হাইডি টিফেন

হাইডি টিফেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হাইডি মারি টিফেন
জন্ম (1979-09-04) ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
তিমারু, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, অধিনায়ক, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২৭ নভেম্বর ২০০৩ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২১ আগস্ট ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই২২ মার্চ ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮ – ২০০৯ক্যান্টারবারি ম্যাজিসিয়ান্স
২০০১ – ২০০২সাসেক্স মহিলা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এসএল
ম্যাচ সংখ্যা ১১৭ ১০৫
রানের সংখ্যা ১২৪ ২৯১৯ ১২১ ২৬৯২
ব্যাটিং গড় ১২৪.০০ ৩০.৭২ ১৭.২৮ ৩৭.৯১
১০০/৫০ ০/১ ১/১৮ ০/০ ০/১৫
সর্বোচ্চ রান ৬৬* ১০০ ৩০ ৯৭
বল করেছে ১৬৫৬ ১৫০৬
উইকেট ৪৯ ৫৫
বোলিং গড় ১৯.৪৮ ১৬.১৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৪৩ ৫/৫১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৩২/– ৬/– ৪৯/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৫ জানুয়ারি ২০১০

হাইডি মারি টিফেন, এমএনজেডএম (ইংরেজি: Haidee Tiffen; জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) ক্যান্টারবারির তিমারু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ম্যাজিসিয়ান্স দলে খেলেছেন। এছাড়াও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাইডি টিফেন। তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিউজিল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকান দলের বিপক্ষে ১৯ বছর বয়সে হোয়াইট ফার্নসের পক্ষে অভিষিক্ত হন। ঐ মৌসুমের শীতকালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট একাডেমির পক্ষে খেলে নিজেকে আরও ঝালাই করে নেন। মাঝারি সারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। টিফেন মূলতঃ তার ইনিংসকে আক্রমণাত্মক ও রান সংগ্রহ করা - উভয় দিকে ধাবিত করে সাজান। পরিবর্তিত বোলাররূপে ধারাবাহিকভাবে সফলতা পেয়েছেন। চমৎকার লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ের প্রাণবন্ত উদাহরণ তিনি। উইকেটে তার রান সংগ্রহের ভূমিকা অবিসংবাদিত। এছাড়াও ফিল্ডিংয়েও তার দক্ষতা রয়েছে।

হকি ও রাগবি খেলায় প্রতিনিধিত্ব করলেও ক্রিকেটের দিকেই ধাবিত হন তিনি। লিঙ্কনে মহিলাদের একাডেমিতে অন্যতম প্রথম অর্থ উপার্জনকারী ছিলেন ও দুইটি শীত মৌসুম সাসেক্সের পক্ষে খেলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

২৭ নভেম্বর, ২০০৩ তারিখে বাপিতে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল। এরপূর্বেই ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। এছাড়াও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ৫ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুই টেস্ট ও ১১৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। তাকে মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারদের একজনরূপে গণ্য করা হয়ে থাকে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

২০০০ সালে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের গৌরবময় বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখার পর ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে চার উইকেটে পরাজিত হয় তার দল। ব্যাট হাতে সুপার সিক্সের খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তারে সহায়তা করেন। সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি দলকে ২২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভে সহায়তা করেন। ৬ খেলায় অংশ নিয়ে ৪৬.৫০ গড়ে ২৭৯ রান তুলে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হন।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের আইসিসি মহিলা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কারের সাতজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে রাখা হলেও কারেন রোল্টনের কাছে তাকে নতি শিকার করতে হয়েছে।[] ওডিআই ক্রিকেটে ২,৯১৯ রান তোলেন। কেবলমাত্র ছয়জন ক্রিকেটার ও একজন কিউই তার এ সংগ্রহকে অতিক্রম করতে পেরেছেন।[]

২০১১ সালের নববর্ষের সম্মাননায় ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার প্রেক্ষিতে নিউজিল্যান্ড অর্ডার অব মেরিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।[]

২০০৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় নেতৃত্ব দেয়ার পর খেলোয়াড়ী জীবন থেকে তার অবসর নেয়ার কথা ঘোষণা করেন।[] ঐ বিশ্বকাপের পর হাইডি টিফেন অবসর নিলে এইমি ওয়াটকিনসকে দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়।[] এ প্রসঙ্গে তার জীবনের অন্যান্য দিকে ভূমিকা রাখার উপযুক্ত সময়রূপে উল্লেখ করেন। ক্রাইস্টচার্চের হিলমর্টন হাই স্কুলে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত তিনি।

ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন টিফেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Player Profile: Haidee Tiffin"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৫ 
  2. "Records / Women's One-Day Internationals / Batting records / Most runs in career"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৫ 
  3. "New Year Honours 2011"Department of the Prime Minister and Cabinet। ৩১ ডিসেম্বর ২০১০। ২ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ 
  4. "Aimee Watkins named New Zealand women's captain"। Cricinfo। ১৫ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০০৯ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]