স্থাপিত | ১৯৭৬ |
---|---|
দেশ | সৌদি আরব |
কনফেডারেশন | এএফসি |
দলের সংখ্যা | ১৬ |
লিগের স্তর | ১ |
অবনমিত | এমএস লিগ |
ঘরোয়া কাপ | কিংস কাপ সুপার কাপ |
আন্তর্জাতিক কাপ | এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জিসিসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আল ইত্তিহাদ (নবম বার চ্যাম্পিয়ন) (২০২২–২৩) |
সর্বাধিক শিরোপা | আল-হিলাল (১৮ বার চ্যাম্পিয়ন) |
সর্বাধিক ম্যাচ | হুসেইন আবদুলঘানি (৪৪৮) |
শীর্ষ গোলদাতা | মাজেদ আবদুল্লাহ (১৮৯ গোল) |
সম্প্রচারক | কেএসএ স্পোর্টস |
ওয়েবসাইট | http://www.spl.com.sa |
২০২২–২৩ সৌদি পেশাদার লিগ |
সৌদি পেশাদার লিগ (আরবি: دوري المحترفين السعودي দাওরিয় রোশন আস-সৌদি) বা সৌদি ফুটবল লিগ হচ্ছে সৌদি আরবের অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল লিগের শীর্ষ বিভাগ। স্পন্সরশিপজনিত কারণে এটি রোশন সৌদি লিগ নামে পরিচিত।[১][২][৩][৪]
সৌদি পেশাদার লিগ প্রথম ১৯৭৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়,[৫] আল হিলাল সবচেয়ে সফল দল, দলটি লিগের ইতেহাসে (২০২২–২৩ পর্যন্ত) ১৮ বার শিরোপা লাভ করেছে।
২০২৩ সালে শুরু হওয়া, লোভনীয় চুক্তির ফলে ইউরোপীয় লিগ থেকে অসংখ্য শীর্ষ স্তরের খেলোয়াড়দের আকর্ষণ করার কারণে লিগটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপকভাবে প্রচার ঘটে। অবিলম্বে একটি তারকা-খচিত লীগে পরিণত হয়। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড সৌদি ভিশন ২০৩০ প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে একই বছরে চার প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবদের (আল-আহলি, আল-ইত্তিহাদ, আল-হিলাল এবং আল-নাসর) ৭৫% অংশীদারিত্ব নিয়েছে।
পঞ্চাশের দশকের শেষ নাগাদ সৌদি আরবের ফুটবল আঞ্চলিক ভিত্তিতে সংগঠিত ছিল, তখন দেশব্যাপী একমাত্র টুর্নামেন্ট ছিল কিংস কাপ। ১৯৫৭ সালে মধ্য, পশ্চিম, পূর্ব এবং উত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট সহ প্রথম জাতীয় লিগ অনুষ্ঠিত হয়, সেসময় কিংস কাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য ক্লাবগুলি তাদের আঞ্চলিক লিগে অংশ নিত এবং চূড়ান্ত পর্বে কিংস কাপে সুযোগ পেত। কিংস কাপের বিজয়ীকে লিগের বিজয়ী ধরা হতো।
১৯৮১ সালে ক্লাবের সংখ্যা বৃদ্ধি করার এবং দ্বিতীয় বিভাগ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৮১-৮২ এর লিগ প্রতিযোগিতা র্যাঙ্কিং লিগ হিসাবে পরিচিত, ১৮ টি ক্লাব নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়, শীর্ষ আটটি দল প্রথম বিভাগের জন্য এবং নীচের দশটি দল নতুন দ্বিতীয় বিভাগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। পরে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে প্রথম বিভাগের ক্লাবের সংখ্যা ১২ তে উন্নীত করা হয়।
১৯৯০ সালে স্থানীয় প্রতিযোগিতা পুনর্গঠন এবং পেশাদার ফুটবল লিগ প্রবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। "দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক লিগ" নামে একটি নতুন লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ গঠন করা হয়, এটি দুই-পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল। প্রথম পর্যায়ে নিয়মিত ডাবল রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং শীর্ষ ৪ দল নকআউট পদ্ধতির ফাইনালপর্বে উন্নীত হয়, একে গোল্ডেন স্কোয়ার বলা হয়। ক্লাবগুলিকে পেশাদার ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল যা লিগকে আধা পেশাদার লিগে পরিনত করে।
লিগটি ২০০৭ সালে পেশাদার লিগে পরিনত হয়।[৬]
