![]() | |||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্তেফান কারিম আল শারাউই | ||||||||||||||||
জন্ম | ২৭ অক্টোবর ১৯৯২ | ||||||||||||||||
জন্ম স্থান | সাভোনা, ইতালি | ||||||||||||||||
উচ্চতা |
১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) [১] | ||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড / উইঙ্গার | ||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | |||||||||||||||||
বর্তমান দল | মিলান | ||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৯২ | ||||||||||||||||
যুব পর্যায় | |||||||||||||||||
২০০১–২০০৬ | লেজিনো | ||||||||||||||||
২০০৬–২০০৮ | জেনোয়া | ||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||
২০০৮–২০১১ | জেনোয়া | ৩ | (০) | ||||||||||||||
২০১০–২০১১ | → পাদুভা (ধার) | ২৯ | (৯) | ||||||||||||||
২০১১– | মিলান | ৬৩ | (১৮) | ||||||||||||||
জাতীয় দল‡ | |||||||||||||||||
২০০৮ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৬ | ৮ | (৪) | ||||||||||||||
২০০৮–২০০৯ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৭ | ১৫ | (২) | ||||||||||||||
২০১০ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৮ | ৩ | (১) | ||||||||||||||
২০১০ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯ | ৫ | (১) | ||||||||||||||
২০১১– | ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ | ৫ | (৩) | ||||||||||||||
২০১২– | ইতালি | ১০ | (১) | ||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৩০ জুন ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
স্তেফান কারিম আল শারাউই (আরবি: ستيفان كريم الشعراوي; জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৯২), একজন ইতালীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরোয়ার্ড হিসেবে সিরি এ এর ক্লাব মিলান এবং ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। তার ডাকনাম ইল ফারাউনে (ফারাও)।[২] আল শারাউই তার কর্মজীবন শুরু করেন জেনোয়াতে। এরপর তিনি ধারে চলে যান পাদুভাতে, তারপর স্থানান্তরিত হন মিলানে। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পারি সাঁ-জের্মাঁয় চলে যাওয়ার পর তিনি মিলানের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ২০১২ সালে, দ্য গার্ডিয়ান কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ জন সেরা ফুটবলারের তালিকায় তিনি ৫২তম স্থান অর্জন করেন।[৩]
আল শারাউই ইতালি জাতীয় দল এবং ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, এছাড়া তিনি ইতালি অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের এবং ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। ২০১২ সালের আগস্টে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রদর্শনী খেলায় ইতালির সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়। আন্তর্জাতিক অভিষেকের তিন মাস পর, ২০১২ সালের নভেম্বরে, ফ্রান্সের বিপক্ষে শারাওই তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন।
আল শারাউই ইতালির সাভোনাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মিশরীয় এবং মা ইতালীয়। তিনি একজন নামমাত্র মুসলিম।[৪]
আল শারাউই তার যুব কর্মজীবন শুরু করেন ১৪ বছর বয়সে স্থানীয় সিরি এ ক্লাব জেনোয়ার হয়ে।[৪]
২০০৮ সালের ২১ ডিসেম্বর, ১৬ বছর এবং ৫৫ দিন বয়সে, কিয়েভোর বিপক্ষে খেলায় জেনোয়ার মূল দলে তার অভিষেক হয়। বদলি হিসেবে নেমে তিনি ১০ মিনিট খেলেন। সিরি এ এর ইতিহাসের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিষেক হয়।[৫] ওই মৌসুমে এই একটি মাত্র খেলায়ই তিনি মাঠে নামেন, যদিও অনেকগুলো খেলার স্কোয়াডে তিনি বদলি খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
২০১০ সালের জুনে তাকে ধারে পাদুভাতে পাঠানো হয়।[৬] অতি শীঘ্রই তিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হন। তিনি দলকে প্রমোশন প্লে-অফের ফাইনালে নিয়ে যান, যেখানে তারা নোভারার বিপক্ষে পরাজিত হয়। তিনি ২০১১ সালে সিরি বি এর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন।[৭]
২০১১ সালের ২৫ জুন, এ.সি. মিলানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন আল শারাউই।[৮] ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, নাপোলির বিপক্ষে মিলানের হয়ে তার অভিষেক হয়। ঐ খেলায় তারা ৩–১ গোলে পরাজিত হয়।[৯] তিন দিন পর, ক্লাসিও উদিনেজের বিপক্ষে আলেজান্দ্রে পাতোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমে মিলানের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন শারাওই। খেলাটি ১–১ গোলে ড্র হয়।[১০]
মিলানে শারাওই তার প্রথম ছয় মাসে মাত্র সাতটি খেলায় মাঠে নামেন। এতে করে সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি আরও বেশি খেলায় মাঠে নামার জন্য কোন দলে ধারে চলে যেতে পারেন। অবশ্য ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আর্দ্রিয়ানো গাল্লিয়ানি, কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির সাথে শারাওইকে অদূর ভবিষ্যত্ পর্যন্ত দলে রাখার সিদ্ধান্তে পৌছান। মিলানের হয়ে তিনি উন্নতি করতে থাকেন এবং ইতালির অন্যতম সেরা তরুন প্রতিভাবনে পরিণত হন। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, জুভেন্তাসের বিপক্ষে কোপা ইতালিয়ার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মিলানের হয়ে তিনি একটি গোল করেন, যদিও খেলায় তারা ১–২ গোলে পরাজিত হয়।[১১] তিন দিন পর, উদিনেজের বিপক্ষে তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়সূচক গোল করেন।[১২]
২০১২ সালের ২৫ জুলাই, শারাওই মিলানের সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[১৩][১৪] ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর, জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গের বিপক্ষে শারাওই তার প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল করেন। এতে করে ১৯ বছর এবং ৩৪২ দিন বয়সে এসি মিলানের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।[১৫][১৬] ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর, তিনি নগর প্রতিদ্বন্দী নাপোলির বিপক্ষে জোড়া গোল করার মাধ্যমে তিনি দলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় পরাজয় থেকে রক্ষা করেন।[১৭] তিনি তার দূর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখেন এবং কাতানিয়ার বিপক্ষেও জোড়া গোল করে দলকে ১–৩ গোলের জয় এনে দেন।[১৮]