হান্না এলহেবশি

হান্না এলহেবশি
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মিশেল ওবামাহিলারি ক্লিনটনের সাথে হান্না এলহেবশি
জন্মআনুমানিক ১৯৮৩
জাতীয়তালিবীয়
পেশানারী অধিকার কর্মী, স্থপতি

হান্না এলহেবশি (জন্ম: আনুমানিক ১৯৮৫)[] হলেন একজন লিবীয় নারী অধিকার কর্মী ও স্থপতি।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

হান্না এলহেবশি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে স্থপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[] তার বাবা সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।[]

তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না থাকলেও আরব বসন্তের সময় লিবিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন।[] তিনি একজন সাইবারঅ্যাক্টিভিস্টে পরিণত হন।[] তিনি তুলে ধরেন মুয়াম্মার গাদ্দাফির সময়ে ২০১১ সালে লিবীয় গৃহযুদ্ধের সময় মানুষ নিহত হবার কাহিনি।[] তিনি বছরের পর বছর ধরে লিবিয়ায় চলে আসা দুঃখ-দুর্দশার কথা দুনিয়াবাসীকে জানিয়েছেন।[] তিনি 'নুমিদিয়া' ছদ্মনামে কর্মকাণ্ড চালাতেন, যেটি তার বার্বা‌র জাতির প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও তার পরিচত লুকিয়ে রাখত।[][] তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লিবিয়ার বছরের পর বছর ধরে চলে আসা দুঃখ-দুর্দশার খবর সরবরাহ করতেন।[] তিনি লিবিয়ায় নারী অধিকার নিয়েও কাজ করেছেন।[]

তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।[] তিনিসহ আরো দশজন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এই পুরস্কার লাভ করেছিলেন। পুরস্কারবিজয়ীরা তিন সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনি বর্ণনা করেছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Libyan Activist Gets International Women of Courage Award"www.tripolipost.com। ৯ মার্চ ২০১২। ২০১৬-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬ 
  2. "2012 International Women of Courage Award Winners"। state.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-০৬ 
  3. Luna, Taryn (৬ মার্চ ২০১২)। "Pittsburgh first U.S. city to spend time with courageous women"Pittsburgh Post-Gazette। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "هناء الحبشي.. دور المرأة في الثورة الليبية"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬ 
  5. "Revolutionaries Unveiled - Cyberactivism & Women's Role in the Arab Uprisings - Page 2 of 7"Muftah (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১২-১০। ২০১৮-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৬ 
  6. Taryn Luna (৬ মার্চ ২০১২)। "Pittsburgh first U.S. city to spend time with courageous women"। Pittsburgh Post-Gazette। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৫ 
  7. "Women honored by U.S. for their courage - SFGate"। sfgate.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-০৬ 
  8. "Congressional Record, Volume 158 Issue 61 (Thursday, April 26, 2012)"। gpo.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-০৬