স্ক্রিলেক্স | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | সনি জন মুর ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৮ হাইল্যান্ড পার্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা |
|
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন |
|
কার্যকাল | ২০০৪-বর্তমান |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
সনি জন মুর (জন্ম: ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৮), পেশাগতভাবে যিনি স্ক্রিলেক্স নামে পরিচিত, হলেন ইলেক্ট্রনিক সঙ্গীত প্রযোজক, ডিজে, গায়ক এবং গীতিকার। তিনি উত্তর-পূর্ব লস অ্যাঞ্জেলেস এবং উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় হন। ২০০৪ সালে তিনি আমেরিকার পোস্ট-হার্ডকোর দল ফ্রম ফাস্ট টু লাস্ট-এর প্রধান গায়ক হিসেবে যোগদান করেন। নিজে একাকী কর্মজীবন শুরু করার পূর্বে তিনি এই দলের সাথে দুইটি স্টুডিও অ্যালবাম রেকর্ড করেন। ২০০৭ সালে তিনি একক শিল্পী হিসেবে সর্বপ্রথম সফর করেন।[১][২] ব্যান্ডে নতুন সদস্য নিয়োগের পর তিনি অল্টারনেটিভ প্রেস ট্যুর-এ যোগদান করে অল টাইম লো এবং দ্যা রকেট সামার নামক ব্যান্ডকে সমর্থন করেন। এরপর তিনি অল্টারনেটিভ প্রেস-এর বার্ষিক প্রচ্ছদে আবির্ভুত হন।[৩]
২০০৯ সালে জিপ্সিহুক মুক্তির পর, প্রযোজক নয়াহ শাইন-এর সাথে তিনি তার প্রথম অ্যালবাম বেলস রেকর্ড করার জন্য নির্ধারিত হন। যাহোক, তিনি এই অ্যালবাম স্থগিত কারে স্ক্রিলেক্স নামে কাজ করা শুরু করেন এবং তিনি তার অফিসিয়াল পাতা মাইস্পেস-এ মাই নেম ইজ স্ক্রিলেক্স গানটি বিনামূল্যে বিতরণ করেন। পরবর্তীকালে, তিনি ২০১০ সালের শেষার্ধে স্ক্যেরি মনস্টার অ্যান্ড নাইস স্পিরিটস গানটি প্রকাশ করেন, এবং ২০১১ সালের মধ্যভাগে মোর মনস্টারস অ্যান্ড স্পিরিটস প্রকাশ করেন। দুইটি গান-ই মধ্যপন্থী বাণিজ্যিক ব্যবসায়ে সফলতা লাভ করে। ৩০ নভেম্বর ২০১১ সালে, তিনি ৫৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড-এ সর্বমোট ৫টি বিভাগে মনোনীত হন। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ নৃত্য / ইলেকট্রোনিকা অ্যালবাম, শ্রেষ্ঠ নৃত্য রেকর্ডিং এবং শ্রেষ্ঠ রিমিক্সড রেকর্ডিং, অ শাস্ত্রীয় বিভাগে তিনি পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী এবং শ্রেষ্ঠ ছোট ফর্ম মিউজিক ভিডিও বিভাগে শুধু মনোনীত হয়েছিলেন।[৪] ৫ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, বিবিসি ঘোষণা করে যে স্ক্রিলেক্স ২০১২ এর শব্দের জন্য মনোনীত হয়েছেন।[৫] ১২ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, স্ক্রিলেক্স এমটিভি-এর ইলেকট্রনিক নাচ গানে বছরের শ্রেষ্ঠ শিল্পী নির্বাচিত হন।[৬] স্ক্রিলেক্স সর্বমোট ৮টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়লাভ করেছেন, এবং একজন ইলেকট্রনিক নাচ গান শিল্পী হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্র্যামি জয়ের বিশ্ব রেকর্ড ধরে রেখেছেন।[৭] স্ক্রিলেক্স ডিপলো-এর সাথে জ্যাক ইউ গ্রুপে এবং ডগ ব্লাড দলের সাথে বয়জ নইজ গ্রুপে কাজ করেছেন। স্ক্রিলেক্স দ্যা গামের সাথে এল চাপো নামে একটি গানেও কাজ করেছেন।
