প্রতিযোগিতার তথ্যাবলী | |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৯ |
অবস্থান | পার্থ অস্ট্রেলিয়া |
মাঠ | বার্সউড ডোম (১৯৮৯-২০১২) পার্থ অ্যারিনা (২০১৩ থেকে) |
পৃষ্ঠতল | হার্ড ইনডোর |
ড্র | ৮ দল (গ্রুপ এ + বি) |
ওয়েবসাইট | HopmanCup.com |
হপম্যান কাপ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অনুষ্ঠিত সাংবার্ষিক পর্যায়ে দলগত ইনডোর হার্ডকোর্ট টেনিস প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে আয়োজন করা হয়। এটি মূলতঃ দেশ পর্যায়ে মিশ্র-দ্বৈতের দলীয় প্রতিযোগিতা। কখনোবা ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। প্রতিযোগিতাটি ‘চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামে আখ্যাযিত করা হয়ে থাকে।[১]
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত টেনিস তারকা হ্যারি হপম্যানের (১৯০৬-১৯৮৫) সম্মানার্থে এ চ্যাম্পিয়নশিপের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৯৩৮ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে ১৫বার ডেভিস কাপের শিরোপা লাভ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো হপম্যান কাপের আয়োজন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তাঁর বিধবা দ্বিতীয় পত্নী লুসি পোপ ফক্স বার্ষিকাকারে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকেন।[২] আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের প্রণীত সময়সূচী অনুযায়ী প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে সরাসরি টেলিভিশনে এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচার করা হয়। ২০১৩ সালে পার্থে প্রথমবারের মতো হ্পম্যান কাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ফলাফল বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। বিজয়ী দলকে স্মারকসূচক ট্রফি হিসেবে ‘সিলভার কাপ’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিজয়ী দলের সদস্যকে গোলাপী আর্জিল হীরকখচিত টেনিস র্যাকেট ও বল সহযোগে নির্মিত ব্যক্তিগত ট্রফিও প্রদান করা হচ্ছে। এ ট্রফিগুলোর মূল্যমান $২৬,০০০।
পুরুষদের ডেভিস কাপ ও মহিলাদের ফেড কাপের ন্যায় হপম্যান কাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় না। প্রত্যেক দেশ থেকে পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া সম্মিলিত দল একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। শুধুমাত্র খেলোয়াড়দেরকেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু জাতীয় দলের কোচ ঐ দলের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না। বার্ষিকাকারে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় সর্বমোট আটটি দেশ অংশ নিয়ে থাকে। তন্মধ্যে সর্বশেষ দলকে প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে অংশ নিতে হয়। তবে, ২০০৭ সালের প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ছিল।
প্রত্যেক দলে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা টেনিস খেলোয়াড়কে নিয়ে গঠিত হয়। দুই দলের মধ্যকার এ চ্যাম্পিয়নশিপে -
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আটটি দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হবে। দুইটি দলকে শীর্ষে রেখে এ গ্রুপ বিভাজন করা হয়। প্রত্যেক দল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অপর তিনটি দলের মুখোমুখি হবে। তবে শীর্ষ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উভয় গ্রুপের সমশক্তিমত্তার অধিকারী হবার দিকে নজর দেয়া হয়। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়। বিজয়ী দলকে শিরোপা প্রদান করা হয়। কোন খেলোয়াড় আঘাতপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের চেয়ে নিম্ন র্যাঙ্কিংধারী খেলোয়াড়কে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।