স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল

স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
স্টুয়ার্ট চার্লস গ্লিন্ডার ম্যাকগিল
জন্ম (1971-02-25) ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
মাউন্ট ললি, পার্থ, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামম্যাগিলা গরিলা,[] এসসিজি
উচ্চতা১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ স্পিন
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কসিডব্লিউটি ম্যাকগিল (দাদা)
টিএমডি ম্যাকগিল (বাবা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৭৪)
৩০ জানুয়ারি ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩০ মে ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪১)
১৯ জানুয়ারি ২০০০ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৬ জানুয়ারি ২০০০ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং৪৫
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৪ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
১৯৯৬-২০০৮নিউ সাউথ ওয়েলস
১৯৯৭সমারসেট
১৯৯৭-৯৮ডেভন
২০০২-০৪নটিংহ্যামশায়ার
২০১১সিডনি সিক্সার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৪ ১৮৪ ১০৭
রানের সংখ্যা ৩৪৯ ১,৫৩৬ ১৭১
ব্যাটিং গড় ৯.৬৯ ১.০০ ৯.৯০ ৭.৭৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/২ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪৩ ৫৬* ২৬
বল করেছে ১১,২৩৭ ১৮০ ৪১,৪১৮ ৫,২২৮
উইকেট ২০৮ ৭৭৪ ১৯৩
বোলিং গড় ২৯.০২ ১৭.৫০ ৩০.৪৮ ২২.৫২
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২ ৪৩
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৮/১০৮ ৪/১৯ ৮/১০৮ ৫/৪০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৬/– ২/– ৭৬/– ২২/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৭ আগস্ট ২০১৭

স্টুয়ার্ট চার্লস গ্লিন্ডার ম্যাকগিল (ইংরেজি: Stuart MacGill; জন্ম: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১) পার্থের মাউন্ট ললি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে মূলতঃ ডানহাতি লেগ স্পিন বোলিং করতেন ‘ম্যাগিলা গরিলা’ নামে পরিচিত স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল[] ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস,[] নটিংহ্যামশায়ার,[] ডেভনসমারসেট দলে খেলেছেন।[] আধুনিককালের যে-কোন লেগ স্পিনারের তুলনায় তার স্ট্রাইক রেট সেরা।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

পার্থের কাছাকাছি মাউন্ট ললি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন ম্যাকগিল। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। তার বাবা টেরি ম্যাকগিল ও দাদা চার্লি ম্যাকগিলও একসময় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে এআইএস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে বৃত্তি লাভ করেন।[] এসময় তিনি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিলেও কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। এরপর দুই বছর কোন খেলায় অংশ নেননি।[] ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলতে নেমে ৬ উইকেট পান। ড্যারেন বেরি ছিলেন তার প্রথম শিকার।[] ঐ মৌসুমে ৩৭.০০ গড়ে ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন।[]

ইংরেজ গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে ক্লাব ক্রিকেটে ডেভনের টিভারটন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। সমারসেটের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশগ্রহণসহ সফরকারী পাকিস্তান এ দলের বিপক্ষে অংশ নেন।[] ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ২৮.১৪ গড়ে ৩৫ উইকেট পান।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের শেফিল্ড শীল্ডে দূর্দান্ত ক্রীড়া প্রদর্শন করায় তাকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জানুয়ারি, ১৯৯৮ সালে অ্যাডিলেডে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৩য় টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক হয়। দলের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ঐ খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/২২ লাভ করেন যা তার দলকে ড্র করতে সহায়তা করে।[১০] ঐ বছরের অক্টোবরে পাকিস্তান সফরে ২৭.৪৬ গড়ে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উইকেটলাভকারী হন।[১১] স্ট্রাইক রেট ভালো হওয়া স্বত্ত্বেও শেন ওয়ার্নের একচ্ছত্র প্রাধান্যের কারণে তিনি টেস্ট দলে নিয়মিত সদস্য হতে পারেননি। কিন্তু ওয়ার্নের তুলনায় শূন্যে বল কিছুটা ধীরগতিতে ফেললেও বলের উপর নিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরাতে পারতেন তিনি।

২০০৭ সালে ওয়ার্নের অবসর গ্রহণের পর তিনি পুনরায় দলে ফিরে এসেছিলেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ম্যাকগিল।[১২]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেন। ড্যামিয়েন মার্টিনগ্রেগ ম্যাথুজের সাথে ২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে এসবিএসের পক্ষে ধারাভাষ্যকার দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৯-২০১০ মৌসুমে ট্রিপল এম সিডনি ব্রেকফাস্ট প্রোগ্রামের দ্য গ্রিল টিমে রেডিও উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

টেস্টে ৫-উইকেট লাভ

[সম্পাদনা]
# পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
৫/৬৬  পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি পাকিস্তান ১৯৯৮
৫/৫৭  ইংল্যান্ড সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯
৭/৫০  ইংল্যান্ড সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯
৭/১০৪ ১৬  ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ২০০১
৫/১৫২ ১৮  ইংল্যান্ড মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়া ২০০২
৫/৭৫ ২২  ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেনসিংটন ওভাল ব্রিজটাউন বার্বাডোস ২০০৩
৫/৬৫ ২৪  বাংলাদেশ মারারা ওভাল ডারউইন অস্ট্রেলিয়া ২০০৩
৫/৭৭ ২৫  বাংলাদেশ বুন্দাবার্গ রাম স্টেডিয়াম কেয়ার্নস অস্ট্রেলিয়া ২০০৩
৫/৫৬ ২৫  বাংলাদেশ বুন্দাবার্গ রাম স্টেডিয়াম কেয়ার্নস অস্ট্রেলিয়া ২০০৩
১০ ৫/৮৭ ৩১  পাকিস্তান সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ২০০৫
১১ ৫/৪৩ ৩২ আইসিসি বিশ্ব একাদশ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ২০০৫
১২ ৮/১০৮ ৩৭  বাংলাদেশ ফতুল্লা উসমানি স্টেডিয়াম ফতুল্লা বাংলাদেশ ২০০৬

টেস্টে ১০-উইকেট লাভ

[সম্পাদনা]
# পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
১২/১০৭  ইংল্যান্ড সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সিডনি অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯
১০/১৩৩ ২৫  বাংলাদেশ বুন্দাবার্গ রাম স্টেডিয়াম কেয়ার্নস অস্ট্রেলিয়া ২০০৩

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]