হবিগঞ্জ | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে হবিগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৩০″ উত্তর ৯১°২৫′০″ পূর্ব / ২৪.৩৭৫০০° উত্তর ৯১.৪১৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | ড. মোঃ ফরিদুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৩৬.৫৮ বর্গকিমি (১,০১৭.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৮,৩০,৫৫৮ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৯.৩২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৩০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হবিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে হবিগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। এর আগে ১৮৭৪ সাল থেকে হবিগঞ্জ মহকুমা সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচং এই হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এই গ্রামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় কমলারাণীর সাগরদিঘী অবস্থিত। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলাকে ভাটি অঞ্চলের রাজধানী বলা হয়।
সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রঃ) এর অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত খোয়াই, করাঙ্গী, সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম । ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন । তাঁর নামানুসারে জায়গাটির নাম হয় হবিবগঞ্জ। কালক্রমে হবিবগঞ্জ থেকে তা হবিগঞ্জে পরিণত হয় ।
প্রাগৈতিহাসিক প্রতিবেদনসমূহ হতে জানা যায় যে, বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সাথে লালমাই পাহাড় এবং সিলেট, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং মধুপুরের উচ্চতর এলাকাসমূহের সাথে যুক্ত ছিল। চাকলাপুঞ্জী চা বাগানের কাছে চান্দির মাজার নামক এলাকায় বালু নদী নামে পরিচিত একটি নদীর পাড়ে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু, যেমন: জীবাশ্ম কাঠ, হস্তনির্মিত যুদ্ধাস্ত্র ইত্যাদি প্রমাণ করে যে, এখানে বহু আগে থেকেই প্রাচীন মানবের বসবাস ছিল।
১৫ শতকে সিলেটের জমিদার আনোয়ার খান এবং বানিয়াচংয়ের জমিদার হোসেন খান (বারো ভূইয়াদের দলভূক্ত) এর সাথে যুদ্ধ হয় মুঘল সেনাবাহিনীর, যা বাহরাস্থান-ই-গায়েবী গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়।
খাজা ওসমান (আফগান রাজা) বাকাই নগর দুর্গ ছেড়ে এসে গিরিপালের কাছে পুটিজুরী নামক দুর্গে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন একটি দুর্গ। যা প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাজা ওসমানের ভাই দুর্গ ত্যাগ করলে মুঘল সেনারা সে সুযোগ গ্রহণ করে খাজা ওসমানের সেনাদলকে বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার দালাম্বপুর নামক স্থানে পরাজিত করে।
উপনবেশিক ব্রিটিশ শাসন আমলে তৎকালীন (অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতের) আসাম প্রভেন্সির সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহুকুমায় রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ব্রিটিশ সরকার ১৯২৮ সালে হবিগঞ্জ বাজার-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ নির্মাণ করে গড়ে তুলে অবকাঠামো।[৩] ২০০৩ সালে এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।[৩]
উপনবেশিক ব্রিটিশ শাসন আমলে তৎকালীন (অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতের) আসাম প্রভেন্সির সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহুকুমায় মিউন্যিসিপ্যাল অফিস বিল্ডিং হবিগঞ্জ ফাউন্ডেশন স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠত হয় ১৬ ডিসম্বর ১৯৪০ সালে। (পুরাতন পৌরসভা নামে পরিচিত) এটি হবিগঞ্জ সদর এর পুরাতন জজকোর্ট এলাকায় অবস্থিত।
৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তেলিয়াপাড়ায় ২য় ইষ্ট বেঙ্গলের সদরদপ্তরে সমবেত হন। চা বাগান পরিবেষ্টিত পাহাড়ী এ অঞ্চলে জেনারেল এম এ জি ওসমানী, লে: কর্ণেল আব্দুর রব, লে: কর্ণেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসাইন চৌধুরীসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। সেদিনের সভায় চারজন সিনিয়র অফিসারকে যুদ্ধকালীন কর্মক্ষেত্র ভাগ করে দেয়া হয়; সিলেট-বাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় মেজর শফিউল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় মেজর খালেদ মোশাররফ, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই সভাতেই মুক্তিবাহিনী সাংগঠনিক ভাবে পরিপুষ্ট হয়ে উঠে এবং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠককে স্মরণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এখানে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা ২৩˚৫৭” হতে ২৪˚৪২” উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১˚১০” হতে ৯১˚৪০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং আয়তন ২,৬৩৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার।[৪] হবিগঞ্জ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা ও সিলেট জেলা এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলা।
হবিগঞ্জ জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৭৮টি ইউনিয়ন, ১২৪১টি মৌজা, ২০৯৩টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো:
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৬] | সংসদ সদস্য[৭][৮][৯][১০][১১] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৩৯ হবিগঞ্জ-১ | বাহুবল উপজেলা এবং নবীগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪০ হবিগঞ্জ-২ | বানিয়াচং উপজেলা এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪১ হবিগঞ্জ-৩ | লাখাই উপজেলা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪২ হবিগঞ্জ-৪ | চুনারুঘাট উপজেলা এবং মাধবপুর উপজেলা | শূণ্য |
সর্বশেষ আদমশুমারী (২০২২) অনুযায়ী হবিগঞ্জের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪,৪০,০০০ জন। এ জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯২৫ জন। পরিবারের সংখ্যা ৮ লক্ষাধিক।
বাংলাদেশে বসবাসরত ২৫,০০০ মণিপুরীর একটি বৃহৎ অংশ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ এবং গাজীপুর ইউনিয়নে বসবাস করে। এই সংখ্যা ৪,০০০ এর অধিক। এছাড়া প্রধান উপজাতি হিসেবে রয়েছে :- কর্মকার, ভৌমিক, খাসিয়া, বাউরি, সাওতাল, মুন্ডা, মৃধা, উড়ীয়া, তাঁতী, কন্দ, প্রদান, রিকিয়াশন কৈরী,গোয়ালা, পার্শী, তেলেঙ্গা, রেলিখাসিয়া, মনিপুরি, ত্রিপুরা, গড়, পাইনকা, বাড়াইক শবর, কেউট, বুনার্জী, নায়েক, বানিয়া, ঝরা, চৌহান, রুদ্রপাল, খাড়িয়া, রাউতিয়া, কানু ভূইয়া, তন্তবায়, কাঁহার, ছত্রী, অহির, রাজবংশী, শুক্লবদ্য, ভূমিজ, বিহারী, গঞ্জু, রবিদাস মহালী, বাক্তী, জংলী, তেলুগু, ভোজপুরী, উৎকোল, উরাং প্রভৃতি উপজাতি এ জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় বাস করে। এদের মোট জনসংখ্যা- ৮৪,০২০ জন ।
হবিগঞ্জ জেলায় ধর্মানুসারে জনসংখ্যার শতকরাঃ-
হবিগঞ্জ এর সাক্ষরতার গড় হার প্রায় ৬৯.৩২%। এখানে রয়েছে:
বিশ্ববিদ্যালয় | স্থাপিত তারিখ | উপাচার্য |
---|---|---|
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ১ এপ্রিল ২০১৯ | আবদুল বাসেত |
মেডিকেল কলেজ | স্থাপিত তারিখ | অধ্যক্ষ |
---|---|---|
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ | ২০১৭ | অধ্যাপক ডা. আবু সুফিয়ান |
কলেজ | স্থাপিত তারিখ | অধ্যক্ষ |
---|---|---|
বৃন্দাবন সরকারি কলেজ | ১৯৩১ | অধ্যাপক মোঃ ইলিয়াছ বকত চৌধুরী |
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ | ১ নবেম্বর ১৯৮৫ | প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া |
আলেয়া জাহির কলেজ | ২০১১ | পার্থ প্রতিম দাশ |
কবির কলেজিয়েট একাডেমি | ২০০১ | জনাম মোহাম্মদ জমাল উদ্দিন |
অক্সব্রিজ কলেজ | ২০১৬ | |
শচীন্দ্র কলেজ | ১৯৯৮ | মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান |
শাহজালাল সরকারি কলেজ | ১৯৭০ | এ এন এম মফিজুল ইসলাম |
শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ | ১৯৭৩ | জনাব মোঃ আজিজুল হাছান চৌধুরী |
নবীগঞ্জ সরকারী কলেজ | ১৯৮৪ | সফর আলী |
আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ | ১৯৯৩ | মাহবুবুর রহমান |
বাহুবল কলেজ | ২০০৩ | মোহাম্মদ আবদুর রব |
আজমিরীগঞ্জ সরকারি কলেজ | ১৯৯৩ | সামসুল আলম |
পাহাড়পুর আদর্শ কলেজ | ১৯৯৯ | রন্টু কুমার দাশ |
জনাব আলী সরকারি কলেজ | ১৯৭৯ | সাফিউজ্জামান খান |
সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ | ২০০০ | ছালামত আলী খান |
চুনারুঘাট সরকারি কলেজ | ১৯৭৩ | অসিত কুমার পাল |
লাখাই মুক্তিযুদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজ | ১৯৯৩ | মোঃ জাবেদ আলী |
ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ | ১৯৯৫ | ড.সজিদ সেন রায় |
