বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন | |
---|---|
![]() স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের প্রতীক | |
সক্রিয় | ২০১১-বর্তমান |
দেশ | ![]() |
ধরন | প্রতিরক্ষামূলক নিরাপত্তা ইউনিট |
ভূমিকা | দেহরক্ষী |
আকার | প্রায় ১৪০০ জন |
অংশীদার | বাংলাদেশ পুলিশ |
ডাকনাম | এসপিবিএন |
কমান্ডার | |
বর্তমান কমান্ডার | শৈবাল কান্তি চৌধুরী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন |
উল্লেখযোগ্য কমান্ডার | মো. হায়দার আলী খান, সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (কমান্ডিং অফিসার) |
বিশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন) বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ শাখা।[১] এই বিশেষ ব্যাটালিয়নটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এবং বিদেশী মাননীয় ভিজিটরসহ সরকারের দ্বারা ভিআইপি হিসাবে মনোনীত কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়। এই বিশেষ পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন ভিআইপিদের অফিস কার্যালয় ও তাদের বাসস্থান এবং তাদের অনুষ্ঠানের স্থানগুলির নিরাপত্তা প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকে। এটি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের পাশাপাশি কাজ করে।
এটি ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ সালে গঠিত হলেও, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই হতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। [১][২]
বাংলাদেশ পুলিশের এই বিশেষ ইউনিটটি পুলিশের একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) এর অধীনে নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রধানত এসপিবিএন-এ দুটি বিশেষ ব্যাটালিয়ন রয়েছে যার প্রত্যেকটির নেতৃত্বে রয়েছে একজন সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (কমান্ডিং অফিসার)। প্রত্যেকটি ব্যাটেলিয়নে রয়েছে ৭০০ জন পুলিশ সদস্য যার ভেতরে ১২ জন অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্টসহ ১৫ জন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট, ৩৩ জন ইন্সপেক্টরসহ সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী উপ-পরিদর্শক, নায়েক ও কনস্টেবল সদস্য। একটি নিবিড় নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাংলাদেশ পুলিশ থেকে এই ইউনিটটিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। [২][৩]
ভিআইপিদের নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ সফররত অতিথির নিরাপত্তা প্রদান করাই এই ইউনিটের প্রাথমিক দায়িত্ব। সুতরাং, সকল এসপিবিএন কর্মকর্তা / সদস্যদেরকে ভিআইপিদের সুরক্ষা এবং খালি হাতে যুদ্ধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কৌশল শেখা বাধ্যতামূলক। [৪]
এছাড়াও তারা আগ্নেয়াস্ত্র, আক্রমণ ও হামলা, মোটরক্যাড সুরক্ষা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, আত্ম-প্রতিরক্ষা, কৌশলগত ড্রাইভিং, শারীরিক ও কৌশলগত প্রশিক্ষণ, সাঁতার, অনুসন্ধান ও সুইপিং কৌশল, আইইডি এবং ইওডি প্রশিক্ষণ, অগ্নি নির্বাপন এবং সংকট ব্যবস্থাপনা এবং শারীরিক আঘাতে প্রাথমিকভাবে জীবন বাঁচানো এই সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তারা ফায়ারিং রেঞ্জে সিমুলেশন তৈরি করে গোলাগুলির অনুশীলন করে থাকে। তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ বাহিনীর বাইরে, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষক, রাষ্ট্রপতি গার্ড রেজিমেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং অন্যান্য পুলিশ প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞগণ তাদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকে। কোর্স দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মত হতে থাকে। এসপিবিএন কর্মকর্তাদের জন্য প্রথম প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
নিসান প্যাট্রোল ওয়াই৬১ এবং টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ২০০ সিরিজগুলি প্রায়ই এসইউভি আকারে সুরক্ষামূলক মিশনে পাঠান হয়।
সমস্ত এসপিবিএন এর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইস্যুকৃত সাইড আর্মস গুলি হল গ্লক ১৭ এবং গ্লক ১৯, এছাড়া হেকলার ও কক এমপি৫ এর সংক্ষিপ্ত সংস্করণটি স্ট্যান্ডার্ড এসএমজি এবং এই দুই অস্ত্রের একাধিক মিশ্রনে এসপিবিএন সদ্যসদের প্রদান করা হয়। এসপিবিএন ২০১৫ সালের মার্চ থেকে অত্যন্ত পরিশীলিত অস্ত্র এসএমটি৯ (ব্রাজিলে তৈরি) ব্যবহার শুরু করে।
আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও এসপিবিএন কর্মকর্তারা এএসপি সম্প্রসারণযোগ্য ব্যাটন বা টেজার এরমত কম প্রাণঘাতী বিকল্প অস্ত্র বহন করে। হামলা চালাকালীন সময় ভিআইপি-দের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেবার জন্য স্টুন গ্রেনেড এবং ধোঁয়া গ্রেনেড ব্যবহার করে থাকে।