হানি ইরানি

হানি ইরানি
২০১৮ সালে হানি ইরানি
জন্ম (1955-08-25) ২৫ আগস্ট ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার
দাম্পত্য সঙ্গীজাভেদ আখতার (বি. ১৯৭২; বিচ্ছেদ. ১৯৮৫)
সন্তানজোয়া আখতার
ফারহান আখতার
আত্মীয়ডেইজি ইরানি (বোন)
সাজিদ খান (বোনপো)
ফারাহ খান (বোনঝি)

হানি ইরানি (জন্ম ২৫ আগস্ট ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন। তিনি চিরাগ কাহাঁ রোশনি কাহাঁবম্বে কা চোর চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি লমহে (১৯৯১) ও ক্যায়া কহনা (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং কাহো না... প্যায়ার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

হানি ইরানি ১৯৫৫ সালের ২৫শে আগস্ট বম্বে রাজ্যের বম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার যখন আড়াই বছর বয়স তখন থেকে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষভাগে তিনি সন্তান, তালাকচিরাগ কাহাঁ রোশনি কাহাঁ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি অভিনেত্রী মীনা কুমারীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যাকে প্রায়ই পর্দায় তার মায়ের চরিত্রে দেখা যেত। মীনা কুমারী সম্পর্কে হানি বলেন, "মীনাজী প্রায়ই আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতেন, নিজ হাতে খাওয়াতেন, গোসল করাতেন এবং ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। তিনি আমার কাছে আমার নিজের মায়ের চেয়েও বেশি ছিলেন।"[]

তিনি তার তিন বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় দুই বোন হলেন মেনকা খানডেইজি ইরানি। তার বড় বোন মেনকা চলচ্চিত্র নির্মাতা কামরান খানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান চলচ্চিত্র নির্মাতা সাজিদ খানফারাহ খান[] তার অপর বোন ডেইজি ইরানিও তার মত শিশুশিল্পী ছিলেন।[] তিনি চিত্রনাট্যকার কে.কে. শুকলাকে বিয়ে করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ইরানি সীতা অউর গীতা চলচ্চিত্রের সেটে কবি ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের সাথে পরিচিত হন। তারা ১৯৭২ সালের ২১শে মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।[] তাদের থাকার জায়গা ছিল না, ফলে তারা ইরানির বড়বোন মেনকা ও তার স্বামী কামরান খানের সাথে তাদের জুহুর বাড়িতে একটি কক্ষে বসবাস করতেন। ১৯৭২ সালে তার কন্যা জোয়া আখতার এবং ১৯৭৪ সালে তাদের পুত্র ফারহান আখতার জন্মগ্রহণ করেন। ইরানি গৃহকাজে নিয়োজিত হন, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে তার স্বামী অভিনেত্রী শাবানা আজমির সাথে সম্পর্কে জড়িত হন। ১৯৭৮ সালে তারা আলাদা হয়ে যান এবং ১৯৮৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

ইরানি যশ চোপড়ার অনুরোধে একটি গল্প রচনা করেছিলেন, সেই গল্পটি পরে লমহে (১৯৯১) চলচ্চিত্রে রূপদান করা হয়, যার মাধ্যমে চিত্রনাট্যকার হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। চলচ্চিত্রটি মধ্যমমানের আয় করলেও ইরানি শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি চোপড়ার স্ত্রী পাম চোপড়ার কাছে আয়না (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের গল্পটি বর্ণনা করেন একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য, কিন্তু যশ চোপড়া তা চলচ্চিত্রে রূপ দেন। ক্যায়া কহনা (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং কাহো না... প্যায়ার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য রবি কাপুরের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

পুরস্কার ও মনোনয়ন

[সম্পাদনা]
বছর চলচ্চিত্র পুরস্কার বিভাগ ফলাফল সূত্র
১৯৯২ লমহে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিজয়ী []
২০০১ ক্যায়া কহনা ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিজয়ী
আইফা পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিজয়ী []
কাহো না... প্যায়ার হ্যায় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিজয়ী
স্ক্রিন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিজয়ী []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ফারুক, ফারহানা (২ জুলাই ২০১২)। "'Shabana and I are not sahelis'"ফিল্মফেয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২০ 
  2. "'I told Shah Rukh, sorry darling, now you are Shakira. Off with your clothes'"দ্য টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২০ 
  3. "Honey Irani... happy and sweet"দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২০ 
  4. "The Filmfare Awards Winners – 1991"দ্য টাইমস গ্রুপ। ২৮ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  5. "IIFA Through the Years – IIFA 2001: South Africa"আইফা। ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  6. "Star Screen Best Screenplay Award Winners – Screen Videocon Best Screenplay Awards"অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড শো। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]