স্পেশাল ২৬ | |
---|---|
পরিচালক | নীরজ পান্ডে |
প্রযোজক | শীতল ভাটিয়া কুমার মংগত |
রচয়িতা | নীরজ পান্ডে |
উৎস | অপেরা হাউস নকল সিবিআই অভিযান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
চিত্রগ্রাহক | ববি সিং |
সম্পাদক | শ্রী নারায়ন সিং |
পরিবেশক | ভিয়াকম ১৮ মোশন পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৪৪ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹৩৯ কোটি |
আয় | ₹১২৬ কোটি |
স্পেশাল ২৬ বা স্পেশাল ছাব্বিশ (হিন্দি: स्पेशल 26) বলিউড নির্মিত হিন্দি থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র। এই ছবিটি ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। পরিচালক ছিলেন নীরজ পান্ডে। ১৯৮৭ সালে অপেরা হাউসে ঘটা নকল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) অভিযানের ঘটনা অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত।[২]
দিল্লী শহরে মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিয়াই হানা দেয়। তার আগে কয়েকজন সিবিয়াই অফিসার স্থানীয় থানায় ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান। ইন্সপেক্টর রনবীর ও মহিলা কনস্টেবল শান্তি সিবিয়াই দলকে এই অনুসন্ধানে সাহায্য করতে আসে। মন্ত্রীর বাড়িতে সমস্ত জায়গায়, গাড়ির ভেতরে, দেওয়ালে, ঠাকুরঘরে, নকল ছাদে লুকানো টাকাপয়সা, গয়না উদ্ধার করেন সিবিয়াই এর লোকেরা। এই দলকে নেতৃত্ব দেন পিকে শর্মা। যিনি বাধাদানকারী মন্ত্রী ও তার সচিবকেও রেয়াত করেননা। পিকে শর্মা অভিযান চালালেও আসল বুদ্ধি ছিল অজয় ওরফে অজ্জুর। কাজ শেষ হলে তারা চলে যাওয়ার পর খবর আসে পুরো দলটাই নকল সিবিয়াই এবং ভুলক্রমে তাদের সাহায্য করেছে রনবীর ও শান্তি। মন্ত্রী নিজের সম্মান ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কোনো অভিযোগ করেননা। রনবীর কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপরে কলকাতায় একই ভাবে পুলিশকে বোকা বানিয়ে এই দল হানা দিতে থাকে বিভিন্ন দোকানে ও পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ীর বাড়ি। টাকা পয়সা নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় আসল সিবিয়াই অফিসারদের নাকের ডগা দিয়ে। সিবিয়াই অফিসার ওয়াসিম খানের কাছে এই ঘটনার খবর আসে তিনি প্রত্যক্ষদর্শী রনবীরকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। আজ্জু, রনবীর, যোগিন্দর প্রমুখেরা এবার মতলব আঁটে বিরাট দাঁও মারার। নতুন জায়গায় হানা দেওয়ার বদলে তারা সিবিয়াই এর চাকরির বিজ্ঞাপন দেয় কাগজে। বিজ্ঞাপনে প্রচুর ছেলে মেয়ে সাড়া দিলে তাদের ইন্টারভিউয়ের জন্যে নামকরা হোটেলে ডেকে পাঠান নকল সিবিয়াই প্রধান পিকে শর্মা, আজ্জু ও যোগীন্দর। ওয়াসিম খান পিকে শর্মার ঠিকানা জেনে তার বাড়ির টেলিফোন লাইনে আড়ি পাতেন এবং সমস্ত মতলব জেনে ফেলেন। ইতিমধ্যে আজ্জুর প্রেমিকা চায় তার সাথে বিবাহ করতে। আজ্জু টাকা পয়সা জমিয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের শেষ অভিযানে নেতৃত্ব দিতে চায়। পিকে শর্মাকে ভয় দেখিয়ে ওয়াসিম জেনে নেন তারা বিরাট ব্যবসায়ীর সোনার দোকানে হানা দিতে চলেছে। আসল সিবিয়াই এর কিছু ছেলেকে পরীক্ষার্থী সাজিয়ে তিনি ইন্টারভিউতে পাঠান। রনবীরকে সাথে নিয়ে ওয়াসিম সতর্ক করেন ব্যবসায়ীকে ও তার সমস্ত জিনিস কারখানায় পাঠিয়ে দেন। দোকানের বাইরে ওয়াসিমের লোকেরা পাহারায় থাকে। দোকানের বাইরে নকল সিবিয়াই দ্বারা নিয়োজিত ছেলেরা চলে আসে, ওয়াসিম অপেক্ষা করেন তারা হানা দিলেই হাতেনাতে ধরবেন কিন্তু অনেক্ষন কেটে যাওয়ার পরেও কেউ ভেতরে ঢোকেনা। এমন সময় খবর আসে স্বর্ণব্যবসায়ীর কারখানায় নকল সিবিয়ায় হানা দিয়ে সমস্ত লুঠ করে নিয়ে গেছে।