হাকীকত বা হাকিকত (আরবি: حقيقة, বাংলা অর্থ - সত্য বা বাস্তব) হচ্ছে সুফিবাদের চারটি স্তরের একটি। ইহজাগতিক সব ভোগ-লালসা ,সময়ের বিভ্রান্তি, দেহভার প্রভৃতি মুক্ত হওয়া হচ্ছে হাকীকার শিক্ষা।
সুফিবাদের চারটি স্তর হচ্ছে শরীয়াহ,ত্বরীকত,হাকীকত ও মারিফাত। [১]
ইসলামী গবেষক ও পন্ডিতদের মাঝে হাকীকত কি এবং কীভাবে এটি এখনো আলোচিত ও গবেষণা চলমান বিষয়। 'ইসলামিক ফিলোসফিক্যাল থিওলজি' বইটিতে বলা হয়েছে হাকীকত হচ্ছে: “
“কোনটি বাস্তব, অকৃত্রিম, কোনটি সত্য ও বিভ্রান্তি নয় জানা এবং মহাজাগতিক স্থিতি লাভ করা।” [২]
ঈশ্বরে সান্নিধ্যে প্রাপ্ত জ্ঞান সর্বোত্তম হাকীকা। ত্বরীকা অর্জন বা লাভের পর হাকীকত অর্জন করা যায়। উদাহরণ: যে শায়খ শরীয়াহ ও ত্বরীকার জ্ঞান অর্জন করেছেন তিনি হাকীকা অর্জন করেছেন এবং তিনি তার শিষ্য কথা মুখ ফুটে বলার আগে বুঝতে পারেন, তিনি শারীরিক ভাষা পড়তে পারেন, কেউ অসুস্থ হলে বুঝতে পারেন এবং মানুষের মনের কথা অনুমান করতে পারেন। তিনি কথার ধরন ও বলার ভঙ্গি দেখে কারো জন্ম সময় ,জন্ম পরিবেশ বা স্থান, পরিবারের তথ্য, সমস্যা প্রভৃতি বলে দিতে পারেন। তিনি বহুমাত্রিক বা দৈহিক জগতের বাইরেও দেখতে পারেন।[৩] সুফিবাদে হাকীকাত হচ্ছে আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি ধাপ। স্বল্প স্তর হলেও পরবর্তী ধাপ মারিফাত অর্জনে উচ্চতর স্তর চেতনা। অন্বেষীর জন্য এটি একটি ভাবনা,চর্চা ও অর্জনের বিষয়। যেটি অর্জনে অন্বেষীর জীবন স্হির,ওজনহীন, সময়ের মায়া প্রভৃতি হতে মুুুক্ত থাকে।[৪]