হাউদা ইজ্রা ইব্রাহিম নোনু ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে এই পদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ বেন আহমদ আল-খলিফার ডিক্রিতে (আদেশ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। হাউদা হলেন প্রথম ইহুদি এবং তৃতীয় মহিলা, যিনি বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশের প্রথম ইহুদি রাষ্ট্রদূত,[১][২][৩] এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মহিলা বাহরাইন রাষ্ট্রদূত। [৪]
হাউদা বর্তমান ইরাকের বংশোদ্ভূত ইহুদি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের একটি পরিবারে মানামায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ঠাকুরদাদা ইব্রাহিম ১৮৮৮ সালে বাগদাদ ছেড়ে বাহরাইনে আর্থিক ব্যবসা শুরু করেন। [৫][৬][৭]
হাউদা যুক্তরাজ্যে একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বসবাস করেন, যেখানে তিনি কারমেল কলেজ নামে একটি ইহুদি বোর্ডিং স্কুল [৮] পড়াশোনা করেন এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সালমান ইদফারকের সাথে পরিচিত হন এবং বিয়ে করেন, সালমান ইদফার একজন ব্রিটিশ ইহুদি, যার সাথে তার দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে; পুত্র সন্তানরা হলেন মেনশেহ ও এজরা। তার বাবা একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর, তিনি বাহরাইনে ফিরে আসেন বাসমা কোম্পানির দবায়িতব দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৯] এই কোম্পানিটি আইটি [১০] থেকে দারোয়ান পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস পরিষেবা প্রদান করে। ফলে তিনি পরিবারের ব্যবসার উত্তরাধিকার লাভের পর একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। [১১]
মজলিস আল-শুরায় ২০০৫ সালে তার নিয়োগের আগে [১২] তিনি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হন এবং নারীদের [১৩] ও সেইসাথে বাহরাইনে বিদেশী কর্মীদের অধিকারের অগ্রগতির সমাজ বাহরাইন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সোসাইটির সভাপতিত্ব করেন। রাজা হামাদ ইবনে ইসা আল খলিফা কর্তৃক নিযুক্ত হওয়ার পর মোট তিন বছর পার্লামেন্টের সদস্য (৪০- সদস্যের শুরা কাউন্সিল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নিয়োগটি সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল, কারণ হাউদা বাহরাইনের ছোট ইহুদি সম্প্রদায়ের অংশ ছিলেন। বাহরাইনের ইহুদি সম্প্রদায় কেবল ৩৭ জনকে নিয়ে গঠিত, যাদের অধিকাংশই ইরাক ও ইরান থেকে আসা অভিবাসীদের বংশধর। [১][২] হাউদা তার পরিবারের প্রথম ব্যক্তি অথবা ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্য নয় যিনি বাহরাইনের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তার ঠাকুরদাদা আব্রাহাম নোনু বাহরাইনের প্রথম নির্বাচিত পৌরসভা সংস্থা মানামা পৌরসভার সদস্য হিসাবে ১৯৩৪ সালে কাজ করেছিলেন। [১৪] নামের তার এক কাকাতো ভাই ইব্রাহিম দাউদ নোনুকে ২০০০ সালে সংসদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। নোনু পরিবার মূলত ইরাক থেকে এসে এক শতাব্দী আগে বাহরাইনে চলে আসে। [১৫]