হাজী বিরিয়ানী | |
---|---|
রেস্তোরাঁর তথ্য | |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৩৯ |
বর্তমান মালিক | হাজী মোহাম্মদ শাহেদ |
পূর্বতন মালিক | হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন |
খাবারের ধরন | ছাগলের মাংসের বিরিয়ানি |
রাস্তার ঠিকানা | ৭০ কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিরা বাজার, পুরান ঢাকা, বাংলাদেশ |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
বসার ধারণক্ষমতা | ৫০ |
অন্যান্য অবস্থান | মতিঝিল |
হাজী বিরিয়ানি (এছাড়াও হাজীর বিরিয়ানি নামে পরিচিত) পুরান ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম রেস্তোরাঁ যারা ছাগলের মাংসের বিরিয়ানি, বোরহানী (দই দিয়ে তৈরি নোনতা পুদিনা পানীয়) এবং কোমল পানীয় বিক্রি করে। ১৯৩৯ সালে হাজী মোহাম্মদ হোসেন নামে একজন ব্যক্তি রাস্তার ধারের খাদ্য বিক্রির দোকান হিসেবে রেস্তোরাঁটি চালু করেছিলেন। পরবর্তীতে এর ব্যবসায় নাটকীয় পরিবর্তন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শহরের সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে।[১]
এই ব্যবসাটি ১৯৩৯ সালে হাজী মোহাম্মদ হোসেন নামে একজন বাবুর্চি শুরু করেছিলেন। ১৯৯২ সালে হাজী মোহাম্মদ হোসেন মারা যাওয়ার পর, তার ছেলে হাজী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং শৈলী ও ঐতিহ্যের কোন পরিবর্তন না করেই পারিবারিক ব্যবসা চালিয়ে যান। সময়ের সাথে সাথে হাজী মোহাম্মদ গোলাম পারিবারিক ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ব্যবসাটি তার ছেলে হাজী মোহাম্মদ শাহেদের হাতে তুলে দেন।[২]
হাজী বিরিয়ানির দুইটি শাখা রয়েছে। একটি পুরান ঢাকায় যা প্রধান শাখা,[৩] এবং একটি মতিঝিলে।[৪][৫] পুরান ঢাকার প্রধান শাখাটি ৭০ কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিরা বাজারে অবস্থিত।[৬]
রন্ধনপ্রণালীতে ভাত, ছাগলের মাংস, সরিষার তেল, রসুন, পিঁয়াজ, গোল মরিচ, জাফরান, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, লবণ, লেবু, দই, চীনাবাদাম, ক্রিম, কিশমিশ এবং সামান্য পরিমাণ চিজ (গরু বা মহিষের) ব্যবহৃত হয়। রন্ধনপ্রণালীটি রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠাতা তার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করেছেন। হাজী মোহাম্মদ শাহেদ দাবি করেন, "আমি কখনো কিছু পরিবর্তন করিনি, এমনকি লবণের পরিমাণও পরিবর্তন করি নি।"[৭]