২০০৮ সালের হিসাবে, সৌদি আরব থেকে প্রতি বছর চারটি দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এতে কিংস কাপের বিজয়ীর সাথে লিগের শীর্ষ তিনটি দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিংস কাপের বিজয়ী যদি চারটি শীর্ষ দলের মধ্যে থাকে তবে চতুর্থ সেরা দলটি বর্ধিত দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে এবং কিংস কাপের বিজয়ী যদি চারটি শীর্ষ দলের নীচে থাকে তবে চতুর্থ দলটি যোগ্যতা অর্জন করবে না এবং তৃতীয় সেরা দলটি বর্ধিত দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবে।
পুরষ্কারের অর্থমূল্য:[৭]
দলের নাম | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
আভা | আভা | যুবরাজ সুলতান বিন আবদুল আজিজ স্টেডিয়াম | ২০,০০০ [৮] |
আল-আদালাহ | আল-হাসা | যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন জালাবি স্টেডিয়াম | ২৬,০০০ [৯][১০] |
আল-আহলি | জেদ্দা | বাদশাহ আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি | ৬২,৩৪৫ |
আল-ইত্তেফাক | দাম্মাম | যুবরাজ মোহাম্মদ বিন ফাহাদ স্টেডিয়াম | ৩৫,০০০ [১১] |
আল-ফয়সালি | হারামাহ | আল মাজমা'আহ স্পোর্টস সিটি | ৭,০০০ |
আল-ফাতেহ | আল-হাসা | যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন জালাবি স্টেডিয়াম | ২৬,০০০ |
আল-ফায়হা | আল মাজমা'হ | আল মাজমা'আহ স্পোর্টস সিটি | ৭,০০০ |
আল-হাজেম | আর রাস | আল-হাজেম ক্লাব স্টেডিয়াম | ৮,০০০ [১২] |
আল-হেলাল | রিয়াদ | বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম | ২৫,০০০ |
আল-ইত্তেহাদ | জেদ্দা | বাদশাহ আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি | ৬২,৩৪৫ |
আল-নাসর | রিয়াদ | বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | ৬২,৬৮৫ |
আল-রায়েদ | বুরাইদা | বাদশাহ আবদুল্লাহ স্পোর্ট সিটি স্টেডিয়াম | ২৩,৬০০ |
আল-শাবাব | রিয়াদ | বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | ৬২,৬৮৫ |
আল-তাওয়ুন | বুরাইদা | বাদশাহ আবদুল্লাহ স্পোর্ট সিটি স্টেডিয়াম | ২৩,৬০০ |
আল-ওয়েহদা | মক্কা | বাদশাহ আবদুল আজিজ স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
দামাক | খামিস মুশাইত | যুবরাজ সুলতান বিন আবদুল আজিজ স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
1: ^ আল-ফয়সালি তাদের হোম খেলাসমূহ আল মাজমা'তে খেলে।
2: ^ আল-নাসর এবং আল-শাবাব হোম স্টেডিয়াম হিসাবে যুবরাজ ফয়সাল বিন ফাহাদ স্টেডিয়াম (২২,৫০০ আসন) ব্যবহার করে।
3: ^ দামাক তাদের হোম খেলাসমূহ আভাতে খেলে।
|
|
|
# | ক্লাব | চ্যাম্পিয়ন | রানার্স-আপ |
---|---|---|---|
১ | আল-হিলাল | ||
২ | আল-নাসর | ||
৩ | আল ইত্তেহাদ | ||
৪ | আল-শাবাব | ||
৫ | আল-আহলি | ||
৬ | আল-ইত্তেফাক | ||
৭ | আল-ফাতেহ | ||
৮ | আল-রিয়াদ |
শহর | শিরোনাম সংখ্যা | ক্লাব |
---|---|---|
রিয়াদ | আল-হেলাল (১৫), আল-নসর (৯), আল-শাবাব (৬) | |
জেদ্দা | আল-ইত্তেহাদ (৮), আল-আহলি (৪) | |
দাম্মাম | আল-ইত্তেফাক (২) | |
আল-হাসা | আল-ফাতেহ (১) |
১৯৭৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত, সৌদি আরব ফুটবল লিগে কোন পৃষ্ঠপোষক ছিল না, ২০০৯ সালে এর পরিবর্তন ঘটে, জাইন ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে শুরু চার বছরের জন্য সৌদি প্রফিশনাল লিগের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে সৌদি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত পৃষ্ঠপোষক ছিল আবদুল লতিফ জামিল।[১৪]
সময়কাল | পৃষ্ঠপোষক | ব্র্যান্ড |
---|---|---|
১৯৭৬-১৯৯০ | কোন পৃষ্ঠপোষক ছিল না | সৌদি প্রিমিয়ার লিগ |
১৯৯০-২০০৭ | কোন পৃষ্ঠপোষক ছিল না | দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক লিগ কাপ |
২০০৭-২০০৯ | কোন পৃষ্ঠপোষক ছিল না | সৌদি প্রিমিয়ার লিগ |
২০০৯-২০১৩ | জাইন | জয়ন সৌদি লিগ |
২০১৩-২০১৭ | আবদুল লতিফ জামিল | আবদুল লতিফ জামিল লিগ |
২০১৭-বর্তমান | কোন পৃষ্ঠপোষক নেই | সৌদি পেশাদার লিগ |
বোল্ডকৃত খেলোয়াড়গণ প্রো লিগে এখনও খেলছেন।