হাফিজ আহমেদ মজুমদার | |
---|---|
সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ – ৭ জানুয়ারি ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | সেলিম উদ্দিন |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৫ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী |
উত্তরসূরী | সেলিম উদ্দিন |
কাজের মেয়াদ ১২ জুন ১৯৯৬ – ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০১ | |
পূর্বসূরী | আবদুল কাহির চৌধুরী |
উত্তরসূরী | ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৯ মার্চ ১৯৩৩ করিমগঞ্জ, আসাম, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান জকিগঞ্জ, সিলেট, বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সম্পর্ক | মাহমুদুর রহমান মজুমদার (চাচা) |
পিতামাতা |
|
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | যশোর জিলা স্কুল মুরারিচাঁদ কলেজ ব্রজমোহন কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
হাফিজ আহমেদ মজুমদার যিনি হাফিজ মজুমদার নামেই বেশি জনপ্রিয় হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী এবং রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য।[১] তিনি জুন ১৯৯৬[২] এবং ২০০৮, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।[৩][৪] তিনি সিলেটের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা যার মধ্যে রয়েছে স্ক্লার্সহোম, হাফসা মজুমদার মহিলা কলেজ, সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতন, হাফিজ মজুমদার বিদ্যানিকেতন উল্লেখযোগ্য। হাফিজ মজুমদারে চাচা সাবেক সাংসদ ব্রিগেডিয়ার মজুমদার। সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে আহসানিয়া মিশন কৃর্তক ‘খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ স্বর্ণপদক’ ছাড়াও বেশ কিছু সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।[৫]
হাফিজ মজুমদার ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ ভারতের করিমগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমদাদুর রহমান মজুমদার ও মাতার নাম রহিমুন্নেসা মজুমদার। ভারতের চন্ডিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের পর যশোর জেলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লাভ করেন এবং ১৯৫৩ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের পর বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য, যার অধীনে বিশটিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি পূবালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান[৬][৭] হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার চাচা সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুর রহমান মজুমদারের পরিবর্তে ১৯৯১ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন, জুন ১৯৯৬ সালের অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে সিলেট-৫ আসন থেকে প্রথমবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন, এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয় লাভ করেন।