আয়োজক | রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৮২ |
অঞ্চল | স্পেন |
দলের সংখ্যা | ২ (১৯৮২–২০১৮) ৪ (২০১৯–বর্তমান) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | রিয়াল মাদ্রিদ (১৩তম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | বার্সেলোনা (১৪টি শিরোপা) |
টেলিভিশন সম্প্রচারক | সম্প্রচারকের তালিকা |
সুপারকোপা দে এস্পানিয়া (স্পেনীয়: Supercopa de España; যা স্পেনীয় সুপার কাপ নামে সুপরিচিত) হলো স্পেনের সেরা চার ফুটবল ক্লাবের মধ্যে আয়োজিত একটি সুপার কাপ প্রতিযোগিতা। রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) দ্বারা পরিচালিত এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৮২ সালে দুই দলের প্রতিযোগিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান সংস্করণটিতে ২০১৯–২০ সাল থেকে চারটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে: যেখানে লা লিগা ও কোপা দেল রেইয়ের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার-আপ ক্লাব রয়েছে; যদি লা লিগা এবং কোপা দেল রেইয়ের চ্যাম্পিয়ন দল একই হয়, তবে লা লিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব প্রতিযোগিতা করে।[১]
এপর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাটি ১০টি ক্লাব জয়লাভ করেছে, যার মধ্যে ৫টি ক্লাব একাধিকবার জয়লাভ করেছে। বার্সেলোনা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাব, যারা সর্বমোট ১৪টি শিরোপা জয়ালাভ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, যারা এপর্যন্ত ১৩ বার এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মান অ্যাথলেটিক বিলবাও, যারা এপর্যন্ত ৩ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ২০২৪ সালে বার্সেলোনাকে ৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ক্লাবের ইতিহাসে ১৩তম বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
বর্তমান এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৮২ সাল থেকে বিদ্যমান। ১৯৪০ এবং ১৯৫৩ সালের মধ্যে, স্পেনীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং কাপ বিজয়ীদের (উক্ত সময়ের কোপা দেল হেনেরালিসিমো) মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২][৩][৪]
১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এই বিন্যাসের একটি ম্যাচের নাম ছিল কোপা দে কাম্পেওনেস।[৪] স্পেনের সামরিক সরকারের সাথে সুসম্পর্কের কারণে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত কোপা দে ওরো আর্জেন্টিনা নামে একটি প্রতিযোগিতার প্রস্তাব করার পূর্বে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।[২][৪] এই দুটি প্রতিযোগিতাই অনানুষ্ঠানিক ছিল এবং কেবল একবারই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২] ১৯৪১ সালে কোপা প্রেসিদেন্তে এফইএফ আরএফইএফ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং সংগঠিত একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; তবে, এটি কেবল একবারই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং যদিও এর ছোট বিন্যাসের লিগের ১২টি ম্যাচের মধ্যে ১১টি ১৯৪১ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে এর শেষ ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছিল।[৫] এছাড়াও ১৯৪৭ সালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হুয়ান দোমিঙ্গো পেরোন এবং তার স্ত্রী মারিয়া এভা দুয়ার্তে দে পেরনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আরএফইএফ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও সংগঠিত একটি বার্ষিক এবং আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা হিসেবে কোপা এভা দুয়ার্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি সাধারণত এক ম্যাচের ফাইনাল হিসেবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতো; যা বর্তমান স্পেনীয় সুপার কাপের পূর্বসূরী ছিল, এটি সর্বপ্রথম ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২][৪]
