স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |
---|---|
অবস্থান | নর্থ সাউন্ড, অ্যান্টিগুয়া, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা |
দেশ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
প্রতিষ্ঠা | ২০০৬ |
ধারণক্ষমতা | ১০,০০০ (২০০৭ সালের বিশ্বকাপ উপলক্ষে ২০,০০০) |
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |
প্রথম পুরুষ টেস্ট | ৩০ মে-৩জুন ২০০৮: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (প্রথম দিনে খেলা পরিত্যক্ত): ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড |
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ২৭ মার্চ ২০০৭: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ২৪ মে ২০১০: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
২৯ মে ২০১০ অনুযায়ী উৎস: CricketArchive |
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম অ্যান্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ড এলাকায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে এ স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। দশ হাজার দর্শকের আসন ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামে প্রয়োজনে দ্বিগুণ করা সম্ভবপর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটিং কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের সম্মানে এ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়।
প্রথান শহর সেন্ট জন্স ও ভিসি বার্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১০-২০ মিনিট দূরত্বে এ মাঠের অবস্থান।[১] স্টেডিয়াম নির্মাণে আনুমানিক $৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের অধিকাংশই চীন সরকারের আর্থিক অনুদানে ব্যয়িত হয়। ৩০ মার্চ, ২০০৮ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টের মাধ্যমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এ মাঠের অভিষেক ঘটে। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
স্টেডিয়ামে দুটি প্রধান স্ট্যান্ড রয়েছে। নর্দার্ন স্ট্যান্ড ও পাঁচ তলাবিশিষ্ট সাউথ স্ট্যান্ড। তন্মধ্যে ২০০৮ সালে প্রচণ্ড বাতাসে সাউথ স্ট্যান্ডের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। [২] অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে অনুশীলনের উপযোগী পিচ, প্রশিক্ষণের অবকাঠামো ও প্রচারমাধ্যমে কেন্দ্র। স্বল্প কয়েকটি স্টেডিয়ামের অন্যতম হিসেবে মাঠের নীচ দিয়ে খেলোয়াড়দের চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে।[৩][৪]
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্ট শুরুর মাত্র ১০ বল পরই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়। পিচের বাইরে বিপজ্জ্বনক পরিবেশই এরজন্য দায়ী। সাম্প্রতিক বন্যার ফলে অতিরিক্ত বালু ব্যবহারের ফলে বোলিংয়ের সময় বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি কর্তৃক দুটি পর্যবেক্ষণ দল মাঠ পরিদর্শন করে। এরফলে আইসিসি বারো মাসের জন্য সকল ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা আয়োজন থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেয় ও আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্কতামূলক চিঠি প্রদান করে।