![]() নীল রঙে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ এস | |
ব্র্যান্ড | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
প্রস্তুতকারক | স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স |
স্লোগান | গো মনস্টার |
সিরিজ | স্যামসাং গ্যালাক্সি এম |
সামঞ্জস্যপূর্ণ নেটওয়ার্ক |
|
সর্বপ্রথম মুক্তি | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯; ভারতে |
দেশভিত্তিক প্রাপ্যতা |
|
পূর্বসূরী | স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ |
সম্পর্কিত | স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ |
ধরন | ফ্যাবলেট |
মাত্রা |
|
ওজন | ১৮৮ গ্রাম (৬.৬ আউন্স) |
অপারেটিং সিস্টেম | ওয়ান ইউআই সহ অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ (পাই) |
চিপে সিস্টেম | স্যামসাং এক্সিনস ৯৬১১ অক্টা |
সিপিইউ | অক্টা-কোর ৪ × ২.৩ গিগাহার্টজ এবং ৪ × ১.৭ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৩ এবং কর্টেক্স-এ৫৩ |
জিপিইউ | মেইল-জি৭২ এমপি৩ |
মেমোরি | ৪/৬ গিগাবাইট র্যাম |
সংরক্ষণাগার | ৬৪/১২৮ গিগাবাইট রম, ইউএফএস২.১ |
অপসারণযোগ্য সংগ্রহস্থল | মাইক্রোএসডি, ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধিযোগ্য (নিবেদিত স্লট) |
ব্যাটারি | ৬০০০ এমএএইচ লিথিয়াম-পলিমার (অপসারণযোগ্য নয়) |
তথ্য ইনপুট |
|
প্রদর্শন | ৬.৪ ইঞ্চি (১৬০ মিমি), (১০৮০×২৩৪০) ১০৮০ পিক্সেল সুপার অ্যামোলেড সুবিশাল স্পর্শপর্দা, ১৯.৫:৯ অনুপাত, ১০০.৫ সেমি² (পর্দার সাথে বডির অনুপাত ~৮৪.২%), ১৬ মিলিয়ন রং, ~৪০৩ পিপিআই (পিক্সেল পার ইঞ্চি) |
পিছন ক্যামেরা |
|
সম্মুখ ক্যামেরা | ১৬ এমপি, এফ/২.০ উন্মেষ, ১০৮০ পিক্সেল ৩০ এফপিএস (ফ্রেম পার সেকেন্ড) -এ |
শব্দ |
|
সংযোগ |
|
অন্যান্য |
|
শ্রবণ যন্ত্রের উপযুক্ততা | ডলবি এটমস সাউন্ড |
ওয়েবসাইট | স্যামসাং ভারত (এম ৩০ এস) |
সূত্র | [১][২][৩][৪] |
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ এস হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড ফ্যাবলেট যা স্যামসাং প্রথম প্রজন্মের গ্যালাক্সি এম সিরিজ লাইনআপের অংশ হিসেবে এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ এস এর পূর্বসূরি হিসেবে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স দ্বারা তৈরি হয়েছে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ৯ (পাই) দ্বারা চালিত, এছাড়াও এতে রয়েছে স্যামসাং এর মালিকানাধীন ওয়ান ইউআই পর্দা, ৬৪ বা ১২৮ গিগাবাইট এর অভ্যন্তরীণ সংগ্রহস্থল এবং ৬০০০ এমএএইচ সক্ষমতার লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি। এম ৩০ এস ফোনটি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ ছাড়া হয়।[৫][৬] এটিতে ৪৮ এমপি ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা, ৮ এমপি আল্ট্রা ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা এবং ৫ এমপি গভীরতার সেন্সর বিশিষ্ট একটি প্রধান ক্যামেরাত্রয়ের সংযোজন সমন্বিত হয়েছে।[৭][৮]
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ এস ফোনটি ৬.৪” এফএইচডি+ (১০৮০×২৩৪০) সুপার অ্যামোলেড ইনফিনিটি-ইউ পর্দা এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৭০ এর মতো সামনের ক্যামেরার জন্য একটি ইউ-আকৃতির খাঁজ নিয়ে এসেছে। এটির পর্দার সাথে বডির অনুপাত ~৮৪.২%। পর্দার প্রতিতুলনার অনুপাত ৭৮৯৬০:১ এবং সর্বোচ্চ ঔজ্জ্বল্য ৪২০ নিট। ফোনটির দুটি সংস্করণ যথাক্রমে ৪ জিবি বা ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি বা ১২৮ জিবি-র অভ্যন্তরীণ সংগ্রহস্থল রয়েছে। উভয় সংস্করণের সংগ্রহস্থল মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ১ টিবি অবধি প্রসারিত। ফোনটিতে ৬০০০ এমএএইচ লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি রয়েছে যা তারযুক্ত ১৫ ওয়াট দ্রুত চার্জিং সমর্থন করে। এর ব্যাটারি স্যামসাং স্মার্টফোনের সর্বকালের সেরা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি, এবং ভারতেও এ যাবৎকালে মুক্তি পাওয়া স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে বৃহত্তম।[৯][১০][১১] ফোনটির পেছন অংশে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সংযোজন করা হয়েছে। ফোনটির চিপ হিসেবে সংযোজিত হয়েছে ১০ ন্যানোমিটারের অক্টা-কোর এক্সিনোস ৯৬১১ এবং এর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশে আছে ৪×২.৩ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৭৩ এবং ৪×১.৭ গিগাহার্টজ কর্টেক্স-এ৫৩। এটি মেইল-জি৭২ এমপি৩ -ও সমর্থন করে।[১২]
