ সম্রাজ্ঞী সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রে তিনি মহান ক্যাথেরিন চরিত্রটি চিত্রিত করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু সেই প্রকল্পটি বাদ পরে ছিল।[৮] পরিবর্তে, তিনি ১৯৬৫ সালের চলচ্চিত্র আই ট্রে ভলি (তিনটি মুখ)[৯] চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং ইতালিয় পরিচালক ফ্রাঙ্কো ইডোভিনার (১৯৩২2-২৭) সহযোগী হন।[১০] ১৯৬৫ সালে তিনি শি চলচ্চিত্রে সোরায়া নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[১১]
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | টিকা |
---|---|---|---|
১৯৫৩ | জুইশেন গ্লুক উন্দ ক্রোন | স্বভূমিকায় | আর্কাইভ ফুটেজ |
১৯৬৫ | আই ট্রে ভলি | স্বভূমিকায়/লিন্ডা/মিসেস মেলভিল | |
১৯৬৫ | শি | সোরায়া | |
১৯৯৮ | লেজেনডেন | স্বভূমিকায় | পর্ব: "সোরায়া" |
Iranian royalty | ||
---|---|---|
শূন্য Title last held by মিশরের ফাওযিয়া
|
ইরানের রানী সঙ্গী ১৯৫১–১৯৫৮ |
শূন্য Title next held by ফারাহ দিবা
|