স্টেফানি মাইয়ার | |
---|---|
স্থানীয় নাম | Stephenie Meyer |
জন্ম | স্টেফানি মর্গান ডিসেম্বর ২৪, ১৯৭৩ হাৰ্টফোৰ্ড,কানেক্টিকাট, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | ঔপন্যাসিক, প্রযোজক |
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ব্রিগহাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ) |
ধরন | ভ্যাম্পায়ার রোমাঞ্চ, কিশোর কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
দাম্পত্যসঙ্গী | ক্রিশ্চিয়ান মাইয়ার (বি. ১৯৯৪) |
সন্তান | ৩ |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | |
stepheniemeyer |
স্টেফানি মাইয়ার (ইংরেজি: Stephenie Meyer; জন্মনাম মরগ্যান; জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৩) একজন মার্কিন কিশোর ঔপন্যাসিক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক, তিনি তার ভ্যাম্পায়ার রোমাঞ্চকর ধারাবাহিক টোয়াইলাইটের জন্য সুপরিচিত।[১][২][৩] টোয়াইলাইট উপন্যাস সমূহ বিশ্বজোড়ে খ্যাতি অর্জন করে এবং ১০০ মিলিয়নেরও অধিক বই বিক্ৰি হয়,[১][৪] একইসাথে ৩৭টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়ও অনূদিত হয়।[২][৩] ২০০৮ সালে ২৯ মিলিয়ন[৫][৬] এবং ২০০৯ সালে ২৬.৫ মিলিয়ন[৭] বই বিক্রি করে মাইয়ার ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে আমেরিকায় সর্বোচ্চ বইবিক্রেতা লেখক হন। ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বইয়ের দোকানসমূহে টোয়াইলাইট ছিল সৰ্বাধিক বিক্ৰি হওয়া বই।[৮]
টাইম ম্যাগাজিনের ২০০৮ সালে ১০০ জন শীৰ্ষ প্ৰভাবশালী ব্যক্তির তালিকায়" মাইয়ার ৪৯তম স্থান দখল করেন,[৯] এবং ২০০৯ সালে বিশ্বের শীৰ্ষ ১০০জন ক্ষমতাধর সেলিব্রেটির তালিকায় ফোর্বস সেলিব্রেটির ২৬তম স্থান লাভ করেন। তার বার্ষিক উপাৰ্জন ৫০ মিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্ৰম করে।[১০] ২০১০ সালে বার্ষিক ৪০ মিলিয়ন ডলার উপাৰ্জনকারী হিসেবে ফোর্বস মাইয়ারকে সবথেকে ক্ষমতাধর ৫৯তম সেলিব্রেটির স্থান দেয়।[১১]
হাৰ্টফোৰ্ড, কানেক্টিকাটে জন্মগ্রহণ করা স্টেফানি মাইয়ার, পিতা স্টিভেন এবং মাতা ক্যান্ডি মরগ্যানের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।[১২] পাঁচ ভাইবোন; সেথ, এমিলি, জেকব, পল এবং হেইডির সাথে তিনিও ফিনিক্স, অ্যারিজোনাতে বেড়ে উঠেন। তিনি স্কট্সডেল,আরিজোনায় চাপারল হাই স্কুলে শিক্ষাগ্ৰহণ করেন, যেখানে তার পূর্বের ইংরেজি শিক্ষক তাকে "মেধাবী তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়" বলে স্মরণ করেন।[১৩] তিনি প্ৰভ, উটাহ-এর ব্রিঘাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্ৰহণ করেন এবং ১৯৯৭ সালে সেখান থেকে ইংরেজিতে বি.এ. ডিগ্ৰি লাভ করেন।[১৪] চার বছর বয়সে মাইয়ার তার স্বামী, ক্রিশ্চিয়ানের সাথে আরিজোনায় সাক্ষাৎ পান এবং ১৯৯৪ সালে যখন উভয়ের বয়স ২০ বছর তখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একত্রে তাদের তিনটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পূর্বে হিসাব পরীক্ষক হিসেবে কাজ করা ক্রিশ্চিয়ান মাইয়ার বৰ্তমানে সন্তানদের দেখাশুনা করার জন্য অবসর গ্রহণ করেছেন।[১৫]