পেছনের ক্যামেরাত্রয় একটি আয়তাকার বেষ্টনীতে সংযোজন করা হয়েছে। এতে একটি ০.৮ মিমি এবং পর্ব-সনাক্তকরণ অটোফোকাসসহ ৪৮ এমপি পিক্সেল আকার ও এফ/২.০ উন্মেষবিশিষ্ট প্রশস্ত কোণ ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়াও আছে ৮ এমপি এফ/২.২ উন্মেষবিশিষ্ট অতি-প্রসারিত কৌণিক লেন্স যার অধিশ্রয়নিক দৈর্ঘ্য ১২ মিমি এবং ১২৩° পর্যন্ত দর্শনক্ষেত্র। তাছাড়া রয়েছে ৫ এমপি এফ/২.২ উন্মেষবিশিষ্ট গভীরতার সেন্সর। আয়তাকার বেষ্টনীটি শুধু ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশ দ্বারাই পূর্ণ নয় বরঞ্চ এতে লেখা রয়েছে "৪৮ মেগা পিক্সেল"। এতে আছে রাতের মোড যা কম আলোতে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ছবির বিশৃঙ্খলতা হ্রাস করে, এবং জীবন্ত অধিশ্রয়ণ মোড যা গভীরতা সেন্সরের মাধ্যমে বোকেহ্ আবহ তৈরি করে। ফোনটির ক্যামেরা ৩০ এফপিএস-এ ৪কে ভিডিও ধারণ, কাঁপুনিহীন ভিডিও, দ্রুতগতির ভিডিও এবং ধীর গতির ভিডিও সমর্থন করে। অতিরিক্ত হিসাবে এটিতে আছে স্যামসাং এর দৃশ্য অপ্টিমাইজার প্রযুক্তি যা এআই ব্যবহার করে ক্যামেরায় ২০ টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে সনাক্ত করতে পারে এবং সে অনুযায়ী ক্যামেরা সেটিংস স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে।[৭][১২]
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৩০ এস অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ (পাই) অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত। স্যামসাং এর ওয়ান ইউআই পর্দা স্যামসাং স্টক অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে স্পর্শ অঞ্চলটির নিচের দিকে প্রতিস্থাপন করে, যা এমন বড় মাপের পর্দায় এক হাতে কাজ করার জন্য ইন্টারফেসকে আরও সহজ করে তোলে।[১৩] এম ৩০ এস এর অন্যান্য সুবিধাদির মধ্যে রয়েছে বিক্সবি (যদিও বিক্সবি বোতামটি উপস্থিত নেই), গুগল সহকারী, স্যামসাং স্বাস্থ্য এবং স্যামসাং পরিশোধ।[১২]
ফোনটি সমালোচকদের কাছ থেকে বেশিরভাগ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে, যারা ক্যামেরার সমালোচনা করার সময় ফোনের ব্যাটারি এবং সামগ্রিক কার্যসম্পাদনের প্রশংসা করেছে। ক্যামেরার সমালোচনা করার সময় ব্যাটারি, পর্দা এবং কার্যসম্পাদনের প্রশংসা করে এনডিটিভি ফোনটিকে ৮/১০ স্কোর দিয়েছে।[১৪] অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ ফোনটিকে ৮.২/১০ স্কোর দিয়েছে, প্রদর্শন, অডিও গুণমান এবং কার্যসম্পাদনের প্রশংসা করেছে, পাশাপাশি বেশি ব্যবহারের সময় ক্যামেরা এবং ফোনটি উত্তপ্ত হওয়ায় সমালোচনাও করেছে।[১৫] মোবাইল ইন্ডিয়ান -ও ক্যামেরার স্বল্প আলোয় কার্যকারিতা এবং পেছনের প্লাস্টিকের নকশাকে নেতিবাচকভাবে বর্ণনা করেছে কিন্তু পর্দা, ব্যাটারি এবং কার্যসম্পাদনকে ইতিবাচকভাবে বর্ণনা করেছে।[১৬] সবশেষে, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডিয়া ক্যামেরার সমালোচনা করার সময় ব্যাটারি সহ ফোনের সাধারণ দিকগুলি ইতিবাচকভাবে পর্যালোচনা করেছে।[১৭]
কিছু ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে ফোনটি এলটিই নেটওয়ার্কে সংযোগ স্থাপনের সময় সমস্যার সম্মুখীন হয়।[১৮] এছাড়া, কিছু ব্যবহারকারী বেশি ব্যবহারের সময় ফোনটি উত্তপ্ত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন, যা কিছু পর্যালোচকদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।[১৯]