হাফিজ আহমদ জৌনপুরী | |
---|---|
আনু. ১৮৩৪ – ২৬ জানুয়ারি ১৮৯৯ (বয়স ৬৪–৬৫) | |
ডাক নাম | আহমদ |
জন্ম তারিখ | আনু. ১৮৩৪ |
জন্মস্থান | কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু তারিখ | ২৬ জানুয়ারি ১৮৯৯ | (বয়স ৬৪–৬৫)
মৃত্যুস্থান | সদরঘাট, ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান বাংলাদেশ) |
আন্দোলন | বাগ্মী ও সমাজকর্মী |
স্মরণীয় অর্জন | ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রশংসাপত্র |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা | মাওলানা শাহ কারামত আলী জৌনপুরী (পিতা) বাতুল বিবি (মাতা) |
হাফিজ আহমদ জৌনপুরী (১৮৩৪-১৮৯৯) যিনি আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। একজন ইসলামী পণ্ডিত (আলেম) ও ধর্মপ্রচারক ছিলেন। তিনি ওয়াজ নসীহত করে মানুষকে ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি আহবান করতেন। তিনি মূলত বাংলা ও আসাম অঞ্চলে ধর্মপ্রচার করেন।[১]
হাফিজ আহমদ জৌনপুরী ১৮৩৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানাশাহ কারামত আলী জৌনপুরী। তিনি খুব কম বয়সেই কোরআন শরীফ মুখস্থ করায় হাফিজ শব্দটি তার নামের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। তিনি আধ্যাত্মিক তত্ত্বে অধিক জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি আবদুল আউয়াল জৌনপুরীর ভাই ও মওলানা আবদুল বাতিন জৌনপুরীর ও মওলানা আবদুর রব জৌনপুরীর চাচা[১]
হাফিজ আহমদ জৌনপুরী পবিত্র হজ্জ পালনের সময় ১৮৮২ সালে হিজাজে বিপুল সংবর্ধনা লাভ করেন। তিনি ভোলা জেলার দৌলতখানে একটি মাদ্রাসা ও ঈদগাহ প্রতিষ্ঠিত করেন। সমাজ সেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক প্রশংসাপত্র লাভ করেন।[১]
প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে হাফেজ আহমদ জৌনপুরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নৌকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ জানুয়ারি ১৮৯৯ সালে সদরঘাটে এসে তিনি নৌকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অন্যতম খলিফা শেখ ফয়েজ বখশ কানপুরীর আরজে চকবাজার শাহী মসজিদে জানাজার নামাজ কায়েম করা হয়।[২] মসজিদের দক্ষিণ পাশে তার কবর রয়েছে।[১]