হংদু জেএল-৮

জেএল-৮/কে-৮
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমান কসরৎ দল, শেরদিলসের একটি কে-৮ বিমান চীনের যুহাই এয়ার শোতে টেক অফ করছে।
ভূমিকা জেট প্রশিক্ষণ বিমান
হালকা অ্যাটাক
নির্মাতা হংদু এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন
পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স
প্রথম উড্ডয়ন ২১ নভেম্বর ১৯৯০
প্রবর্তন ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪
অবস্থা অপারেশনাল
মুখ্য ব্যবহারকারী পিএলএ বিমান বাহিনী
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
পাকিস্তান বিমান বাহিনী
মিশরীয় বিমান বাহিনী
মায়ানমার বিমান বাহিনী
নির্মিত হচ্ছে ১৯৯০-বর্তমান
নির্মিত সংখ্যা ৫০০+[]
ইউনিট খরচ US$10 million[]

হংদু জেএল-৮ (নানচাং জেএল-৮), যা কারাকোরাম-৮ বা কে-৮ নামেও পরিচিত, একটি দুই আসনের মধ্যবর্তী জেট প্রশিক্ষণ বিমান। এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি হালকা আক্রমণ বিমান যা চীন নানচাং এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। পাকিস্তানও এই প্রকল্পের সহযোগী। এর প্রাথমিক ঠিকাদার হংদু এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন। এর রপ্তানি ভ্যারিয়েন্ট, কে-৮ কারাকোরাম পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স দ্বারা সহ-উৎপাদন করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে এই বিমানের জেএল-৮ ডাব্লিউ বা কে-৮ডাব্লিউ সংস্করণের ১৬ টি বিমান রয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি কে-৮ডাব্লিউ (K-8W) বিমান বিধ্বস্ত হয়।[]

অপারেশনাল ইতিহাস

[সম্পাদনা]

কে-৮ ১৯৯৩ সালে সিঙ্গাপুর এয়ার শোতে তার প্রথম এরিয়াল ডিসপ্লেতে অংশ নেয় এবং তারপর থেকে দুবাই, প্যারিস, ফার্নবরো, ব্যাংকক, ঝুহাই সহ অসংখ্য জায়গায় এয়ার শোতে অংশগ্রহণ করে। ১৯৯৪ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের প্যারেডে এটি প্রথমবারের মত পাকিস্তানের জনগণকে দেখানো হয়। এটি ২০০৯ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর শেরদিলস (লায়ন হার্টস) এরোব্যাটিক্স দলের অংশ হয়ে ওঠে এবং ৬ এপ্রিল ২০১০ তারিখে প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শনী পরিচালনা করে। কে-৮ দল পূর্ববর্তী টি-৩৭ টুইট বিমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে।[][]

মায়ানমার

[সম্পাদনা]

২০১২ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারির শুরুতে কাচিন সংঘর্ষের সময় মিয়ানমার বিমান বাহিনীর কে-৮এস দেশটির উত্তরে কাচিন বিদ্রোহী অবস্থানে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হয়।[][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. K-8 (JL-8, L-11) Basic Jet Trainer - SinoDefence.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে
  2. "Bolivia Set To Receive 6 Karakorum Combat Jets From China"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "NEWLY PROCURED SEVEN AIRCRAFTS [sic] ARRIVE CHATTOGRAM FROM CHINA FOR BAF"ISPR। Bangladesh। ১৫ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২০ 
  4. "PAF's High Mark exercise enters second phase"Pakistan Times। PAF Bombing Range, Thal, Pakistan। ৭ এপ্রিল ২০১০। ১৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১০ 
  5. "PAF's firepower demo marks precise hit at enemy targets"। Thal, Pakistan: OnePakistan.com। ৭ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১০  [অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Myanmar jets used against Kachin rebels (raw footage)"YouTube। ৩ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  7. Bertil Lintner। "Myanmar airstrikes reopen ethnic wounds"। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