মাইয়ার যীশু খ্রিস্টের আধুনিক সন্ত চার্চ-এর একজন সদস্য; তিনি বলেন যে তার ধর্মবিশ্বাসে তিনি কঠোর এবং মদ্যপান বা ধূমপান করেন না।[১৬] টোয়াইলাইট লেখার আগে মাইয়ারের লেখার কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা, এমনকি টোয়াইলাইটের আগে তিনি একটি ছোটগল্পও লেখেন নি। লেখক হবার কোনো সম্ভাবনা নেই ভেবে তিনি আইন বিদ্যালয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন; পরবর্তীতে তিনি উল্লেখ করেন যে তার বড়পুত্ৰ, গ্যাবের জন্ম তার মনের পরিবর্তন করে দেয় এবং তিনি বলেন "যখন গ্যাবের জন্ম হল, আমি শুধুমাত্র ওর মা হতে চেয়েছি।"[১৬] একজন লেখক হওয়ার আগে, পেশাদারী কাজ হিসেবে মাইয়ার শুধুমাত্র একটা সম্পদ-মালিকানা প্রতিষ্ঠানে অভ্যৰ্থনাকারী হিসেবে কাজ করেছেন।[১৫]
মাইয়ারের মতে ২০০৩ সালের ২ জুনে একটি স্বপ্নে তার মাথায় টোয়াইলাইটের ধারণাটি আসে।[১৭] স্বপ্নটি ছিল একজন মানবকন্যা এবং ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে, যে মেয়েটির প্ৰেমে পরে যায় কিন্তু তার রক্ত পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত ছিল।[১৭] এটার উপর ভিত্তি করে মাইয়ার একটি খসড়া লিখেন যা বৰ্তমান বইয়ের ত্ৰয়োদশ অধ্যায়।[১৮] তিনমাসের ভিতর, তিনি তার স্বপ্নকে একটি পূর্ণাঙ্গ বইয়ে রূপ দেন,[১৯] যদিও টোয়াইলাইট প্ৰকাশ করার তার কোন ইচ্ছে ছিলনা বরং নিজের মনোরঞ্জনের জন্য তিনি লিখেছিলেন।[২০] বইটির প্ৰতি উৎসাহীত হয়ে তার বোন, মাইয়ারকে পাণ্ডুলিপিটি বিভিন্ন প্ৰকাশন সংস্থাসমূহে পাঠানোর জন্য জোড় দেন।[১৫]
তার লেখা ১৫টি চিঠির মধ্যে ৫টির কোনো উত্তর আসেনি, ৯টি থেকে তার প্ৰস্তাব প্ৰত্যাখ্যান করা হয় এবং শেষটিতে রাইটাৰ্স হাউসের জোডী রীমার কাছ থেকে আশাবাদী উত্তর পায়।[২১] ২০০৩ সালের এক নিলাম অনুষ্ঠানে আটটি প্ৰকাশক টোয়াইলাইটের প্ৰকাশন স্বত্বের জন্যে প্ৰতিদ্বন্দিতা করে।[২১] নভেম্বরে মাইয়ার লিটল, ব্ৰাউন এন্ড কোম্পানির সাথে তিনটি বই প্ৰকাশ করতে ৭৫০,০০০ ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন।[২২] ২০০৫ সালে "টোয়াইলাইটের" প্ৰথম ৭৫,০০০ সংখ্যক বই প্ৰকাশিত হয়।[২১] প্ৰকাশের একমাসের ভিতর এটি শিশু গ্ৰন্থ বিভাগে "নিউ ইয়ৰ্ক টাইম্স বেষ্ট সেলার লিস্টে" পঞ্চম স্থান লাভ করে নেয়,[২৩] এবং পরে প্ৰথম স্থানে অধিষ্ঠিত হয়।[২৪] ২৬টিরও অধিক দেশে বইটির বৈদেশিক স্বত্ব বিক্ৰয় করা হয়।[২৫] পাবলিশার্স উইক্লিতে উপন্যাসটিকে বছরের শ্ৰেষ্ঠ গ্ৰন্থ বলে ঘোষণা করে এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস একে "সম্পাদকের পছন্দ" হিসেবে গ্ৰহণ করে।[২৬]