আইডিয়েল উইমেন কলেজ | ২০১৬ | |
বানিয়াচং আইডিয়াল কলেজ | ২০১১ |
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ | স্থাপিত তারিখ | প্রাধান শিক্ষক |
---|---|---|
হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ | হাবিবুর রহমান | |
বানিয়াচং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ |
উচ্চ বিদ্যালয় | স্থাপিত তারিখ | প্রধান শিক্ষক |
---|---|---|
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | ১৮৮৩ | আলফাজ উদ্দিন |
বি. কে. জি. সি. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯২৩ | আমিনা খাতুন |
আসেরা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৩ | মোঃ আতিক উল্লাহ |
এবিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আজমিরীগঞ্জ। | ১৯৩০ | মো: আহসান মোস্তফা |
গংগানগর উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৯৮ | রুপা রাণী বসাক |
গাজীপুর হাই স্কুল | ১৯৬০ | মোঃ রফিক আলী |
নূরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮৬ | মো:আমীর ফারুক তালুকদার |
পইল উচ্চ বিদ্যালয় | ১৮৮৫ | সুমন চন্দ্র দাশ |
মহারত্ন পাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় | ২০১২ | দিলীপ কুমার রায় |
মিরপুর ফয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬০ | মোঃ আরজু মিয়া |
মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৯৮ | সেবিকা রায় |
শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮০ | |
বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮৫ | |
মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৮ | |
বানিয়াচং সরকারি মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৮ | |
জেলার অর্থনীতি শিল্প,ব্যবসা-বাণিজ্য,প্রবাস ও কৃষির উপরেই নির্ভরশীল।মৎস্য শিল্পেও অন্যতম এই জেলা।
জেলার মাথাপিছু আয় ৩৪৯০ ডলার।
হবিগঞ্জের সদর,শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর অঞ্চলে বেশ অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে স্টার সিরামিকস, প্রাণ আর এফ এল,কটন মিল,স্পিনিং মিল,ডেনিম মিল,টেক্সটাইল মিলস,গ্লাস,ম্যাটাডোর,শেভ্রন ইত্যাদিসহ দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানিভুক্ত গার্মেন্টস উল্লেখযোগ্য।দেশি বিদেশি অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে কয়েক দশক ধরে।এতে করে বাহিরের বিভাগের মানুষের যাতায়াত আনাগোনা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে,জেলার মানুষের আয় ও জীবনমানও উন্নত হয়েছে।আগামীর সময়ে শিল্পনগরীতে পরিণত হবে হবিগঞ্জ।
-বাজার এবং মেলা
এছাড়া সড়ক পথে এই জেলার সাথে দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগ রয়েছে
★ বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব.৮০ কিলোমিটার।
★ রাজধানী ঢাকা থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব ১৬৪ কিলোমিটার।
★ বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব ৩০৮ কিলোমিটার।
স্থলবন্দর
হবিগঞ্জ জেলায় স্থলবন্দর রয়েছে ১টি। যথা- বাল্লা স্থলবন্দর।
নৌ - থানা
হবিগঞ্জ জেলায় নৌ-থানা রয়েছে ২টি। যথা- মদনা ও মারকুলি।
নদনদী
হবিগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় প্রচুর নদী আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হলো :- কুশিয়ারা, খোয়াই, সুতাং, সাতাই, রত্না, শুটকী, কালনী, সোনাই, করাঙ্গী, ঝিংড়ী, ভেড়ামোহনা, বরাক, বিজনা, বলভদ্র প্রভৃতি।
হাওর
হবিগঞ্জ জেলায় হাওরের সংখ্যা ১৪ টি। হাওরের মোট আয়তন ১০৯৫.১৩ বর্গকিলোমিটার।
সিলেট-আখাউড়া বর্তমানে এই রেললাইন দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ রেলপথ সেকশনে চারটি রেলওয়ে স্টেশন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৮ সালে।
বি.দ্র.: শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ১৯০৩ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮-২৯ সালে হবিগঞ্জ বাজার-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ সংযোগ ফাঁড়ি যোগাযোগ চালু হলে এটি জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট রেলপথ সেকশনে সাতটি রেলওয়ে স্টেশন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৯ সালে।
হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম কিছু দর্শনীয় স্থান হল:
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)