| ||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গিভানিল্ডো ভিয়েরা ডি সুজা | |||||||||||||
জন্ম | ২৫ জুলাই ১৯৮৬ | |||||||||||||
জন্ম স্থান | ক্যাম্পিনা গ্রান্দে, ব্রাজিল | |||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮০ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি)[১] | |||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড / উইঙ্গার | |||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||
বর্তমান দল | জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ | |||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৭ | |||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||
২০০১–২০০২ | ভিলানোভেন্স | |||||||||||||
২০০২ | সাঁও পাওলু | |||||||||||||
২০০৩–২০০৪ | ভিতোরিয়া | |||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||
২০০৪–২০০৫ | ভিতোরিয়া | ১ | (০) | |||||||||||
২০০৫–২০০৮ | কাউয়াসাকি ফ্রন্তেল | ১১ | (১) | |||||||||||
২০০৬ | → কনসাদোল সাপ্পোরো (ধার) | ৩৮ | (২৫) | |||||||||||
২০০৭ | → টোকিও ভার্দি (ধার) | ৪২ | (৩৭) | |||||||||||
২০০৮ | টোকিও ভার্দি | ১৩ | (৭) | |||||||||||
২০০৮–২০১২ | পোর্তো | ৯৯ | (৫৪) | |||||||||||
২০১২– | জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ | ৪২ | (২৪) | |||||||||||
জাতীয় দল‡ | ||||||||||||||
২০১২ | ব্রাজিল অলিম্পিক | ৬ | (১) | |||||||||||
২০০৯– | ব্রাজিল | ৩৩ | (৮) | |||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং 15 May 2014 তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা 5 March 2014 তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
গিভানিল্ডো ভিয়েরা ডি সুজা (জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৯৮৬) জন্মগ্রহণকারী ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তবে বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে হাল্ক (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈhuwki]) নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। উইঙ্গার হিসেবে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলে খেলার পাশাপাশি জেনিত সেন্ট পিটর্সবার্গ দলের হয়েও খেলছেন।
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষিক্ত হন হাল্ক। ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলে খেলেন যেখানে তিনি বয়স অতিরিক্ত তিনজন খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন।
স্যালভাদরে ভিতোরিয়া দলের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলার পর তিন বছর জাপানে খেলেন। সেখানে তিনি কাওয়াসাকি ফ্রন্তেল, কনসাদোল সাপ্পোরো ক্লাবে খেলেন। সাপ্পোরোতে অবস্থানকালীন তিনি ২০০৬ মৌসুমে সকল খেলায় অংশগ্রহণ করেন ও ২৫ গোল করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি মৌসুম পর্তুগালের পোর্তো ক্লাবে খেলেন। সেখানে তিনি ২০১১ সালের ইউরোপা লিগ, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপসহ দলকে প্রধান দশটি শিরোপা এনে দেন। এছাড়াও একবার বোলা দ্য প্রাতা ক্লাবে খেলে লিগের শীর্ষস্থানীয় গোলদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০০৭ সালে তিনি পুনরায় দ্বিতীয় বিভাগের দল টোকিও ভার্দিতে ধারকৃত অবস্থায় খেলেন। সেখানে তিনি নিজেকে আরও কার্যকর করে তোলেন। ৪২ খেলায় ৩৭ গোল করার মাধ্যমে হাল্ক মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ২০০৮ সালে কাওয়াসাকিতে সংক্ষিপ্তকালের জন্য ফিরে এলেও ৭ খেলায় অংশ নিয়ে পুনরায় ভার্দিতে ফিরে আসেন।
জাপানে থাকার পর তিনি পর্তুগালে চলে যান ও ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রাইমেরিয়া লিগা’র পূর্বতন চ্যাম্পিয়ন এফ.সি. পোর্তো দলের সাথে €৫.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন।[২]
মরোক্কান দলীয় সঙ্গী তারিক সেকিতাইওই আঘাত পেলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলার সুযোগ পান হাল্ক ও সি.এফ অস বেলেনেনসেস ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম গোল করেন, যাতে তার দল ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়। এফ.সি. পাকোজ দ্য ফেরেইরা দলের বিপক্ষে একই ফলাফল করেন। উভয় খেলায়ই তিনি অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে তিনি আরও নিজেকে শাণিত করেন। ক্রিস্টিয়ান রড্রিগুয়েজ ও লিজান্দ্রো লোপেজের সাথে প্রায়শই অবস্থান পরিবর্তন করে আক্রমণ করেছিলেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ২০০৮-০৯ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বেশ কয়েকটি খেলায় দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর তিনি উয়েফা কর্তৃক শীর্ষ ১০ উদীয়মান তারকায় ভূষিত হন।[৩] ২০০৯ সালের আগস্টের শেষদিকে তিনি চুক্তি নবায়ণ করে আর্থিক বিনিময়মূল্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে নিয়ে যান।[৪]
১৪ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে দোহায় অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে এক প্রীতি খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে হাল্কের আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় সেলকাও’রা ১-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল।[৫] ২৬ মে, ২০১২ তারিখে জার্মানির হ্যামবার্গের ইমটেক অ্যারিনায় অনুষ্ঠিত ডেনমার্কের বিপক্ষে তিনি দুই গোল করেন ও ব্রাজিল দল ৩-১ ব্যবধানে জয়ী হয়।[৬]
৯ জুন, ২০১২ তারিখে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতিখেলায় হাল্ক গোল করলেও দল ৩-৪ ব্যবধানে পরাজিত হয়।[৭] কোচ মানো মেনেজেসের অনূর্ধ্ব-২৩ ব্রাজিল দলের বয়স অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের একজনরূপে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন।[৮] সকল খেলায় অংশ নেন তিনি ও প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় এক গোল করা স্বত্ত্বেও তার দল ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হলে মেক্সিকো দল স্বর্ণপদক লাভ করে।[৯]
জুন, ২০১৩ সালে হাল্ক ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণ করেন। দলের প্রত্যেকটি খেলায় রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেলেন ও স্পেন দলকে পরাজিত করে ব্রাজিল শিরোপা জয় করে।