![]() | |
নীতিবাক্য | عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | তিনি (আল্লাহ) মানুষকে শিখিয়েছেন যা সে জানত না। |
ধরন | বেসরকারী |
স্থাপিত | ১৯৯৩ |
আচার্য | জাওয়াইদ আনোয়ার |
শিক্ষার্থী | ~৬০০০ |
অবস্থান | করাচি , সিন্ধু , পাকিস্তান |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
পোশাকের রঙ | বেগুনী, সোনালি, জলপাই সবুজ |
সংক্ষিপ্ত নাম | SSUET |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
স্যার সৈয়দ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেসরকারী গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, যা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচিতে অবস্থিত।[১] উনিশ শতকের উল্লেখযোগ্য মুসলিম সংস্কারক ও দার্শনিক স্যার সৈয়দ আহমদ খানের নাম অনুযায়ী এই বিশ্ববদ্যালয়ের নাম রাখা হয়।[২]
স্যার সৈয়দ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা হলেন উপাচার্য জে এ নিজামী। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিহাস, দর্শন, আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগে অসামান্য অবদান রাখার জন্য খ্যাত।[৩] এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তরএবং বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল এ ডক্টরেট গবেষণা ডিগ্রী প্রদান করা হয়।[৪] ২০১৩ সালে এটি পাকিস্তানে "প্রকৌশল ও প্রযুক্তি" বিষয়শ্রেণীতে শীর্ষ স্থান লাভ করে।[৫] বিশ্ববিদ্যালয়টি এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সদস্য। সেইসাথে ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটিস এরও সদস্য।[৬][৭]
বিজ্ঞান, শক্তি, এবং প্রকৌশল বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির খ্যাতি রয়েছে।
এখানে ১১টি বিভাগে ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
SSUET এ পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান বিভাগে মানব বসতি ও পরিবেশ বিষয়ে বিশেষায়িত ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
স্যার সৈয়দ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি স্যার সৈয়দ আহমেদ খান এবং আলিগড় আন্দোলনের ঐতিহ্য এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। উনিশ শতকে স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ভারতবর্ষে শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি মুসলিমদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় অগ্রগামী করার প্র্যাস নিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৯৯৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিন্ধু পার্লামেন্টে একটি আইন জারীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে।
পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রকৌশল বিভাগে এটি সারাদেশে ১২তম স্থান অর্জন করেছে।[৮]
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে একটি খেলার মাঠ আছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি বাস্কেটবল কোর্ট, ভলিবল মাঠ ও নেট প্রশিক্ষণের জন্য ক্রিকেট পিচ। হকি ও ফুটবল খেলার মাঠ তৈরী করা হচ্ছে।
ইন্ডোর গেম হিসেবে টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা আছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় অতিরিক্ত পাঠক্রম সংক্রান্ত কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে থাকে। প্রতিবছর এখানে সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠান করা হয় এবং যে সমস্ত শিক্ষার্থী ভালো গান গাইতে পারে, তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
স্যার সৈয়দ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য, শিল্প, ও সাংস্কৃতিক ফোরাম (SSULACF) রয়েছে। এখানে তিলাওয়াত, বিতর্ক, কুইজ, বক্তব্য ইত্যাদি ইতিবাচক সৃজনশীল কার্যক্রম এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE) উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা সংগঠিত করেছে। এখানে নিয়মিত তাদের সেমিনার ও কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।[৯]
করাচির শহরতলিতে SSUET এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রায় ২০০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে তা শুরু করা কথা থাকলেও তা এখনো করা হয়নি।