স্বদেশী আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অংশ। স্বদেশী আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদসাধন এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতিসাধন। আন্দোলনের রণকৌশলের অন্তর্গত ছিল ব্রিটিশ পণ্য বয়কট এবং দেশীয় শিল্প ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতিসাধন।
স্বদেশী আন্দোলন ১৯০৬ সালে সংগঠিত হয় ।
স্বদেশী আন্দোলনের উৎস ছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী গণজাগরণ। এটি ১৯১১ সাল পর্যন্ত চলেছিলো।[১] এই আন্দোলন ছিল প্রাক-গান্ধী যুগের সফলতম আন্দোলনগুলির অন্যতম। স্বদেশী আন্দোলনের মুখ্য প্রবক্তাগণ ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক, ও লালা লাজপত রায়। পরবর্তীকালে স্বদেশী রণকৌশলটিকে গ্রহণ করে মহাত্মা গান্ধী এটিকে স্বরাজ-এর আত্মা রূপে বর্ণনা করেন। এটি বাংলায় সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিলো এবং এটিকে বন্দে মাতরম আন্দোলনও বলা হতো। গান্ধী, আন্দোলনের উচ্চতম অবস্থায় ব্রিটিশ রাজের অনুগত থাকে।