হাইফোং | |
---|---|
মেট্রোপলিটন | |
![]() ক্যাট বি ভবন | |
ডাকনাম: ফ্লামি গাছের শহর | |
হাইফোং শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২০°৩১′ উত্তর ১০৬°৪১′ পূর্ব / ২০.৫১° উত্তর ১০৬.৬৮° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
আয়তন | |
• মোট | ১,৫২৭ বর্গকিমি (৫৯০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৫) | ২০,০৩,৫০০ |
হাইফোং হল ভিয়েতনাম এর তৃতীয় বৃহত্তম শহর। শহরটির জনসংখ্যা ২ মিলিয়নেরও বেশি। এর থেকে বড় শহর দুটি হল রাজধানী হ্যানয় ও অর্থনৈতিক রাজধানী হো চি মিন সিটি। এই শহরটি দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত। এই শহরেই বিখ্যাত হাইফোং বন্দর অবস্থিত। এই বন্দরটি ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই শহর থেকে হ্যানয় কাছেই অবস্থিত। দেশের মধ্য ভাগের শহর ও বন্দর [১] ৮৭০ কিলোমিটার দূরে ও হো চি মিন সিটি ১৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শহরটি দেশর উত্তর অংশে সমুদ্রের তীরে অবস্থিত। এটি সমুদ্র সমতল থেকে সামান্য উচ্চতায় অবস্থিত। এটি ২২.০০ ডিগ্রী উত্তর ও ১০৭ ডিগ্রী পূর্ব এর মধ্যে অবস্থিত। এই শহর হ্যানয় থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
শহরটি সমুদ্র উপকূল একলাকায় অবস্থিত। এই শহরটির মোট আয়তন ১৫২৭ বর্গ কিলোমিটার। শহরটি এর মধ্যে কাম নদী প্রবাহীত হয়েছে।
এই শহর এক সময় ফান্স ইন্দোচিন এর অন্তর্গত ছিল। সেই সময় থেকেই শহরটি একটি অর্থনৈতিক ও শিল্পনগরী হিসাবে পরিচিত। শহরটি হাইফোং বন্দর কে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠেছে। ১৯০২ সালে এই শহরে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়।
শহরটিতে মোট জনংখ্যা হল ২০,০৩,৫০০ জন। এই জনসংখ্যার হিসাবে শহরটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর। এই শহরে মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ নারী ও ৫১ শতাংশ পুরুষ।
শহরটি সড়ক পথ ও রেলপথ দ্বারা দেশের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই শহরে জাতীয় পথ ৫ বা ন্যাশনাল রুট ৫ ও জাতীয় পথ ১০ বা ন্যাশনাল রুট ১০ দ্বারা দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এই শহরের প্রধান রেল স্টেশন হল হাইফোং রেলওয়ে স্টেশন বা হাইফোং স্টেশন। এটি কুনমিং হাইফোং রেলপথ বা ইউনান হাইফোং রেলপথের প্রান্তিক স্টেশন। এছাড়াও রেলপথে শহরটি দেশের প্রধান শহর হ্যানয় ও হোচিমিন সিটি এর সঙ্গে যুক্ত।
এই শহরে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দর দ্বারা শহরটির বিমান যোগাযোগ সম্পর্ন হয়। এই শহর থেকে বিমান যোগে দেশের বেশির ভাগ বড় শহরে যাওয়া যায়।
এই শহরের জলপথে পরিবহন সম্পর্ন হয় হাইফোং বন্দর এর দ্বারা। এই বন্দরের দ্বারা বিভিন্ন দেশের বন্দরের পণ্য দ্রব্য রপ্তানি করা হয় এবং বিদেশ থেকে এই বন্দরের দ্বারা পণ্য-দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দেশের অর্থনীতিতে এই শহর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই শহরেই রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। এই শহরে বহুসংখ্যক কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হালকা ও ভারী দুই ধরনের শিল্প গড়ে উঠেছে।