২০১৮ সালে, স্পেনীয় সুপার কাপ প্রথমবারের মতো একটি নিরপেক্ষ মাঠে একক ম্যাচ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] ২০১৯ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে ঘোষণা করা হয় যে স্পেনীয় সুপার কাপ চারটি দলে প্রসারিত হবে, যেখানে কোপা দেল রেই এবং লা লিগার চ্যাম্পিয়ন এবং রানার-আপ অংশগ্রহণ করবে। একই ঘোষণায় আরও জানানো হয় যে ম্যাচগুলো আগামী তিন বছরের জন্য সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে ১২০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের একটি চুক্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। সময়সূচীতে দলগুলোর "ধকল" কমাতে প্রতিযোগিতাটি জানুয়ারি মাসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।[১][৭] চুক্তিটি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে: রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক আরটিভিই-এর ক্রীড়া প্রোগ্রামিংয়ের প্রধান জেসুস আলভারেজ বলেছিলেন যে তারা সৌদি আরবের মানবাধিকার এবং মহিলা অধিকার রেকর্ডের প্রতিবাদে সুপার কাপের মিডিয়া অধিকারের জন্য বিড করবে না। লিগা নাসিওনাল দে ফুতবল প্রফেসিওনালের সভাপতি হাভিয়ের তেবাসও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ইউরোপীয় ফুটবলকে দেশটির "পিরেটিং" (পিরেট সম্প্রচারক বেআউটকিউ প্রসঙ্গে)।[৮] অতীতে, বিশ্বব্যাপী লা লিগা প্রসারিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তেবাস স্পেনের বাইরে (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রচারণা করেছিলেন।[৯] আরএসএফএফ সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস বলেছেন যে নারীরা সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ম্যাচগুলোতে দর্শক হিসেবে অংশ নিতে সক্ষম হবেন এবং "সমাজকে রূপান্তরিত করতে" ফুটবলের ব্যবহার হিসেবে চুক্তিটির পক্ষে কথহা বলেছিলেন।[১০][১১][১২]
ক্লাব | বিজয়ী | রানার-আপ | বিজয়ের বছর | রানার-আপের বছর |
---|---|---|---|---|
বার্সেলোনা | ১৪ | ১২ | ১৯৮৩, ১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১৩, ২০১৬, ২০১৮, ২০২২–২৩ |
১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০১২, ২০১৫, ২০১৭, ২০২০–২১, ২০২৩–২৪ |
রিয়াল মাদ্রিদ | ১৩ | ৬ | ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, ১৯৯৩, ১৯৯৭, ২০০১, ২০০৩, ২০০৮, ২০১২, ২০১৭, ২০১৯–২০, ২০২১–২২, ২০২৩–২৪ |
১৯৮২, ১৯৯৫, ২০০৭, ২০১১, ২০১৪, ২০২২–২৩ |
অ্যাথলেটিক বিলবাও | ৩ | ৩ | ১৯৮৪, ২০১৫, ২০২০–২১ | ১৯৮৩, ২০০৯, ২০২১–২২ |
দেপোর্তিভো লা কোরুনিয়া | ৩ | – | ১৯৯৫, ২০০০, ২০০২ | – |
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ২ | ৫ | ১৯৮৫, ২০১৪ | ১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০১৩, ২০১৯–২০ |
ভালেনসিয়া | ১ | ৩ | ১৯৯৯ | ২০০২, ২০০৪, ২০০৮ |
সেভিয়া | ১ | ৩ | ২০০৭ | ২০১০, ২০১৬, ২০১৮ |
রিয়াল সারাগোসা | ১ | ২ | ২০০৪ | ১৯৯৪, ২০০১ |
মায়োর্কা | ১ | ১ | ১৯৯৮ | ২০০৩ |
রিয়াল সোসিয়েদাদ | ১ | – | ১৯৮২ | – |
এস্পানিওল | – | ২ | – | ২০০০, ২০০৬ |
রিয়াল বেতিস | – | ১ | – | ২০০৫ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল | ম্যাচ | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
১ | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ১৪ | ২০ | [১৩] |
২ | রাউল | রিয়াল মাদ্রিদ | ৭ | ১২ | [১৪] |
৩ | করিম বেনজেমা | রিয়াল মাদ্রিদ | ৭ | ১৩ | [১৫] |
৪ | হ্রিস্তো স্তোইচকভ | বার্সেলোনা | ৬ | ১০ | [১৬] |
৫ | শিকি বেগিরিস্তাইন | রিয়াল সোসিয়েদাদ, বার্সেলোনা, দেপোর্তিভো লা কোরুনিয়া | ৬ | ১২ | [১৭] |
৬ | ফ্রেদেরিক কানুতে | সেভিয়া | ৫ | ২ | [১৮] |
৭ | আরিতস আদুরিস | অ্যাথলেটিক বিলবাও | ৪ | ২ | [১৯] |
৮ | রবের্ত লেভানদোভস্কি | বার্সেলোনা | ৪ | ৪ | [২০] |
৯ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ৪ | ৭ | [২১] |
১০ | ভিনিসিউস জুনিয়র | রিয়াল মাদ্রিদ | ৪ | ৭ | [২২] |