হাকিমুল্লাহ মেহসুদ | |
---|---|
স্থানীয় নাম | পশতু: حکیم اللہ محسود |
জন্ম | ১৯৭৯ (বয়স ৪৪–৪৫) বান্নু, উত্তর ওয়াজিরিস্থান |
আনুগত্য | তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান |
কার্যকাল | ২০০০-বর্তমান |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | উত্তর- পশ্চিম পাকিস্তান যুদ্ধ |
সম্পর্ক | ক্বারি হুসাইন (cousin) |
হাকিমুল্লাহ মেহসুদ যিনি বায়তুল্লাহ মেহসুদের পর তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের প্রধান নেতা। ২০১০ সালে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রচার করেছিল হাকিমুল্লাহ মেহসুদ মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা গেছেন। তবে পাকিস্তানের তালেবান দাবি হাকিমুল্লাহ মেহসুদ এখনও বেঁচে আছেন। তেহরিক তালেবানকে আতঙ্কিত করার জন্য এ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।[২][৩]
২০০৯ সালে টিটিপি নেতা বাইতুল্লাহ মেহসুদ মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন। এরপর হাকিমুল্লাহ মেহসুদ তাঁর উত্তরসূরি হন। বাইতুল্লাহর মৃত্যুতে তালেবান জঙ্গিরা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল তবে তা হয়নি। হাকিমুল্লাহ নিজেই দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।[২][৩]
পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছে মার্কিন ড্রোন হামলায় তালেবান প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের চার গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মেহসুদের নিহত হওয়ার বিষয়টি রেডিওতে তালেবান যোদ্ধাদের কথোপকথন শুনে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তবে তালেবান কর্তৃপক্ষ মেহসুদের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছে। গোয়েন্দাদের মতে আফগান সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের পার্বত্যাঞ্চলে হাকিমুল্লাহ মেহসুদের গাড়িবহরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন মেহসুদ। বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য মেহসুদের নিহত হওয়ার খবরটি সমর্থন করলেও মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। পাকিস্তানি তালেবান মুখপাত্র আসিমুল্লাহ মেহসুদ গোয়েন্দাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যেখানে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন, সেখানে হাকিমুল্লাহ মেহসুদ ছিলেন না। ২০১০ সালের প্রথম দিকেও পাকিস্তান ও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাকিমুল্লাহ মেহসুদ নিহত হয়েছেন। কিন্তু পরে হাকিমুল্লাহ মেহসুদের নতুন একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ পাওয়ায় তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।[২][৪]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; dawn20100115
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি