হরিদ্বার জেলা हरिद्वार जिला | |
---|---|
উত্তরাখণ্ডের জেলা | |
উত্তরাখণ্ডে হরিদ্বারের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
প্রশাসনিক বিভাগ | গাড়োয়াল |
তহশিল | ৪ (১। হরিদ্বার, ২।রুরকি ৩। ভগবানপুর ৪। লাক্সার) |
আয়তন | |
• মোট | ২,৩৬০ বর্গকিমি (৯১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৪,৪৭,১৮৭ |
• জনঘনত্ব | ৬১০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭৪.৬২% |
• লিঙ্গানুপাত | ৮৭৯ |
ওয়েবসাইট | [haridwar |
হরিদ্বার জেলা (হিন্দি: हरिद्वार जिला, প্রতিবর্ণীকৃত: হরিদ্ভ়ার জিলা), ( ), কখনও কখনও 'হরদ্বার'বা 'হরদুয়ার' ও বলা হয়, ভারতের উত্তরাংশে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি জেলা। ১৯৯৮ সালের ২8 সেপ্টেম্বর তারিখে উত্তরপ্রদেশ লোকসভাতে, 'উত্তরপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল' পাস হওয়ার পরে সাহারানপুর জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হরিদ্বার জেলার জন্মও হয় ১৯৮৮ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর [১][২]। অবশেষে ভারতীয় সংসদ-এ এবং ৯ নভেম্বর ২০০০ সালে [[ভারতীয় ফেডারেল আইনসংখ্যা] ভারতীয় ফেডারেল আইন]] অনুসারে - 'উত্তরপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন,২০০০' গৃহীত হয়[৩]। হরিদ্বার ভারত-এর ২৭তম রাজ্য, নবগঠিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১১ সালের হিসাবে এটি উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে জনবহুল জেলা [৪]। জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি হল হরিদ্বার, ভেল রাণীপুর, রুড়কি , মংলৌর, ধন্দেরা, ঝাবেরিয়া, লাক্সার, ল্যান্ডহোড়া এবং মোহাম্মদপুর।
হরিদ্বারে জেলার আয়তন প্রায় ২,৩৬০ বর্গ কিলোমিটার; এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ যথাক্রম ২৯.৯৬ ডিগ্রী উত্তর এবং ৭৮.১৬ ডিগ্রী পূর্ব[৫]।
।
হরিদ্বার জেলাটি পশ্চিমে সাহারানপুর জেলা, উত্তর ও উত্তরপশ্চিমে দেরাদুন জেলা,পূর্বে পৌড়ি গাড়োয়াল, দক্ষিণে মুজাফ্ফরনগর এবং দক্ষিণ পূর্বে বিজনর দ্বারা সীমাবদ্ধ।
জেলার প্রধান নদী হল গঙ্গা নদী যা বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য ছোট নদীগুলির মধ্যে রয়েছে রানীপুর রাও, পাথরি রাও, রবি রাও, হারনউই রাও এবং বেগম নদী[৬]।
তাপমাত্রা:
জেলার বৃষ্টিপাতের বেশিটাই হয় গ্রীষ্মকালের শেষদিকে।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হরিদ্বার জেলার জনসংখ্যা ১,৯২৭,০২৯ জন[৪] যা প্রায় লেসোথো[৮] এর জনস্ংখ্যা অথবা আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়া [৯] রাজ্যের জনসংখ্যার সমান। জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এটি ২৪৪৪তম স্থান অধিকার করে [৪] জেলার জনঘনত্ব ৮১৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,১২০ জন/বর্গমাইল)[৪]। ২০০১-২০১১ দশকের হরিদ্বার জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩৩.১৬% [৪]। জনসংখ্যার প্রতি ১০০০ জন পুরুষে নারীর সংখ্যা ৮৭৯ জন [৪]। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬২% [৪]।
