হরিশচন্দ্র বর্মা | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | পাটনা সায়েন্স কলেজ আই আই টি কানপুর |
পরিচিতির কারণ | Concepts of Physics Vol. I & II |
দাম্পত্য সঙ্গী | অবিবাহিত |
পুরস্কার | মওলানা আবুল কালাম আজাদ শিক্ষা পুরস্কার (২০১৭) পদ্মশ্রী (২০২০) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | অধ্যাপক জি এন রাও |
ওয়েবসাইট | ওয়েবসাইট |
হরিশ চন্দ্র বর্মা ভারতের এক্সপেরিমেন্টাল পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আইআইটি কানপুরের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স তার গবেষণার ক্ষেত্র।[১]
তিনি স্কুল স্তরের, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বই লিখেছেন। তার বইগুলির মধ্যে কনসেপ্ট অফ ফিজিক্স বইটি অধিক সমাদৃত। তিনি আইআইটি কানপুরের সংলগ্ন অঞ্চলের গরীব পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষা সোপান নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন।[২]
তিনি বিহার রাজ্য সরকার কর্তৃক মওলানা আবুল কালাম আজাদ শিক্ষা পুরস্কার লাভ করেন।[৩][৪] ২০২০ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।[৫]
হরিশচন্দ্র বর্মা তার ছাত্র জীবন পাটনাতে কাটিয়েছেন এবং তা তার বইয়ের বিভিন্ন লেখা থেকে প্রতিফলিত হয়। তিনি তার গণিতের প্ৰথমিক পাঠ তার পিতা গণেশ প্রসাদ বর্মার কাছ থেকে পান। তিনি নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন। তার শিক্ষা জীবনের প্রাক্কাল খানিকটা অম্ল মধুর ছিল। সেই সময় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাকে কষ্ট করতে হতো, যদিও পরবর্তীতে স্নাতক স্তরে পাটনা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর খুবই মসৃন ছিল। সেখানে তিনি বেশ কিছু ভালো ভালো অধ্যাপকদের সান্নিধ্যে এসেছিলেন।[৬]
১৯৮০ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে পাটনা কলেজে যোগ দেন। সেখানে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর অধ্যাপনা করেন। এর পর তিনি আই আই টি কানপুর অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত হন।
বর্মা ১৯৯৪ সালে আই আই টি কানপুরে যোগ দেন। এছাড়াও তিনি আরো অনেক মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি কানপুরে স্নাতকোত্তর ও পিএইচ ডি শিক্ষাথীদের গাইড করেন।এখানে থাকা কালীন তিনি অধ্যাপনা ছাড়াও আরো নানা সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। সেখানে তিনি ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াতেন। তার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে স্কুল ফিজিক্স প্রজেক্ট, শিক্ষা সোপান, উৎসাহী ফিজিক্স টিচার বেশ উল্লেখযোগ্য। ২০১৭ সালের ৩০ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
তার সর্বমোট ১৩৯ টি গবেষণা পত্র বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের বেশ কিছু বই লেখেন।[৭]