হাজ্জাজ বিন ইউসুফ | |
---|---|
জন্ম | কুলাইব বিন ইউসুফ জুন ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ / ৪০ হিজরি |
মৃত্যু | ৭১৪ (৫৩ বছর) |
পেশা | প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, প্রশাসক ও শিক্ষক |
পরিচিতির কারণ | ইরাকের গভর্নর |
পিতা-মাতা |
|
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ (আরবি: الحجاج بن يوسف al-Ḥajjāj bin Yūsuf) (জন্ম জুন ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ / ৪০ হিজরি – ৭১৪ খ্রিষ্টাব্দ / ৯৫ হিজরি) ছিলেন আরব প্রশাসক, রাজনীতিবিদ ও উমাইয়া খিলাফতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।[১] আজকের সৌদি আরব অর্থাৎ হেজাজের তাইফ শহরে ৬৬১ সালে জন্ম হাজ্জাজের। তার গোত্রের নাম ছিল বনু সাকিফ, এখানেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন মক্কা থেকে, ফিরেছিলেন রক্তাক্ত হয়ে। তখন বনু সাকিফ পূজা করতো লাত দেবীর।
হাজ্জাজের পরিবার খুব একটা অর্থবান ছিল না। দরিদ্রই বলা চলে। তার মায়ের নাম ছিল ফারিয়া। বলা হয়ে থাকে, তার বাবা চিকিৎসক ছিলেন। তবে দরিদ্র পরিবারটির অন্যান্য সদস্যরা রাজমিস্ত্রী বা পাথর বয়ে নেবার কাজ করতো। হাজ্জাজের ছোটবেলা নিয়ে একদমই কম জানা যায়। শুধু এটুকু নিশ্চিত যে, একটা পর্যায়ে স্থানীয় স্কুলে পড়াতেন হাজ্জাজ আর তার বাবা। কোনো এক কারণে ছোটকালের হাজ্জাজের ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল ‘কুলাইব’ বা ‘কুকুরের বাচ্চা’। [২]
হাজ্জাজ বুদ্ধিমান এবং কঠোর প্রকৃতির শাসক ছিলেন। তাকে কখনো পৈশাচিকভাবে বর্ণনা করা হলেও আধুনিক ইতিহাসবিদরা এতে পরবর্তীকালের আব্বাসীয় ইতিহাসবিদ ও জীবনীকারদের প্রভাব স্বীকার করেন। তারা উমাইয়া খিলাফতের প্রতি প্রবলভাবে অনুগত হাজ্জাজের বিরোধিতা করতেন।[১] সামরিক কমান্ডারদের বাছাইয়ের সময় হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কঠোর নীতি অবলম্বন করতেন। সৈনিকদের র্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তিনি শৃঙ্খলা আরোপ করেন। এর পদক্ষেপ মুসলিম সাম্রাজ্যের দূর বিস্তৃতিতে সহায়ক হয়েছিল। তিনি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল আরবিতে অনুবাদের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন এবং প্রথমবারের মত তিনি খলিফা আবদুল মালিককে মুসলিম বিশ্বের জন্য বিশেষ মুদ্রা চালুর ব্যাপারে রাজি করাতে সক্ষম হন। এর ফলে সম্রাট দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ানের অধীন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ৬৯২ সালে সেবাস্টোপলিসের যুদ্ধে লিওন্টিওস বাইজেন্টাইনদের নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয়।
|তারিখ=
(সাহায্য)