স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ কিংবা সোয়াডস বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি বিশেষ পরিশাখা।
সত্তরের দশকে বংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সীল ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্পেশাল ফোর্সেসের আলোকে একটি বিশেষায়িত ব্রিগেড গঠিত হয়েছিল। এই ব্রিগেড থেকেই অধুনা সোয়াডসের উৎপত্তি ঘটেছে।
উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশে ও বিদেশে (শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যদের সোয়াডসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। বিশেষ সামরিক অভিযানের জন্য গঠিত সোয়াডসের প্রশিক্ষণ ও ব্যবহার্য অস্ত্রের তালিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সীল (ইউনাইটেড স্টেটস নেভি সী, এয়ার অ্যান্ড ল্যান্ড টিমস)-এর আলোকে নির্ধারিত হয়েছে।
সোয়াডস এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন উল্লেখযোগ্য সামরিক অভিযানে নিয়োজিত হয়নি। যুদ্ধ আক্রান্ত কিছু দেশ যেখানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছে, সেসব দেশে কিছু ক্ষেত্রে ঝটিকা অভিযান, অনুপ্রবেশ ও উদ্ধারকার্যে সোয়াডসকে মোতায়েন করা হয়েছে। সোয়াডস মূলত সন্ত্রাস দমন, চোরাচালান দমন, মাদকবিরোধী, বন্দী উদ্ধার ইত্যাদি অভিযানের জন্য বিশেষায়িত। এছাড়াও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে বিশেষ অভিযানের জন্যও সোয়াডস বিশেষায়িত।
সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখা (ভূ, নৌ ও বিমান) থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সোয়াডস সদস্যবৃন্দ উচ্চ মাত্রার শারীরিক, মনস্তাত্ত্বিক ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। এই বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সমপর্যায়ের সামরিক আয়োজনের আলোকে নির্ধারণ করা হয়। প্রশিক্ষকগণ নিজেরা যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও তুরস্ক থেকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সোয়াডসের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ও প্রশিক্ষকগণ কার্যক্ষেত্রে নির্মমতা ও ত্রুটির ব্যাপারে অনমনীয়তা প্রদর্শনের জন্য খ্যাত।
সোয়াডস নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষায়িত ও দায়িত্মপ্রাপ্তঃ