টোয়াইলাইটের সফলতার পর মাইয়ার আরো তিনটি ধারাবাহিক; নিউ মুন(২০০৬), এক্লিপ্স(২০০৭) এবং ব্রেকিং ডন(২০০৮) এ লিখে কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যান। প্ৰকাশের প্ৰথম সপ্তাহে নিউ মুন শিশু গ্ৰন্থ বিভাগে "নিউ ইয়ৰ্ক টাইমস বেস্ট সেলার লিস্টে" পঞ্চম স্থান অধিকার করে নেয় এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে প্ৰথম স্থান দখল করে একই অবস্থানে এগার সপ্তাহ ধরে থাকে। এই তালিকাতে এটা প্ৰায় ৫০ সপ্তাহ সময় কাটায়।[২৭] এক্লিপ্স মুক্তির পর "টোয়াইলাইট" বইয়ের প্ৰথম তিনটি ধারাবাহিক "দ্য নিউ ইয়ৰ্ক টাইমস বেস্ট সেলার লিস্টে" প্ৰায় ১৪৩ সপ্তাহ জুড়ে থাকে।[১৯] টোয়াইলাইট সিরিজের চতুৰ্থ বই, ব্রেকিং ডনের প্ৰথম প্ৰকাশেই ৩.৭ মিলিয়ন বই ছাপা হয়।[২৮] প্ৰথম দিনেই এর ১.৩ মিলিয়নেরও অধিক বই বিক্ৰই হয়ে যায়।[২৯] জে কে রাউলিংয়ের দ্য টেলস্ অফ বিডল দ্য বার্ডের সাথে প্ৰতিদ্বন্দিতা সত্ত্বেও এটা মাইয়ারকে তার প্রথম ব্ৰিটিশ বুক এ্যাওয়ার্ড এনে দেয়।[৩০] এই ধারাবাহিকের বইসমূহ প্ৰায় ৩৭টি ভাষায়[৩১] গোটা বিশ্বজুড়ে ১০০ মিলিয়নেরও অধিক বিক্ৰি হয়।[৪] ২০০৮ সালে মাইয়ারের চারটি গ্ৰন্থই ইউএসএ টুডের' ইয়ার এন্ড বেস্টসেলার লিস্টের প্ৰথম চারটি স্থান অর্জন করে এবং বৰ্তমান পর্যন্ত এই স্থান দখল করা মাইয়ারই একমাত্ৰ সাহিত্যিক হবার সাথেসাথে ঐবছরের সর্বোচ্চ বইবিক্রেতা লেখক হিসেবে পরিগণিত হন।[৫] টোয়াইলাইট উপন্যাসসমূহ ইউএসএ টুডের ইয়ার এন্ড বেস্টসেলার লিস্টে, ২০০৯ সালে আবারো চারটি স্থান দখল করে নেয়।[৩২]
২০০৯ সালের আগস্ট মাসে, ইউএসএ টুডে ঘোষণা করে যে টানা ৫২ সপ্তাহ শীৰ্ষ ১০-এ অবস্থান করে, মাইয়ার তাদের বেস্টসেলার লিস্টে থাকা জে কে রাউলিংয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।[৩৩] এই বইগুলো দ্য নিউ ইয়ৰ্ক টাইমস বেষ্ট সেলার লিস্টে ১৪৩ সপ্তাহ জুড়ে ছিল। বেলা সোয়ানের দৃষ্টিতে এই ধারাবাহিকের চতুর্থ খণ্ড রচনা শেষে, মাইয়ার ব্রেকিং ডনকে অন্তিম উপন্যাস হিসেবে নির্দেশ করতে পারেন।[৩৪] এডওয়ার্ড কালেনের দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত মিডনাইট সান এই সিরিজের একটি সহ-উপন্যাস হবার কথা ছিল যেখানে টোয়াইলাইট উপন্যাসের ঘটনাসমূহ পুনর্ব্যক্ত হওয়ার কথা ছিল।[৩৫] মাইয়ার ব্রেকিং ডৌন মুক্তির কিছুদিন পরেই মিডনাইট সান মুক্তির কথা ভাবছিলেন। কিন্তু এর প্ৰায় ১২টি খসড়া অধ্যায় ইন্টারনেটে অজ্ঞাতে প্রকাশ পাওয়ায় মাইয়ার এর প্ৰকাশ অনিৰ্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ করে দেন।[৩৬] এই কর্মকাণ্ডের পরিপ্ৰেক্ষিতে মাইয়ার টোয়াইলাইট অসম্পর্কিত বই লেখার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেন। মিডনাইট সানের কয়েকটি খসড়া অধ্যায় তিনি নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন।[৩৫] ২০১৫-তে, বেস্টসেলিং ফ্র্যাঞ্চাইজির ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিনি লাইফ এন্ড ডেথ: টোয়াইলাইট রি-ইমাজিন্ড শিরোনামে, মূল মানবলিঙ্গের প্রধান চরিত্রের ইঙ্গিত করে, একটি বই প্রকাশ করেন।[৩৭]
