হরিণা চিংড়ি Metapenaeus monoceros | |
---|---|
হরিণা চিংড়ি | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | আর্থ্রোপোডা (Arthropoda) |
উপপর্ব: | ক্রাস্টেসিয়া (Crustacea) |
শ্রেণী: | মালাকোস্টারাকা (Malacostraca) |
বর্গ: | ডেকাপোডা (Decapoda) |
পরিবার: | পেনাইডি (Penaeidae) |
গণ: | মেটাপেনিয়াস (Metapenaeus) |
প্রজাতি: | এম. মনোসেরোস M. monoceros |
দ্বিপদী নাম | |
মেটাপেনিয়াস মনোসেরোস Metapenaeus monoceros (ফ্যাব্রিসিয়াস, ১৭৯৮) | |
প্রতিশব্দ [২][৩] | |
|
হরিণা চিংড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম: Metapenaeus monoceros) হচ্ছে পেনাইডি (Penaeidae) পরিবারভুক্ত একটি চিংড়ির প্রজাতি।ইংরেজিতে ব্রাউন শ্রিম্প,পিংক শ্রিম্প বলা হয়।
হরিণা চিংড়ির শরীরে ঘন এবং সমভা বিস্তৃত নীলাভ বাদামী রঙের ফোঁটা বিদ্যমান।ফ্লাজিলা ও পায়ে রঙিন ফোঁটা আছে।এ চিংড়ির কেরিনাগুলি হালকা লাল এবং ফ্লাজিলা উজ্জ্বল লাল রঙের। এ চিংড়ি উপকূলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। হরিণা চিংড়ি পানির লবনাক্ততার ব্যাপক তারতম্য হ্রাসবৃদ্ধি সহ্য করতে সক্ষম। এ মাছের মৃত্যু হার কম। [৪]
হরিণা চিংড়ির খাদ্য তালিকা খুবই সংক্ষিপ্ত। মাছের ঘেরে প্রতিদিন অটোপালিশ ও গমের ভূসি দিলে মাছ ৪০-৫০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়।
হরিণা পোনার প্রধান উৎস পার্শ্ববর্তী যেকোন নদী। মৎস্যঘেরে যদি সরাসরি জোয়ারের পানি ওঠানামা করে তাহলে পোনা ক্রয় করা লাগবে না। সেটা সব ঘেরে সম্ভব নয় বিধায় বাইরে থেকে কিনে ঘেরে ছাড়তে হয়।এছাড়া এই মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে এ মাছ চাষে ঝুঁকি কম। তাছাড়া এ মাছে রোগবালাই খুবই কম হয়। এক কেজি বড় হরিণা চিংড়ির দাম ৫০০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত হয়। [৫]
হরিণা চিংড়ি মধ্যম আকারের চিংড়ি। পুরুষ চিংড়ি ১৫(৫.৯ ইঞ্চি)সেন্টিমিটার এবং স্ত্রী চিংড়ি ২০(৭.৯)সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।এই চিংড়ি সর্বোচ্চ ১৬০ গ্রাম ওজনের হতে পারে। তবে সাধারণত প্রত্যেকটা চিংড়ির ওজন ৩০ গ্রামের কম হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের অর্থনীতিতে হরিণা চিংড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।এছাড়া বাংলাদেশের চিংড়ি উৎপাদন সর্বাধিক অবদান রাখে হরিণা চিংড়ি।