হাপুড় জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
উত্তর প্রদেশের হাপুড় জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | মীরাট |
সদর দপ্তর | হাপুড় |
তহশিল | হাপুড়, গড়মুক্তেশ্বর, ধৌলানা |
আয়তন | |
• মোট | ৬৬০ বর্গকিমি (২৫০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৩,৩৮,২১১ |
• জনঘনত্ব | ২,০০০/বর্গকিমি (৫,৩০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://hapur.nic.in/ |
হাপুড় জেলা হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এটি উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। গঙ্গা নদীর তীরে এই জেলাটি নতুন দিল্লি থেকে ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মা) দূরে।[১]
২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে পূর্বের গাজিয়াবাদ জেলার হাপুড়, গড়মুক্তেশ্বর এবং ধৌলানা তহসিলগুলি থেকে নতুন জেলা পঞ্চশীল নগর তৈরি করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী সিদ্ধান্তটিকে ন্যায়সঙ্গত বলে ঘোষণা করেন, এবং বলেন যে গাজিয়াবাদ জেলাটি "এত বড় যে প্রশাসনিক দক্ষতা থাকছে না", এবং ছোট ছোট জেলা তৈরি করা, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর এবং জ্যোতিরাও ফুলের মত সমাজ সংস্কারকদের প্রস্তাবিত ধারণার সাথে সামঞ্জস্য সাধন করে।[২]
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় কুমারী মায়াবতী ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে হাপুড়কে পঞ্চশীল নগর নামে একটি জেলা হিসাবে ঘোষণা করেছিলে ২০১২ সালের জুলাই মাসে এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অখিলেশ যাদব এই নামটি বদলে ‘হাপুড় জেলা’ করে দেন [৩][৪] হাপুড় জেলা মীরাট বিভাগের একটি অংশ।
হাপুড়-মুরাদাবাদ রোডে অবস্থিত এটি। হাপুড় জেলার বিখ্যাত তীর্থস্থান। পৌরাণিক ও ধর্মীয় আকারে, এটি খাণ্ডববন নামে পরিচিত। এখানে উমা কৈলাস পর্বতকে নিয়ে এসেছিলেন। এখানে পরশুরাম শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে শিব, বেতাল যোনির কাছ থেকে এসে মুক্তি পেয়েছিলেন।
হাপুড়-মুরাদাবাদ রোডে অবস্থিত, এই শহরটি সারা দেশে খাদি এবং অন্যান্য বস্ত্র উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। পিলখুয়ার আশেপাশে রাজপুতদের ১৪৪টি গ্রাম রয়েছে, এদের মধ্যে ৬৪টি তানওয়ারোদের এবং ৮৪টি গহলোট রাজপুতদের, তাই এটাকে সাতারা-চিরাসি বলা হয়।
গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই নির্জন গ্রামটি মহাভারতের যুগে, পুস্পবতী নামে বিখ্যাত ছিল। গঙ্গা এখানে স্নানের জন্য আসতেন। এখানে নিকটবর্তী লহরী গ্রামে রাজা কর্ণের প্রাসাদ ছিল। তিনি ব্রাহ্মণদের দর্শন করতে এসে স্বর্ণ দান করতেন। মারাঠাদের নির্মিত মন্দির ও মাটির দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে।
এটি পিলখুয়া শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে স্বদেশপ্রেমীদের একটি গ্রাম। ১৮৫৭ সালে, রাজা গুলাবসিহ এই অঞ্চলের শিল্পীদের প্রধান ছিলেন। তাঁরা এখানে একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের কথা জানতে পেরে দুর্গের কুয়ে এলাকায় ৬০ মাইল দূর পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধ করে আক্রমণ করেছিলেন।[৫]
এটি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের মধ্যে পড়ে।[৬][৭]
হাপুড় জেলায় তিনটি তহশিল রয়েছে: হাপুড়, গড়মুক্তেশ্বর এবং ধৌলানা।[৭]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জেলার জনসংখ্যা ছিল ১,৩৩৮,০০০, যার ৩০% শহরের অধিবাসী, ৭০% গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী।[৭]
জেলার প্রধান শিল্পগুলি হল - পাঁপড়, কাগজ, বস্ত্র এবং স্টিল টিউব উৎপাদন।[৭]
টেমপ্লেট:Hapur district টেমপ্লেট:Meerut division topics