মাইয়ার শাৰ্লট ব্ৰন্টের রচিত জেন আয়ার, এল এম মন্টগোমেরি রচিত অ্যানে অব গ্রিন গেবলস্ এবং এর ধারাবাহিকসহ ইত্যাদি বহু উপন্যাসকে টোয়াইলাইট সিরিজের অনুপ্ৰেরণা বলে উল্লেখ করেছেন।[৩৮] ধারাবাহিকের প্ৰতিটি বইই কোন না কোন ধ্রুপদী সাহিত্যকৰ্মের দ্বারা প্ৰভাবিত হয়েছিল: টোয়াইলাইট জেন অস্টেনের প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস দ্বারা; নিউ মুন শেকসপিয়রের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট দ্বারা; এক্লিপ্স এমিলি ব্রন্টির ইয়ুথারিং হাইটসের দ্বারা; এবং ব্রেকিং ডনের পটভূমি শেকসপিয়রের দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস[৩৯] এবং এ মিডসামার নাইট'স ড্রিম দ্বারা প্ৰভাবিত হয়েছিল।[৪০] মাইয়ার বলেন "আমি সারা জীবন ধরে বয়স্কদের জন্য লেখা বইসমূহ পড়ে আসছি। বয়স বাড়ার সাথেসাথে আমি উৎসুক বইপড়ুয়া হতে থাকি—বইয়ের আকার যত বড় হত, ভাল লাগার মাত্রাও তত বেশি হত।"[৪১] তিনি আরো বলেন যে তিনি অরসন স্কট কাৰ্ডের অনেক বড় একজন অনুরাগী এবং জেন অস্টিনের বইসমূহ "বছরে পুনরায় একবার না পড়ে তিনি থাকতে পারেন না"।[৪১]
মাইয়ার এও বলেন যে তার লিখনীতে সংগীতের যথেষ্ট প্ৰভাব রয়েছে এবং তিনি নিজের ওয়েবসাইটে তার বইগুলোকে অনুপ্ৰাণিত করা সংগীতসমূহের এক সূচী প্ৰকাশ করেন। মিউজ, ব্লু অক্টোবর, মাই কেমিক্যাল রোমান্স, কোল্ডপ্লে এবং লিঙ্কিন পার্ক এসবের মতো গানের-দল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার গানের সূচীতে ছিল।[৪২][৪৩][৪৪][৪৫] অন্যান্য যেসব স্থান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তা টোয়াইলাইট সাগা য় উল্লেখ করেছেন যারমধ্যে- এক্স-ম্যান কার্টুন, এইচজিটিভি, এবং আয়রন ম্যান ছবিসমূহ, সামহোয়্যার ইন টাইম, স্ট্র্যাঞ্জার দেন ফিকশন, এবং বেবি মামা উল্লেখযোগ্য।[৩৮] মাইয়ার স্বীকার করেন যে একজন মরমন বিশ্বাসী হওয়ার কারণে তার লিখনীতে তার বিশ্বাসের প্ৰভাব পরেছে। বিশেষত, তিনি বলেন যে তার চরিত্রসমূহ "রূপক অর্থের তুলনায়, কোত্থেকে এসেছে, এবং কোথায় যাবে, এই বিষয়ের উপর বেশি চিন্তার রেখাপাত করেছে।"[৪৬] মাইয়ার বলেন যে তার উপন্যাসসমূহে তিনি কোনভাবে মরমন প্ৰভাবান্বিত করতে চাননি, না যৌন নিঃস্পৃহা বা ধাৰ্মিক পবিত্ৰতার পক্ষেও প্রচার চালান, বরং তার লিখনীকে মূল্যবোধের আকৃতি দিয়েছেন, এবং বলেন
আমি যেই হই না কেন, আমি মনে করিনা সেজন্য আমার বইসমূহ অনেক বেশি চিত্র-শিল্পকর্মের বা রহস্যঘন হোক। আমার গল্পে সবসময় অনেক আলোকময় দিক রয়েছে।[৪৭]
২০০৭ সালের এপ্রিলে সামিট এন্টারটেইনমেন্ট টোয়াইলাইটকে চলচ্চিত্ৰে রূপ দিতে কাজ শুরু করে। ক্যাথেরিন হাৰ্ডউয়িকের প্রযোজনা এবং মেলিজা রোজেনবাৰ্গের চিত্ৰনাট্যে নিৰ্মিত এই চলচ্চিত্রটিতে[৪৮] ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট বেলা সোয়ানের চরিত্রে, রবার্ট প্যাটিনসন এডওয়াৰ্ড কালেনের চরিত্রে এবং টেইলর লোটনার জেকব ব্ল্যাকের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪৯] চলচ্চিত্রটি ২১শে নভেম্বর ২০০৮ সালে মুক্তি দেয়া হয়।[৫০] এতে মাইয়ার নৈশভোজের একটি দৃশ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একটি চরিত্ৰে অভিনয় করেন।[৫১] টোয়াইলাইটের সফলতা দেখে সামিট এন্টারটেইনমেন্ট ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে এর ধারাবাহিক চলচ্চিত্র দ্য টোয়াইলাইট সাগা: নিউ মুন, নিৰ্মাণের শুভ সংকেত দেয়।[৫২] ২০ নভেম্বর ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া[৫৩] চলচ্চিত্রটি ক্ৰিস ওয়েইটজার পরিচালনা করেন।