মুর উত্তর-পূর্ব লস অ্যাঞ্জেলেস-এর নিকটবর্তী হাইল্যান্ড পার্কে জন্মগ্রহণ করেন,[৮][৯] কিন্তু তিনি ২ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিস্কোর নিকটবর্তী ফরেস্ট হিলে চলে আসেন, যেখানে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ৯-১০ বছর বয়সে তিনি মোহাভি মরুভূমির একটি স্থানীয় বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু অবশেষে তিনি উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া-এ চলে আসেন। যখন তার বয়স ১২ ছিল, তখন তার পরিবার তার জন্মভূমি উত্তর-পূর্ব লস অ্যাঞ্জেলেস-এ চলে আসে, যেখানে তিনি চারুবিদ্যায়ে বিশেষজ্ঞ একটি বেসরকারী একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৪ বছর বয়সে তিনি পীড়নের জন্য তিনি গৃহে বিদ্যা গ্রহণ শুরু করেন। ২০০৪ সালে, তিনি জানতে পারেন যে তাকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করা হয়েছে।[১০] যদিও তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন বালক ছিলেন, তিনি মেক্সিকান এবং আমেরিকার নিকটবর্তী পূর্ব এবং দক্ষিণ লস অ্যাঞ্জেলেস-এর বাজে জোগাড়ে, এবং পরে রেভস নামক ইলেক্ট্রো ক্লাবে জড়িত হন।[১১][১২]
২০০৪ সালে, স্ক্রিলেক্স ফ্রম ফাস্ট টু লাস্টের প্রধান শিল্পী ম্যাট গুড-এর সাথে তাদের প্রথম অ্যালবামে গিটার বাজানোর জন্য যোগাযোগ করেন। জর্জিয়ায় পৌঁছানোর পর, স্ক্রিলেক্সের গান তিনজন স্টুডিও প্রযোজক (ডেরিক থমাস, এরিক ডেল এবং ম্যাকহেল বাটলার) শোনেন ও তাকে উক্ত ব্যান্ডের প্রধান গায়ক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন এবং ম্যাট গুড-কে প্রধান গিটার বাদক হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০০৪ এর জুনে, এপিটাফ রেকর্ডস নতুন সদস্যদের নিয়ে এই ব্যান্ডের প্রথম পূর্ণ অ্যালবাম প্রকাশ করে। বিভিন্ন সফর সফলতার সাথে সম্পন্ন করার পর প্রযোজক রস রবিন্সনের প্রযোজনায় তারা তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম হিরইন প্রকাশ করে। এই অ্যালবামটি ২০০৬-এর মার্চে প্রকাশ করা হয়। এই অ্যালবামটিও তাদেরকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়, কারণ এটিও সর্বোচ্চ বিক্রি হয়। এই ব্যান্ডটি সফলতার সাথে আরো অনেকগুলো সফর করে, যতক্ষণ না স্ক্রিলেক্স তার কণ্ঠ সমস্যায় ভোগে। এর ফলে ব্যান্ডটিকে তাদের অনেক সফর বাতিল করতে হয়। একটি সফল কণ্ঠ্য অস্ত্রোপচারের পর, স্ক্রিলেক্স তার ব্যক্তিগত কর্মজীবনের জন্য ব্যান্ডটিকে বিদায় জানায়। ব্যান্ডটির স্ক্রিলেক্সের সাথে সর্বশেষ সফর ছিল তাদের আদি শহর অরল্যান্ডোতে।
মুর জানান যে তিনি তার ব্যক্তিগত কর্মজীবনের জন্য ফ্রম ফাস্ট টু লাস্ট ব্যান্ডটি ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর তিনি একটি মাইস্পেস পাতা চালু করেন যেখানে তিনটি জিনিস প্রদর্শিত ছিল ('সংকেত', 'বিষুব', 'জোনাকি')। এর ফলে ফ্রম ফাস্ট টু লাস্ট ব্যান্ড ছাড়ার পর তিনি তার প্রথম অনুষ্ঠান পান। ২০০৭ সালের ৭ই এপ্রিল, হারপিষ্ট ক্যারল-এর সাথে স্থানীয় শিল্প ভবনে তিনি বিভিন্ন মূল গান পরিবেশন করেন। এর বেশ কিছু মাস পরে, মুর টিম স্লিপ-এর সাথে একটি সফরে যোগদান করেন। উক্ত সফরে মনস্টার ইন দ্যা ম্যাশিন এবং স্ত্রাতা ব্যান্ডও ছিল। মুর তার সফরে ডেমো সিডি বিতরণ করেন, তিনি প্রতি সফরে সর্বোচ্চ ৩০টি করে বিতরণ করতেন। এই সকল সিডি শুধু সফরগুলোতে বিতরণ করা হতো, যার প্রত্যেকটি 'শিশুর নীল খামে' মোড়ানো থাকত, সেই সাথে এগুলোতে স্ক্রিলেক্স অথবা তার ব্যান্ডের সদস্যদের নিজ হাতে আঁকা চিত্র থাকত।