২000 সালে নবনির্মিত রাজ্য উত্তরাখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে, এই জেলাটি উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর বিভাগীয় কমিশনারের একটি অংশ ছিল। জেলাটি প্রশাসনিকভাবে চারটি তেহসিল-এ বিভক্ত: হরিদ্বার, রুরকি, ভগবানপুর, উত্তরাখণ্ড।ভগবানপুর এবং লাক্সার । এটি আরও ছয়টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে বিভক্ত: ভগবানপুর (উত্তরাখণ্ড), ভগবানপুর, রুরকি, নরসন, বাহাদাবাদ, লাক্সার এবং খানপুর। [১][১০] হরিদ্বার রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রোশনাবাদে জেলার সদর দপ্তর অবস্থিত। চীফ ডেভেলপমেন্ট অফিসারের অফিস উন্নয়ন ভবনও, রোশনাবাদে রয়েছে। জেলা প্রশাসক, উন্নয়ন ভবন, জেলা বিচারক, এস.এস.পি. অফিস, পুলিশ লাইন, জেলা কারাগার, জেলা ক্রীড়া স্টেডিয়াম, জওহর নবোদয় বিদ্যালয় প্রভৃতি এই এলাকার প্রধান প্রতিষ্ঠান। এখানে লোক সেবা আয়োগ এবং সংস্কৃত একাডেমীসহ অন্যান্য প্রশাসন অফিস স্থাপন করা হয়।
জেলাটিতে একটিমাত্র লোকসভা কেন্দ্র রয়েছেঃ হরিদ্বার এবং ১১টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছেঃ হরিদ্বার, হরিদ্বার গ্রামীণ, ভেল রানিপুর, জ্বালাপুর, ভগবানপুর (উত্তরাখণ্ড), ভগবানপুর, রুরকি, পিরান কালিহর, খানপুর (উত্তরাখণ্ড) খানপুর, মংলৌর লাক্সার এবং ঝাবরিরা [১][১০][১১]
একটি অত্যন্ত ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ স্থান হওয়ার কারণে হরিদ্বারে সারা বছর ধরেই অনেক ধর্মীয় উৎসব হতে থাকে; তাদের মধ্যে জনপ্রিয় কভদ মেলা, সোমবতী অমাবস্যা মেলা, গঙ্গা দশারা, গুগল মালা ইত্যাদি যেখানে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মানুষ অংশ নেন [১২] এছাড়া, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মেলাটি হল কুম্ভ মেলা, যা প্রতি বারো বছরে একবার যে বার বার বার একবার সঞ্চালিত হয়, যখন জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বৃহস্পতি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করে। কুম্ভ মেলার প্রথম লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় চৈনিক ভ্রমণকারী হুয়ান সাং বা জুয়ানজং (60২-664 খ্রিষ্টাব্দ) এড় লেখাতে, যিনি ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে ভারত সফর করেছিলেন। [১৩] [১৪] [১৫]
অত্যন্ত ভালো সেচের সুবিধাযুক্ত এই জেলার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি কৃষি। ১৯৬০-এর প্রাক্-উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন পাবলিক সেক্টর ইউনিট(পিএসইউ) ভারতীয় ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (আইডিপিএল) এবং ভারত হ্যভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল) প্রতিষ্ঠার সাথে শিল্পায়ন শুরু হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (সিডিসিএল) এখন শিল্পায়নকে উৎসাহিত করার জন্য, হরিদ্বারের কাছে শিবালক নগর সংলগ্ন জেলার একটি নতুন 'শিল্প উন্নয়ন অঞ্চল' প্রতিষ্ঠা করেছে; হিন্দুস্তান লিভার, ডাবর, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ও হাভেলের মত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির এই অঞ্চলে তাদের কারখানা প্রতিষ্ঠা করায় শিল্পের অগ্রগতি তরান্বিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি পর্যটন শিল্প, সারা বছর আগত হিন্দু তীর্থযাত্রীরা জেলার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
ভারতীয় রেলওয়ের হরিদ্বার রেলওয়ে স্টেশন ভারতের সকল অংশে সংযোগ করে।
দিল্লি এবং মানা পাস-এর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী জাতীয় মহাসড়ক ৫৮, , হরিদ্বারের মধ্য দিয়ে যায়।
নিকটতম বিমানবন্দরটি দেরাদুন-এর জলি গ্র্যান্ট বিমানবন্দর, যদিও নতুন দিল্লি-র ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেশি ব্যবহৃত হয় হরিদ্বারের যোগাযোগ রক্ষা করার জন্যে।
Lesotho 1,924,886
West Virginia 1,852,994