[৫৪] ফেব্ৰুয়ারি,২০০৯-এ সামিট এই ধারাবাহিকের তৃতীয় বই, দ্য টোয়াইলাইট সাগা: এক্লিপ্স নিৰ্মাণ নিশ্চিত করে।[৫৫] ডেভিড স্ল্যাডের পরিচালনায় ৩০জুন, ২০১০ সালে এটি মুক্তি পায়। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে সামিট ব্রেকিং ডৌনের স্বত্ব ক্ৰয় করে,[৫৬] এবং ২০১০-এর জুনে একটি দুই-খণ্ডের চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণের অনুমোদন দিয়ে একই বছরের শেষের দিকে চলচ্চিত্ৰ নিৰ্মাণ শুরু করে।[৫৭] এই ধারাবাহিক চলচ্চিত্রের প্ৰথম খণ্ডটি ১৮ নভেম্বর, ২০১১ সালে মুক্তি পায় এবং দ্বিতীয় খণ্ডটি ১৬ নভেম্বর, ২০১২ সালে মুক্তি পায়।[৫৮]
২০০৮ সালের মে মাসে লিটল, ব্ৰাউন এন্ড কোম্পানীর বয়স্ক শাখায় মাইয়ারের বয়স্ক বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী উপন্যাস, দ্য হোস্ট প্ৰকাশ পায়। এতে মেলানি স্ট্রাইডার নামের এক কমবয়সী মহিলা এবং ওয়ান্ডারার নামের এক আক্ৰমণকারী ভিনগ্ৰহী "সত্তা"র কাহিনী বৰ্ণিত হয়েছে, যাদের এক হয়ে কাজ করার জন্য বাধ্য করা হয়। দ্য হোস্ট দ্য নিউ ইয়ৰ্ক টাইমস বেষ্ট সেলার লিস্টে প্ৰথম স্থান অর্জন করে আত্মপ্ৰকাশ করে[৫৯] এবং সেই তালিকায় প্ৰায় ২৬ সপ্তাহজুড়ে থাকে।[৬০] মাইয়ার বলেন যে তিনি হোস্ট সিরিজের পরবৰ্তী বইসমূহের উপর কাজ করছেন, এবং তিনি একটি ত্ৰিলোজি লেখার পরিকল্পনা করেছেন যার দ্বিতীয় বইয়ের নাম থাকবে "দ্য সোল" এবং তৃতীয় বইয়ের নাম থাকবে "দ্য সীকার"।[৬১] কানসাস সিটিতে অনুষ্ঠিত এক প্ৰশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে মাইয়ার বর্ণনা করেন যে তিনি ধারাবাহিক সমূহের বাহ্যিক চিত্ৰ ফুটিয়ে তোলার সাথেসাথে কিছু লেখাও সম্পূৰ্ণ করেছেন, তবে তিনি কিছুটা দুটানায় পরেছেন কারণ দ্য হোস্টের জগত একখান "ভয়ানক জায়গা", যেখানে চরিত্ৰসমূহের মৃত্যু ঘটিতে পারে, এবং তিনি নিশ্চিত না যে তার চরিত্ৰসমূহের মৃত্যু ঘটাবেন নাকি ঘটাবেন না।[৬২]
আন্ড্রিউ নিকোলের পরিচালনায় উপন্যাসটি থেকে চলচ্চিত্ৰ নির্মাণ করা হয়, এতে মেলানী স্ট্রাইডার চরিত্রে সাওরস রোনান, জ্যারেড হোউ চরিত্রে ম্যাক্স আয়রন্স এবং ইয়ান ও’শী চরিত্রে জ্যাক আবেল অভিনয় করেন।[৬৩][৬৪] চলচ্চিত্ৰটি ২৯ মার্চ, ২০১৩-তে মুক্তি পাওয়ার পর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।[৬৫][৬৬]
এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলীতে বলা হয় "এনি রাইসের পরে মাইয়ারই পৃথিবীর সবথেকে জনপ্ৰিয় ভ্যাম্পায়ার ঔপন্যাসিক",[৬৭] এবং দ্য গার্ডিয়ান মাইয়ারকে "একজন কল্পনাশক্তি সম্পন্ন কাহিনীকার, একজন সৃজনশীল সাহিত্যিক এবং প্ৰকাশন জগতে এক নতুন শক্তিশালী ব্যক্তি" বলে অভিহিত করে।[৬৮] টরন্টো সানের ওয়েইন জেইন্স এই বলে সহমত পোষণ করেন যে, "মাইয়ারের সফলতা অন্য একটি মোড় দেখিয়ে দিয়েছে— বিগত কয়েক বছরের বেষ্ট সেলার লিস্টের ভার্চুয়াল আধিপত্য সাধারণত তরুণ কল্পকাহিনীর উপর শ্রেণীবদ্ধ হয়েছে," এবং জানান,
