ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন ব্রায়ান্ট গ্যানন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭ সুবিয়াকো, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯০) | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ জানুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬/৬৭-১৯৭৮/৭৯ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |
জন ব্রায়ান্ট স্যাম গ্যানন (ইংরেজি: Sam Gannon; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সুবিয়াকো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন স্যাম গ্যানন।
১৯৬৬-৬৭ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত স্যাম গ্যাননের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিন উইকেট পেয়েছিলেন।[১] শুরুতেই সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ৬/১০৭ পেয়েছিলেন।[২][৩][৪] তাসত্ত্বেও, তাকে ডেনিস লিলি, বব ম্যাসি ও ইয়ান ব্রেশয়ের ন্যায় খ্যাতিমান বোলারদের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। ফলে, রাজ্য দলে তাকে কখনো নিয়মিতভাবে খেলতে দেখা যায়নি।
১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ী ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। সফরকারী ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে সাত উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন।[৫][৬] ১৯৭০-৭১ মৌসুমে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে ৪/৪১ পান।[৭] ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৫/৯৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।[৮] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ঐ বছরে শিল্ডের শিরোপা জয় করেছিল।
নভেম্বর, ১৯৭২ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেননি তিনি। কিন্তু, ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে দলে খেলার সুযোগ পান। পাঁচ খেলার মধ্যে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও সফররত ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলেন।
ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট শুরু হলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।[৯] সুন্দর মৌসুম অতিবাহিত করেন। এনএসডব্লিউর বিপক্ষে চার উইকেট পান।[১০] ভারতের বিপক্ষে ৪/৭০ লাভ করেন।[১১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন স্যাম গ্যানন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে পার্থে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ জানুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
স্যাম গ্যাননের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন বেশ দেরীতে শুরু হয়েছিল। তবে, এরজন্যে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট শুরু হলেই কেবল তিনি এ সুযোগ পেয়েছিলেন। অ্যালান হার্স্ট আহত হলে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্যে স্যাম গ্যাননকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১২] খেলায় তিনি ৩/৮৪ ও ৪/৭৭ লাভ করেন। এক পর্যায়ে ৪/১৩ ছিল। ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়া দলকে ২ উইকেটের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।[১৩] ফলশ্রুতিতে, পরবর্তী দুই টেস্ট খেলার জন্যেও স্যাম গ্যাননকে রাখা হয়।[১৪]
কিন্তু, পরবর্তী দুই টেস্টে তিনি মাত্র চার উইকেট পান। এরফলে, অস্ট্রেলিয়া দলের বাইরে রাখা হয়।[১৫] ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনের জন্যে ইয়ান কলেনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, গ্যানন প্রথম তিন টেস্টে ৩২.৮২ গড়ে ১১ উইকেট লাভ করলেও অধিকাংশ উইকেটই নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিল। ভারতের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তার বোলিং যুৎসই ছিল না।[১৬]
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের শুরুতে দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য নীল হার্ভে গ্যানন সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তির দাবীদার।[১৭] তবে, তাকে দলে নেয়া হয়নি ও এ মৌসুম শেষেই তার খেলার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায়ী হিসেবে স্যাম গ্যানন বেশ সফল ছিলেন।[১৮]
আগস্ট, ২০১৩ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।[১৯]