সোলোন (প্রাচীন গ্রিক: Σόλων, ইংরেজি ভাষায়: Solon) (খ্রিস্টপূর্ব ৬৩৮ - ৫৫৮) ছিলেন একজন বিখ্যাত এথেনীয় গ্রিক আইন প্রণেতা, কূটনীতিজ্ঞ ও কবি। আর্কায়িক এথেন্সের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে উত্তরণের জন্য তিনি আইন প্রণয়ন করেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার অবদান বিশেষ গুরুত্ব পায়নি, তার প্রণীত আইনও অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, কিন্তু কালের আবর্তে একসময় তাকেই আখ্যায়িত করা হয়েছে এথেনীয় গণতন্ত্রের জনক হিসেবে।[১][২][৩][৪]
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের এথেন্স সম্পর্কে তথ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের অভাবে সোলোন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।[৫][৬] তিনি অবসরে দেশপ্রেম প্রচার ও তার সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে কবিতা লিখতেন। তার রচনার অংশবিশেষ কেবল পাওয়া গেছে। তার লেখায় পরবর্তী কালের অনেক লেখক হাত দিয়েছেন এবং ভুলভাবেও কিছু লেখাকে তার বলে অভিহিত করা হয়েছে। হিরোডোটাস ও প্লুতার্ক-এর মত প্রাচীন লেখকদের লেখাই তার সম্পর্কে জানার প্রধান উপায়, যদিও তাদের জন্ম সোলোনের মৃত্যুর অনেক পরে এবং তখনও ইতিহাস পেশাদার শিক্ষার একটি শাখায় হয়ে উঠেনি। চতুর্থ খ্রিষ্টাব্দের দিকে Aeschines-এর মত বাগ্মীরা নিজেদের তৈরি অনেক আইনকেও সোলোনের বলে অভিহিত করেছেন।[৭]
প্রত্নতত্ত্ব সোলোনের যুগের কিছু শিলালিপির সন্ধান দিতে পেরেছে, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। কিছু পণ্ডিত তাই মনে করেন সোলোন ও তার যুগ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অপর্যাপ্ত প্রমাণের মাধ্যমে গড়ে ওঠা কিছু কল্পকাহিনীর সমতুল্য।[৮][৯] অনেকে আবার বিশ্বাস করেন তার সম্পর্কে বাস্তবসম্মত অনেক কিছু জানার উপায় রয়েছে।[১০] ইতিহাসের ছাত্রদের জন্য সোলোনের সময় নিয়ে অধ্যয়ন করাটা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে, কারণ এতে ঐতিহাসিক যুক্তির সীমারেখা নিয়ে একটা পরীক্ষার সুযোগ এসে যায়।[১১]