নতুন কোন হ্যারি পটার অভিযানের অনুপস্থিতির কারণে- কিশোর, কল্পকাহিনীয়ে উৎসাহী এবং নারীরা (বেশীরভাগ বিক্রি মহিলাদের কাছে), যারা মাইয়ারের তৈরি পবিত্র ভালোবাসার জন্য মেয়ের, সতীত্বপূর্ণ ‘জ্যামস ডিনীয়’ ভ্যাম্পায়ারের ধারণায় বিমুগ্ধ হয়েছিল।"[৬৯] দ্য টাইমসের টাইমন স্মিথ, মাইয়ারকে "তরুণ কল্পকাহিনীর সুপারস্টার" আখ্যা দিয়েছেন।[৭০]
মাইয়ারকে ইউএসএ টুডে ২০০৮ সালে "বর্ষসেরা সাহিত্যিক" হিসেবে,[৭১] আখ্যা দেয়ার সাথে তাকে এমএসএন লাইফস্টাইলের ২০০৮ সালের সবথেকে প্ৰভাবশালী মহিলা হিসেবেও আখ্যা দেয়, যেখানে তাকে সাহিত্যিক জ্যোতিষ্ক নামে উল্লেখ করা হয়।[৭২] তিনি টাইম ম্যাগাজিনের "২০০৮ সালের সবথেকে প্ৰভাবশালী ১০০জন ব্যক্তি"র তালিকায় ৪৯তম স্থান অধিকার করেন,[৯] এবং তাদের "পিপল হো ম্যাটার্ড" এর তালিকায় লেভ গ্রোসম্যানের সাথে স্থান পান, যেখানে উল্লেখ করা হয়, "হয়ত আমেরিকানরা মরমন প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী নির্বাচনে প্রস্তুত নয়। তবে তারা বছরের বেস্ট সেলিং ঔপন্যাসিক হিসেবে মরমন বিশ্বাসীকে অভিষেক করতে অধিক প্রস্তুত।"[৭৩] মাইয়ার দ্য অ্যারিজোনা রিপাবলিকের "উপত্যকার সবথেকে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব" হিসেবে ডিসেম্বর ২০০৮-এ নির্বাচিত হন।[৭৪]
সাহিত্যিক অরসন স্কট কাৰ্ড বলেন যে "স্টেফানি মাইয়ারের লেখনী অতি প্ৰাঞ্জল, তিনি কখনো পাঠক এবং তাদের স্বপনের মধ্যে অবস্থান করেন না। তিনিই প্ৰকৃত জন"।[৭৫] স্কট, মাইয়ারকে এক "অপূৰ্ব প্ৰতিভা" বলে আখ্যায়িত করেন।[৭৬] নিউজউইকের এক সাক্ষাৎকারে, লেখক জডি পিকাল্ট বলেন, "স্টেফানি মাইয়ার লোকজনকে বই পড়ায় আবদ্ধ করেছেন, যা আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক।"[৭৭] মাইয়ার ফোর্বসে "হলিউডের সৰ্বাধিক উপাৰ্জনকারী মহিলা"র তালিকাতে পঞ্চম স্থান লাভ করেন, যেটাতে তিনিই একমাত্ৰ লেখিকা ছিলেন। উল্লেখ করা হয় যে "টোয়াইলাইট সিরিজ তরুণ-বয়সী ভ্যাম্পায়ার বইগুলো প্রকাশনা এবং চলচ্চিত্র জগতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে।"[৭৮]
মাইয়ার ভ্যানিটি ফেয়ারের ২০০৯ সালের "টপ ১০০ ইনফরমেশন এজ পাওয়ারস্" এর তালিকায় ৮২তম স্থান অর্জন করেন।[৭৯] জীবনকাহিনীমূলক কমিকের একটি নিবন্ধে মাইয়ার ফিমেইল ফোর্স হিসেবে উদ্ভাসিত হন, যেখানে ব্লুওয়াটার প্রোডাকশন শিরোনামে সমাজ এবং পপ-সংস্কৃতির প্ৰভাবশালী নারীদের প্রচার করা হয়।[৮০] এই কমিকে পূর্বে যেসব নারীদের জীবনকাহিনী প্রকাশিত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- অপরাহ উইনফ্রে এবং প্রিন্সেস ডায়ানা।[৫৩] ২০১১-তে সিইও-ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন তাকে সিইও-ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের শীর্ষ নারী চিত্তবিনোদনকারীদের একজন বলে গণ্য করে।[৮১] আমাজন কর্তৃক প্ৰকাশিত এক তালিকা অনুযায়ী জে কে রাউলিংকে পেছনে ফেলে মাইয়ার হচ্ছেন এই দশকের দ্বিতীয় সৰ্বাধিক বই বিক্ৰি হওয়া সাহিত্যিক।[৮২]
টোয়াইলাইট উপন্যাসসমূহ ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অলিম্পিক উপদ্বীপের একটি ছোট্ট শহর ফোৰ্কসে্র উপর লিখিত, যা তাকে প্রচুর তরুণ বয়স্ক-পাঠক ভক্ত এনে দিয়েছে। এভাবে ফোৰ্কসে্র ভক্তদের আকৰ্ষণ লাভ করে এবং ভক্ত-অনুরাগীরা ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়ানের জন্মদিনে স্টেফানি মাইয়ার দিবস পালন করে।[৮৩] ভক্ত-অনুসারীরা তাদের বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে: [তারা] বেলা সোয়ানের চরিত্রের মতো করে পোশাক পরিধান করে। তারা তাদের নিজেদের সম্বন্ধে গল্প লিখে এবং গল্পগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। তিনি যখন একটি বই-বিতানে গিয়েছিলেন, তখন ৩,০০০ লোক তার সাথে দেখা করতে আসে। তাছাড়া টোয়াইলাইট-সম্পর্কিত কিছু রক-ব্যান্ডও রয়েছে।[৮৪]
মাইয়ারকে জে কে রাউলিংয়ের সাথে তুলনা করে স্টিভেন কিং বলেন:আসল পাৰ্থক্যটা হল জে রাউলিং এক চমৎকার লেখক আর স্টেফানি মাইয়ার প্ৰায় লেখা জানেনই না। সে তেমন একটা ভালোও না।[৮৫][৮৬]
কিং বলেন:
লোকেরা এর কাহিনী, এবং এর গতি দ্বারা আকৰ্ষিত হয়, বিশেষকরে মাইয়ারের ক্ষেত্ৰে মনে হয় যেন, মাইয়ার তরুণীদের পুরো প্ৰজন্মের জন্য বইগুলো লিখেছেন যাতে প্ৰেম এবং যৌনতার এক নিরাপদ সম্পৃক্তি তুলে এনেছেন। এটা উত্কণ্ঠা এবং শিহরণদায়ক কিন্তু কোনভাবেই আশঙ্কাজনক নয় কারণ এটা অত্যধিক যৌনতাপূৰ্ণ নয়।
তিনি আবার বর্ণনা করেন:
বাহ্যিক অনেক দিক এখানে চিত্রায়িত হয়েছে, যেমন- ভ্যাম্পায়ার তার অগ্রবাহু অথবা হাতের ত্বক স্পর্শ করলে সে ভয়ে উষ্ণ-শীতল হয়ে চমকে উঠে। যা তরুণীদের জন্য, এই অনুভূতিটা তৎক্ষণাৎ উপলব্ধি করা অবাঞ্চক।[৮৬]
নারীবাদী লেখকদের দ্বারা মাইয়ার অ-নারীবাদী বলে সমালোচিত হয়েছেন। গোটা সিরিজে এক নিন্দাজনক সম্পৰ্কের প্ৰেমচর্চা করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এডওয়ার্ড কেন্দ্ৰিক বেলার জীবনে সব সময়ে বিপদ ঘণ্টা বেজেই থাকে; তার জীবনে কখনো নিজের কোন নিয়ন্ত্ৰণ নাই; তার জীবন, তার কুমারীত্ব এবং তার মানবত্ব সকল বিষয় রক্ষা করা এডওয়ার্ডের সামৰ্থের উপর নিৰ্ভরশীল; এমনকি এডওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কের ফলে বেলাই শারীরিকভাবে আঘাত পায়।[৮৭][৮৮][৮৯] মাইয়ার এই সমালোচনা নাকচ করে বলেন যে বইটি বেলার পছন্দের উপরেই কেন্দ্ৰ করে এবং তার বিপদগ্ৰস্থ নারী চরিত্ৰটি তার মানবতারই পরিচয় বহন করে।[৯০]
১৯৯৪ সালে স্টেফানি মাইয়ার, ক্রিস্টিয়ান মাইয়ারকে বিয়ে করেন। একত্রে তাদের তিনটি পুত্রসন্তান রয়েছেঃ গ্যাব, সেথ এবং এলি। এই পরিবার ক্যাভ ক্ৰিক, আরিজোনাতে বসবাস করেন,[৯১] এবং ওয়াশিংটনের মেরোস্টোনল্যান্ড দ্বীপে একটা ঘরও কিনেছেন।[৯২]
মাইয়ার একজন চলচ্চিত্র প্রযোজকও। প্ৰযোজক মেঘান হিবেটের সাথে একত্ৰে তিনি ২০১১-তে নিজস্ব এক প্ৰযোজনা প্ৰতিষ্ঠান শুরু করেন। যার নাম হচ্ছে ফিকল ফিশ ফিল্মস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে। মাইয়ার ২০১১ সালের বেশিরভাগ সময় ব্রেকিং ডৌনের দুই খণ্ড[৯৩] এবং শেনন হ্যালের উপন্যাস অস্টিনল্যান্ড প্ৰযোজনা করে কাটান।[৯৪]
১২ ফেব্ৰুয়ারি, ২০১২-তে মাইয়ার নিজের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেন যে ১৩ ফেব্ৰুয়ারি সোমবার থেকে তার উপন্যাস, দ্য হোস্টের চিত্ৰগ্ৰহণ শুরু হবে, যার প্ৰযোজক তিনি নিজেই।[৯৫]
এপ্ৰিল ২০১২-তে মাইয়ার ঘোষণা করেন যে তিনি লোইস ডানকানের উপন্যাস ডাউন এ ডাৰ্ক হলের প্ৰযোজনা করবেন।[৯৬]
মাইয়ারের একটি ছোটগল্প অতিপ্রাকৃতিক প্ৰভাব সংবলিত কিছু ভয়ানক প্ৰম নিশা বিষয়ে লেখা গল্পের সংকলন আকারে প্রম নাইটস ফ্রম হেল-এ প্রকাশিত হয়। মাইয়ারের গল্প “হেল অন আৰ্থ”, শ্বেবা নামের এক দানব এবং গেব নামের এক অৰ্ধ-দেবদূতের প্ৰেমকাহিনী সংবলিত ছিল। এই সংকলনে অন্যান্য যেসকল লেখক অবদান রাখেন, তারা হলেন- মেগ ক্যাবট, কিম হ্যারিসন, মিশ্যাল জ্যাফ এবং লোরেন মাইরাকল। প্রম নাইটস ফ্রম হেল ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশ পায়।
মাইয়ার অন্যান্য কয়েকটি বইয়ের ধরাণা উল্লেখ করেছেন, এদের মধ্যে রয়েছে "সামার হাউস" শীৰ্ষক একটি ভৌতিক গল্প, এবং সময়-ভ্রমণ বিষয়ে একটি উপন্যাস,[৯৭] এমনকি জলপরীদের নিয়েও অন্য একটি উপন্যাস।[৯৮][৯৯] ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট, ঘোষণা করা হয় যে মাইয়ার জেক্স মেনকিনের মিউজিক ভিডিও "দ্য রিজলিউশন"-এর চিত্ৰনাট্য লিখেছেন, এর পরের সপ্তাহে তিনি এর সহ-প্রযোজনা করেন।[১০০][১০১]
২০০৯ সালে মাইয়ার নিজ থেকে কাপড়ের এক শৈলী আরম্ভ করতে স্কেটবোর্ড এবং কাপড়ের প্ৰতিষ্ঠান হোবো স্কেট কোম্পানীর সাথে যুক্ত হন এবং টি-শার্ট ও স্কেটবোর্ড সহ তার বিজ্ঞান কল্পকাহিনী উপন্যাস দ্য হোস্টের সাথে সম্পৰ্কিত বস্ত্র-শৈলী তৈরি করেন।[১০২] ২০১০ সালের ১০ মাৰ্চে ঘোষণা করা হয় যে মাইয়ার দ্য শর্ট সেকেন্ড লাইফ অব ব্রী টেনার নামের ২০০পৃষ্ঠার একটি উপন্যাস রচনা করেছেন। ৫ জুন, ২০১০-এ তার এই বই প্ৰকাশিত হয় এবং ৭জুন থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মাইয়ারের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে বইটি বিনামূল্যে রাখা হয়।[১০৩][১০৪]
২০০৯-এর এপ্রিলে, মাইয়ারের বন্ধু ফেইথ হোশহ্যাল্টারের স্তন ক্যানসার ধরা পড়ার পর, মাইয়ার তার বন্ধু হোশহ্যাল্টারের মেডিকেল বিল পরিশোধ করতে সহায়তার জন্য প্রোজেক্ট বুক ব্যাব নামে জনহিতকর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মাইয়ার অনেক অগ্রিম রিডার কপি দান করেন এবং মূল পাণ্ডুলিপি নিলামে তুলেন।[১০৫][১০৬] একই বছর, মাইয়ার হোবো স্কেট কোম্পানীর সাথে জড়িত হয়ে দ্য হোস্ট-সংবলিত স্কেটবোর্ড নিলামে তুলেন, যা ১৫০০ ডলারে বিক্রি করে দাতব্য সংস্থায় দান করা হয়।[১০২]
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হয় যে মাইয়ার, ড্যানিয়েল ও’ম্যালির বই, দ্য রকের উপর ভিত্তি করে একটি টেলিভিশন সিরিজ নির্মাণ করছেন। এই প্রোগ্রামটি হুলু চ্যানেলে প্রদর্শন করা হবে এবং যুক্তরাজ্যের একটি চ্যানেল ঘোষণা করা হবে।[১০৭]
জুলাই ২০১৬-তে, ঘোষণা করা হয় যে তিনি "তার আগের নিয়োগকর্তাদের মধ্য থেকে সরে পড়ার চেষ্টাকারী একজন পূর্ব-প্রতিনিধি" সম্পর্কে, দ্য কেমিস্ট , শিরোনামে একটি গুয়েন্দা গল্প লিখেছেন । বইটি ৮ই নভেম্বর, ২০১৬-তে প্রকাশিত হয়।[১০৮]
"What was the other book besides Midsummer Night's Dream that you said influenced Breaking Dawn?" As noted above, it was The Merchant of Venice.